ঢাকা ০৪:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মসজিদের বারান্দা নির্মাণ নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ-বাড়িঘর ভাঙচুর, ১৪৪ ধারা জারি ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে সম্মেলনে,যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সনদের প্রাথমিক খসড়া কমিশন তৈরি করেছে সোমবার দলগুলো হাতে পাবে : আলী রীয়াজ নোয়াখালীর এক পুকুর থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার ট্রাম্প ও ইব্রাহিমের প্রস্তাবে সম্মত হলেও কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তে মৃত্যু থামছে না সমাজে ছেয়ে গেছে সন্ত্রাস : নাহিদ ইসলাম বার বার ভাঙনে অস্থিত্ব সংকটে অনেক রাজনৈতিক দল ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার অস্ত্রবিরতির আলোচনা ইসরায়েলের হামলা ও অবরোধে গাজায় একদিনেই ৭১ জনের প্রাণহানি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হেফাজতের বৈঠক: নীতিগত আলোচনা

ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার অস্ত্রবিরতির আলোচনা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৩০:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
  • / 12

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টেে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্ততায় কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের নেতারা দ্রুত যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে অবিলম্বে বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্পের ধারাবাহিক কয়েকটি পোস্টে সাড়া দিয়ে থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান। স্কটল্যান্ড সফরে থাকা ট্রাম্প নিজের পোস্টগুলোতে জানান, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এবং থাইল্যান্ডের ফুমথামের সঙ্গে কথা বলেছেন আর তাদের এই বলে সতর্ক করেছেন যে, সীমান্ত সংঘাত অব্যাহত থাকলে তিনি তাদের কারও সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করবেন না।

জাতিসংঘের উপমুখপাত্র ফারহান হক এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার এই সীমান্ত সংঘাতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি এই সংঘাতে ‘মর্মান্তিক ও শোচনীয়’ প্রাণহানির নিন্দা জানিয়েছেন।

“তিনি উভয়পক্ষকে অবিলম্বে একটি অস্ত্র বিরতিতে রাজি হতে এবং যেকোনো সমস্যা সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন,” বিবৃতিতে বলেছেন হক।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া অস্ত্রবিরতি করতে রাজি হয়েছে, ট্রাম্প এমনটি জানালেও এ নিয়ে আলোচনা কবে, কোথায়, কখন শুরু হবে তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

আলোচনার স্থান ও সময় নিয়ে রয়টার্সের প্রশ্নে হোয়াইট হাউজ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জবাব দেয়নি আর ওয়াশিংটনে অবস্থিত থাই ও কম্বোডীয় দূতাবাসও তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।

ট্রাম্প এই দুই নেতার সঙ্গে কথা বলার আগেই দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত সংঘাত তৃতীয় দিনে গড়ায় আরও আরও বিস্তৃত হয়। ৮১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের বিভিন্ন অংশ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দুই দেশের বিরোধ চলে আসছে। গত ১৩ বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষে জড়িয়েছে দেশ দুটি আর এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ জন নিহত এবং এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার অস্ত্রবিরতির আলোচনা

আপডেট সময় ১১:৩০:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টেে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্ততায় কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের নেতারা দ্রুত যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে অবিলম্বে বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্পের ধারাবাহিক কয়েকটি পোস্টে সাড়া দিয়ে থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান। স্কটল্যান্ড সফরে থাকা ট্রাম্প নিজের পোস্টগুলোতে জানান, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এবং থাইল্যান্ডের ফুমথামের সঙ্গে কথা বলেছেন আর তাদের এই বলে সতর্ক করেছেন যে, সীমান্ত সংঘাত অব্যাহত থাকলে তিনি তাদের কারও সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করবেন না।

জাতিসংঘের উপমুখপাত্র ফারহান হক এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার এই সীমান্ত সংঘাতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি এই সংঘাতে ‘মর্মান্তিক ও শোচনীয়’ প্রাণহানির নিন্দা জানিয়েছেন।

“তিনি উভয়পক্ষকে অবিলম্বে একটি অস্ত্র বিরতিতে রাজি হতে এবং যেকোনো সমস্যা সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন,” বিবৃতিতে বলেছেন হক।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া অস্ত্রবিরতি করতে রাজি হয়েছে, ট্রাম্প এমনটি জানালেও এ নিয়ে আলোচনা কবে, কোথায়, কখন শুরু হবে তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

আলোচনার স্থান ও সময় নিয়ে রয়টার্সের প্রশ্নে হোয়াইট হাউজ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জবাব দেয়নি আর ওয়াশিংটনে অবস্থিত থাই ও কম্বোডীয় দূতাবাসও তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।

ট্রাম্প এই দুই নেতার সঙ্গে কথা বলার আগেই দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত সংঘাত তৃতীয় দিনে গড়ায় আরও আরও বিস্তৃত হয়। ৮১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের বিভিন্ন অংশ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দুই দেশের বিরোধ চলে আসছে। গত ১৩ বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষে জড়িয়েছে দেশ দুটি আর এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ জন নিহত এবং এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।