১২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

ব্রিকস সদস্য দেশগুলোর ওপর ১০% শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
  • / 46

ছবি সংগৃহীত

 

ব্রিকস জোটের সদস্য দেশগুলোর ওপর শিগগিরই ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে মুদ্রা যুদ্ধ ছড়ানোর অভিযোগে তিনি এই ঘোষণা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) হোয়াইট হাউসে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, “ব্রিকস গঠনের মূল উদ্দেশ্যই হলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারে ডলারের আধিপত্য কমানো। এর মাধ্যমে তারা আমাদের ক্ষতি করতে চায়।” তিনি জানান, এই শুল্ক কার্যকর হবে আগামী ১ আগস্ট থেকে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, “ব্রিকস সদস্য হওয়ার কারণে এসব দেশকে বাড়তি মূল্য দিতে হবে। ১০ শতাংশ শুল্ক বাধ্যতামূলক। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে, আরও পাঠানো হবে।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “ভারত হোক কিংবা ব্রাজিল, যদি তারা ব্রিকসের সদস্য থাকে, তাহলে এই শুল্ক এড়াতে পারবে না। তারা যদি আমাদের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক খেলা খেলতে চায়, আমরাও খেলার জন্য প্রস্তুত।”

তবে তিনি দাবি করেন, ব্রিকস জোট এখন মূলত ভেঙে পড়েছে। “তাদের কিছু সদস্য এখনও সক্রিয় থাকলেও জোটের কার্যকারিতা নেই। আমরা আমাদের বৈশ্বিক মুদ্রা মানদণ্ড হারাব না,” বলেন ট্রাম্প।

বৈঠকে ট্রাম্প কপার বা তামার ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। তিনি জানান, সামরিক সরঞ্জাম, বিদ্যুৎ ও ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত এই ধাতুর অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পরপরই নিউইয়র্ক মার্কেটের কপার ফিউচারসের দাম ১০ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়।

এছাড়া, সেমিকন্ডাক্টর ও ওষুধ আমদানির ওপরও শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার কথা জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, ওষুধে শুল্কহার ২০০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। প্রস্তুতি নিতে ওষুধ কোম্পানিগুলোকে এক বছর সময় দেওয়া হবে।

এসময় ট্রাম্প বলেন, “চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্র এর মধ্যেই ১০ হাজার কোটি ডলার শুল্ক আদায় করেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে তা ৩০ হাজার কোটিতে পৌঁছাবে।”

সবশেষে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ট্রাম্প বলেন, “চীন এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ইস্যুতে অনেক বেশি ন্যায্য আচরণ করছে। বর্তমানে আমাদের সম্পর্ক ভালো।”

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ব্রিকস সদস্য দেশগুলোর ওপর ১০% শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

আপডেট সময় ১১:৫৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

 

ব্রিকস জোটের সদস্য দেশগুলোর ওপর শিগগিরই ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে মুদ্রা যুদ্ধ ছড়ানোর অভিযোগে তিনি এই ঘোষণা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) হোয়াইট হাউসে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, “ব্রিকস গঠনের মূল উদ্দেশ্যই হলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারে ডলারের আধিপত্য কমানো। এর মাধ্যমে তারা আমাদের ক্ষতি করতে চায়।” তিনি জানান, এই শুল্ক কার্যকর হবে আগামী ১ আগস্ট থেকে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, “ব্রিকস সদস্য হওয়ার কারণে এসব দেশকে বাড়তি মূল্য দিতে হবে। ১০ শতাংশ শুল্ক বাধ্যতামূলক। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে, আরও পাঠানো হবে।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “ভারত হোক কিংবা ব্রাজিল, যদি তারা ব্রিকসের সদস্য থাকে, তাহলে এই শুল্ক এড়াতে পারবে না। তারা যদি আমাদের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক খেলা খেলতে চায়, আমরাও খেলার জন্য প্রস্তুত।”

তবে তিনি দাবি করেন, ব্রিকস জোট এখন মূলত ভেঙে পড়েছে। “তাদের কিছু সদস্য এখনও সক্রিয় থাকলেও জোটের কার্যকারিতা নেই। আমরা আমাদের বৈশ্বিক মুদ্রা মানদণ্ড হারাব না,” বলেন ট্রাম্প।

বৈঠকে ট্রাম্প কপার বা তামার ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। তিনি জানান, সামরিক সরঞ্জাম, বিদ্যুৎ ও ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত এই ধাতুর অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পরপরই নিউইয়র্ক মার্কেটের কপার ফিউচারসের দাম ১০ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়।

এছাড়া, সেমিকন্ডাক্টর ও ওষুধ আমদানির ওপরও শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার কথা জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, ওষুধে শুল্কহার ২০০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। প্রস্তুতি নিতে ওষুধ কোম্পানিগুলোকে এক বছর সময় দেওয়া হবে।

এসময় ট্রাম্প বলেন, “চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্র এর মধ্যেই ১০ হাজার কোটি ডলার শুল্ক আদায় করেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে তা ৩০ হাজার কোটিতে পৌঁছাবে।”

সবশেষে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ট্রাম্প বলেন, “চীন এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ইস্যুতে অনেক বেশি ন্যায্য আচরণ করছে। বর্তমানে আমাদের সম্পর্ক ভালো।”