০৮:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত বাংলাদেশি পণ্যে কোন শুল্ক থাকবে না: ট্রাম্প

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
  • / 38

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন হলে কোনো শুল্ক থাকবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এ তথ্য জানান। ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ ওই চিঠি প্রকাশ করেন।

চিঠিতে ট্রাম্প বলেন, ‘২০২৫ সালের ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো সব বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক বসবে। এই শুল্ক খাতভিত্তিক কর ছাড়াও আলাদাভাবে প্রযোজ্য হবে। যদি কোনো পণ্য ঘুরপথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে, তাহলে সেগুলোর ওপরও একই হারে শুল্ক আরোপ করা হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘৩৫ শতাংশ শুল্ক কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নয় বরং এটি আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর প্রচেষ্টা। এটি এখনো যথেষ্ট নয়, বরং অনেক কম।’

তবে পণ্যের ওপর শুল্ক এড়াতে একটি বিকল্প পথও দেখিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘যদি বাংলাদেশ বা কোনো বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রেই উৎপাদন কার্যক্রম চালায়, তাহলে সেই পণ্যের ওপর কোনো শুল্ক আরোপ করা হবে না। বরং সেই সব অনুমোদন দ্রুত, পেশাদার এবং স্বচ্ছভাবে দেওয়া হবে—মাত্র কয়েক সপ্তাহেই সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।’

চিঠির শেষভাগে ট্রাম্প বাংলাদেশকে আরও সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘আপনার বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে আমরা ভবিষ্যতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চাই। যদি আপনারা মার্কিন বাজারের জন্য নিজেদের বাণিজ্যিক নীতিগুলো উন্মুক্ত করেন এবং শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করেন, তাহলে আমরা এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারি।’ তার মতে, এই শুল্কহার বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের ওপর নির্ভর করেই বাড়ানো বা কমানো হতে পারে।

এদিকে, শুল্ক বিষয়ে আলোচনার জন্য বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। বাণিজ্য উপদেষ্টা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আগামী ৯ জুলাই মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইতিবাচক অগ্রগতি আশা করছেন তিনি। পাশাপাশি, বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমানও এই বৈঠকে যোগ দিতে পারেন বলে জানা গেছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত বাংলাদেশি পণ্যে কোন শুল্ক থাকবে না: ট্রাম্প

আপডেট সময় ১০:০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

 

বাংলাদেশি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন হলে কোনো শুল্ক থাকবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এ তথ্য জানান। ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ ওই চিঠি প্রকাশ করেন।

চিঠিতে ট্রাম্প বলেন, ‘২০২৫ সালের ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো সব বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক বসবে। এই শুল্ক খাতভিত্তিক কর ছাড়াও আলাদাভাবে প্রযোজ্য হবে। যদি কোনো পণ্য ঘুরপথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে, তাহলে সেগুলোর ওপরও একই হারে শুল্ক আরোপ করা হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘৩৫ শতাংশ শুল্ক কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নয় বরং এটি আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর প্রচেষ্টা। এটি এখনো যথেষ্ট নয়, বরং অনেক কম।’

তবে পণ্যের ওপর শুল্ক এড়াতে একটি বিকল্প পথও দেখিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘যদি বাংলাদেশ বা কোনো বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রেই উৎপাদন কার্যক্রম চালায়, তাহলে সেই পণ্যের ওপর কোনো শুল্ক আরোপ করা হবে না। বরং সেই সব অনুমোদন দ্রুত, পেশাদার এবং স্বচ্ছভাবে দেওয়া হবে—মাত্র কয়েক সপ্তাহেই সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।’

চিঠির শেষভাগে ট্রাম্প বাংলাদেশকে আরও সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘আপনার বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে আমরা ভবিষ্যতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চাই। যদি আপনারা মার্কিন বাজারের জন্য নিজেদের বাণিজ্যিক নীতিগুলো উন্মুক্ত করেন এবং শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করেন, তাহলে আমরা এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারি।’ তার মতে, এই শুল্কহার বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের ওপর নির্ভর করেই বাড়ানো বা কমানো হতে পারে।

এদিকে, শুল্ক বিষয়ে আলোচনার জন্য বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। বাণিজ্য উপদেষ্টা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আগামী ৯ জুলাই মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইতিবাচক অগ্রগতি আশা করছেন তিনি। পাশাপাশি, বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমানও এই বৈঠকে যোগ দিতে পারেন বলে জানা গেছে।