ঢাকা ০৮:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ সদস্য সহ নিহত ৪

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
  • / 28

ছবি: সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নিউইয়র্ক পুলিশ সহ ৪ জন নিহত হয়েছে। নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানের মধ্যাঞ্চলে এই ঘটনা ঘটে। জানা যায়, এক বন্দুকধারী গুলি চালালে ৪ জন গুলিতে নিহত হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং সন্দেহভাজন বন্দুকধারীও রয়েছেন। নিহত একমাত্র পুলিশ সদস্য বাংলাদেশি অভিবাসী বলে জানিয়েছেন সিটি পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ। খবর আল-জাজিরার।

স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিডটাউন ম্যানহাটনের ৩৪৫ পার্ক অ্যাভিনিউতে এই গুলির ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি এখনো ‘তদন্তাধীন’ রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেসিকা টিশ।

এদিন গভীর রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা যা জেনেছি, নজরদারি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে ৫১তম এবং ৫২তম রাস্তার মাঝামাঝি পার্ক অ্যাভিনিউতে একটি কালো রঙের ডাবল পার্ক করা বিএমডব্লিউ থেকে একজন পুরুষ বেরিয়ে আসছেন, তার ডান হাতে একটি এম৪ রাইফেল রয়েছে’।

তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে বন্দুকধারী লবিতে প্রবেশ করে, ডানদিকে ঘুরাঘরি করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে একজন নিউ ইয়র্ক পুলিশ অফিসারের ওপর গুলি চালায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এরপর লোকটি ৩৩তম তলায় যাওয়ার আগে নিচতলায় দুজনকে গুলি করে হত্যা করে, যার মধ্যে একজন নারী এবং একজন নিরাপত্তা অফিসারও রয়েছেন। এরপর তিনি আরেকজন পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে। এছাড়া আহত এক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন’।

টিশ বলেন, ‘বন্দুকধারীর নাম শেন তামুরা। তিনি ২৭ বছর বয়সি। তার ঠিকানা লাস ভেগাসের বলে জানা গেছে। তবে তিনি কী উদ্দেশে এসব করেছেন তা এখনও তদন্তাধীন’।

নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে তিনি বলেন, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন ও তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী। মেয়র অ্যাডামস তাকে ‘অফিসার ইসলাম’ বলে উল্লেখ করেন।

নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের কমিশনার জেসিকা টিশ জানিয়েছেন, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ওই কর্মকর্তার নাম দিদারুল ইসলাম। তিনি বিবাহিত ছিলেন ও তার দুটি সন্তান রয়েছে। এছাড়া, তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী এক নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে জানান, একটি অফিস ভবনে এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘আমি তখন পাশেই ছিলাম। তিনি (বন্দুকধারী) একের পর এক ফ্লোরে ঘুরছিলেন।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা এএফপিকে জানান, ঘটনাটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকস্টোন ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানির একটি কার্যালয়ে ঘটেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ সদস্য সহ নিহত ৪

আপডেট সময় ১১:২৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নিউইয়র্ক পুলিশ সহ ৪ জন নিহত হয়েছে। নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানের মধ্যাঞ্চলে এই ঘটনা ঘটে। জানা যায়, এক বন্দুকধারী গুলি চালালে ৪ জন গুলিতে নিহত হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং সন্দেহভাজন বন্দুকধারীও রয়েছেন। নিহত একমাত্র পুলিশ সদস্য বাংলাদেশি অভিবাসী বলে জানিয়েছেন সিটি পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ। খবর আল-জাজিরার।

স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিডটাউন ম্যানহাটনের ৩৪৫ পার্ক অ্যাভিনিউতে এই গুলির ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি এখনো ‘তদন্তাধীন’ রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেসিকা টিশ।

এদিন গভীর রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা যা জেনেছি, নজরদারি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে ৫১তম এবং ৫২তম রাস্তার মাঝামাঝি পার্ক অ্যাভিনিউতে একটি কালো রঙের ডাবল পার্ক করা বিএমডব্লিউ থেকে একজন পুরুষ বেরিয়ে আসছেন, তার ডান হাতে একটি এম৪ রাইফেল রয়েছে’।

তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে বন্দুকধারী লবিতে প্রবেশ করে, ডানদিকে ঘুরাঘরি করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে একজন নিউ ইয়র্ক পুলিশ অফিসারের ওপর গুলি চালায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এরপর লোকটি ৩৩তম তলায় যাওয়ার আগে নিচতলায় দুজনকে গুলি করে হত্যা করে, যার মধ্যে একজন নারী এবং একজন নিরাপত্তা অফিসারও রয়েছেন। এরপর তিনি আরেকজন পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে। এছাড়া আহত এক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন’।

টিশ বলেন, ‘বন্দুকধারীর নাম শেন তামুরা। তিনি ২৭ বছর বয়সি। তার ঠিকানা লাস ভেগাসের বলে জানা গেছে। তবে তিনি কী উদ্দেশে এসব করেছেন তা এখনও তদন্তাধীন’।

নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে তিনি বলেন, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন ও তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী। মেয়র অ্যাডামস তাকে ‘অফিসার ইসলাম’ বলে উল্লেখ করেন।

নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের কমিশনার জেসিকা টিশ জানিয়েছেন, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ওই কর্মকর্তার নাম দিদারুল ইসলাম। তিনি বিবাহিত ছিলেন ও তার দুটি সন্তান রয়েছে। এছাড়া, তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী এক নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে জানান, একটি অফিস ভবনে এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘আমি তখন পাশেই ছিলাম। তিনি (বন্দুকধারী) একের পর এক ফ্লোরে ঘুরছিলেন।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা এএফপিকে জানান, ঘটনাটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকস্টোন ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানির একটি কার্যালয়ে ঘটেছে।