ঢাকা ০৪:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে আজ মুখোমুখি হবে মেসির ইন্টার মায়ামি ও পিএসজি হাতিয়ার কিশোরীকে নির্যাতন ও অপহরণ : চট্টগ্রামে অভিযুক্ত আটক জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সরকার ব্যর্থ, এনসিপি নিজেই ঘোষণা দেবে: নাহিদ ইসলাম ভারতে রথযাত্রায় মর্মান্তিক পদদলনের ঘটনায় নিহত ৩, আহত ১০ উত্তরার আজমপুরে ট্রাকচাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় পাকিস্তান কোনো আপস করবে না: সেনাপ্রধান বেনফিকাকে হারিয়ে চেলসি ও বোতাফোগোর হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পালমেইরাস ডিএসইতে আধা ঘণ্টায় লেনদেন ৮০ কোটি টাকা, পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি স্থগিত করল আপিল বিভাগ পাকিস্তানেরসেন্ট্রাল জেলে বন্দিদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় সুপারসহ ১৫ কর্মকর্তা বরখাস্ত

পাকিস্তানে মুষলধারে বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় ২৫ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১৭

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:১৬:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • / 7

ছবি সংগৃহীত

 

পাকিস্তানের দুই রাজ্য পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায় প্রবল বর্ষণ ও এর ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা, বজ্রপাত এবং ভবনের ছাদ ধসের ঘটনায় অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৭ জন এবং আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৪৫ জনকে।

পাঞ্জাব প্রদেশের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিপিডিএমএ) জানিয়েছে, ২৫ জুন থেকে চলা টানা বৃষ্টিপাতে ও বজ্রপাতে ওকারা, খানেওয়াল, মুলতান, মান্ডি বাহাউদ্দিনসহ ১৩ জেলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৩৯ জন। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে ওকারা জেলায়, যেখানে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দুই শিশু, দুই নারী এবং তিনজন পুরুষ।

অন্যদিকে, ২৬ জুন থেকে শুরু হওয়া ভারী বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় খাইবার পাখতুনখোয়ার সোয়াত ও মালাকান্দ জেলায় মারা গেছেন ১১ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন ১৭ জন। আহত ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরের বরাতে পাকিস্তানের শীর্ষ দৈনিক ডন জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১০ জনই সোয়াত জেলার বাসিন্দা, বাকী ১ জন মালাকান্দ জেলার। নিখোঁজদের সবাই সোয়াতের বলে জানা গেছে।

গত তিন দিনের টানা বর্ষণে খাইবার পাখতুনখোয়ার উপত্যকার নদীগুলোর পানি ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে, যার মধ্যে সোয়াত নদীর পানি সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাদেশিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বন্যায় সোয়াত নদীর তীরবর্তী অন্তত ৫৬টি বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে এবং প্রায় ১৫০ জন মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে অধিকাংশকেই শনিবার দুপুরের মধ্যে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও আগাম সতর্কতা সংকেত জারি না করা এবং উদ্ধার তৎপরতা দেরিতে শুরুর অভিযোগে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্য সচিব শাহাব আলী শাহ তিনজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রবল বর্ষণ, বজ্রপাত ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় মানুষের মৃত্যু এবং সম্পদের ক্ষতি বাড়তে থাকায় স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকর্মীরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাব এখনও সম্পূর্ণভাবে জানা যায়নি।

সূত্র: জিও নিউজ, ডন

 

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানে মুষলধারে বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় ২৫ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১৭

আপডেট সময় ১১:১৬:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

 

পাকিস্তানের দুই রাজ্য পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায় প্রবল বর্ষণ ও এর ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা, বজ্রপাত এবং ভবনের ছাদ ধসের ঘটনায় অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৭ জন এবং আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৪৫ জনকে।

পাঞ্জাব প্রদেশের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিপিডিএমএ) জানিয়েছে, ২৫ জুন থেকে চলা টানা বৃষ্টিপাতে ও বজ্রপাতে ওকারা, খানেওয়াল, মুলতান, মান্ডি বাহাউদ্দিনসহ ১৩ জেলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৩৯ জন। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে ওকারা জেলায়, যেখানে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দুই শিশু, দুই নারী এবং তিনজন পুরুষ।

অন্যদিকে, ২৬ জুন থেকে শুরু হওয়া ভারী বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় খাইবার পাখতুনখোয়ার সোয়াত ও মালাকান্দ জেলায় মারা গেছেন ১১ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন ১৭ জন। আহত ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরের বরাতে পাকিস্তানের শীর্ষ দৈনিক ডন জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১০ জনই সোয়াত জেলার বাসিন্দা, বাকী ১ জন মালাকান্দ জেলার। নিখোঁজদের সবাই সোয়াতের বলে জানা গেছে।

গত তিন দিনের টানা বর্ষণে খাইবার পাখতুনখোয়ার উপত্যকার নদীগুলোর পানি ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে, যার মধ্যে সোয়াত নদীর পানি সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাদেশিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বন্যায় সোয়াত নদীর তীরবর্তী অন্তত ৫৬টি বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে এবং প্রায় ১৫০ জন মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে অধিকাংশকেই শনিবার দুপুরের মধ্যে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও আগাম সতর্কতা সংকেত জারি না করা এবং উদ্ধার তৎপরতা দেরিতে শুরুর অভিযোগে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্য সচিব শাহাব আলী শাহ তিনজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রবল বর্ষণ, বজ্রপাত ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় মানুষের মৃত্যু এবং সম্পদের ক্ষতি বাড়তে থাকায় স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকর্মীরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাব এখনও সম্পূর্ণভাবে জানা যায়নি।

সূত্র: জিও নিউজ, ডন