০৫:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার অস্ত্রবিরতির আলোচনা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৩০:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
  • / 57

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টেে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্ততায় কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের নেতারা দ্রুত যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে অবিলম্বে বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্পের ধারাবাহিক কয়েকটি পোস্টে সাড়া দিয়ে থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান। স্কটল্যান্ড সফরে থাকা ট্রাম্প নিজের পোস্টগুলোতে জানান, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এবং থাইল্যান্ডের ফুমথামের সঙ্গে কথা বলেছেন আর তাদের এই বলে সতর্ক করেছেন যে, সীমান্ত সংঘাত অব্যাহত থাকলে তিনি তাদের কারও সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করবেন না।

জাতিসংঘের উপমুখপাত্র ফারহান হক এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার এই সীমান্ত সংঘাতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি এই সংঘাতে ‘মর্মান্তিক ও শোচনীয়’ প্রাণহানির নিন্দা জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

“তিনি উভয়পক্ষকে অবিলম্বে একটি অস্ত্র বিরতিতে রাজি হতে এবং যেকোনো সমস্যা সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন,” বিবৃতিতে বলেছেন হক।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া অস্ত্রবিরতি করতে রাজি হয়েছে, ট্রাম্প এমনটি জানালেও এ নিয়ে আলোচনা কবে, কোথায়, কখন শুরু হবে তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

আলোচনার স্থান ও সময় নিয়ে রয়টার্সের প্রশ্নে হোয়াইট হাউজ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জবাব দেয়নি আর ওয়াশিংটনে অবস্থিত থাই ও কম্বোডীয় দূতাবাসও তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।

ট্রাম্প এই দুই নেতার সঙ্গে কথা বলার আগেই দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত সংঘাত তৃতীয় দিনে গড়ায় আরও আরও বিস্তৃত হয়। ৮১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের বিভিন্ন অংশ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দুই দেশের বিরোধ চলে আসছে। গত ১৩ বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষে জড়িয়েছে দেশ দুটি আর এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ জন নিহত এবং এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার অস্ত্রবিরতির আলোচনা

আপডেট সময় ১১:৩০:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টেে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্ততায় কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের নেতারা দ্রুত যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে অবিলম্বে বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্পের ধারাবাহিক কয়েকটি পোস্টে সাড়া দিয়ে থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান। স্কটল্যান্ড সফরে থাকা ট্রাম্প নিজের পোস্টগুলোতে জানান, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এবং থাইল্যান্ডের ফুমথামের সঙ্গে কথা বলেছেন আর তাদের এই বলে সতর্ক করেছেন যে, সীমান্ত সংঘাত অব্যাহত থাকলে তিনি তাদের কারও সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করবেন না।

জাতিসংঘের উপমুখপাত্র ফারহান হক এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার এই সীমান্ত সংঘাতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি এই সংঘাতে ‘মর্মান্তিক ও শোচনীয়’ প্রাণহানির নিন্দা জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

“তিনি উভয়পক্ষকে অবিলম্বে একটি অস্ত্র বিরতিতে রাজি হতে এবং যেকোনো সমস্যা সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন,” বিবৃতিতে বলেছেন হক।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া অস্ত্রবিরতি করতে রাজি হয়েছে, ট্রাম্প এমনটি জানালেও এ নিয়ে আলোচনা কবে, কোথায়, কখন শুরু হবে তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

আলোচনার স্থান ও সময় নিয়ে রয়টার্সের প্রশ্নে হোয়াইট হাউজ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জবাব দেয়নি আর ওয়াশিংটনে অবস্থিত থাই ও কম্বোডীয় দূতাবাসও তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।

ট্রাম্প এই দুই নেতার সঙ্গে কথা বলার আগেই দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত সংঘাত তৃতীয় দিনে গড়ায় আরও আরও বিস্তৃত হয়। ৮১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের বিভিন্ন অংশ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দুই দেশের বিরোধ চলে আসছে। গত ১৩ বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষে জড়িয়েছে দেশ দুটি আর এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ জন নিহত এবং এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।