ঢাকা ০১:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেক্সিকোর ধর্মীয় উৎসবে গুলিবর্ষণ: কিশোরসহ নিহত ১১, আহত বহু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • / 14

ছবি সংগৃহীত

 

মেক্সিকোর মধ্যাঞ্চলীয় শহর ইরাপুয়াতোতে একটি ধর্মীয় উৎসব চলাকালে ভয়াবহ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় এই হামলায় কিশোরসহ অন্তত ১১ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে বুধবার (২৬ জুন) এক সরকারি বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গুয়ানাজুয়াতো অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ঘটনায় আহত অন্তত ২০ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে বলে প্রথমে জানালেও পরে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় জানায়, কেবল একজনের বয়স প্রাপ্তবয়স্কের নিচে, তার বয়স ১৭ বছর।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, ঘটনাটি ঘটে জন ব্যাপটিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক ক্যাথলিক উৎসবের সান্ধ্য পার্টিতে। উৎসব চলাকালীন একটি আবাসিক কমপ্লেক্সে লোকজন নাচছিল এবং একটি ব্যান্ড সঙ্গীত পরিবেশন করছিল— এমন সময়ই অতর্কিতে গুলিবর্ষণ শুরু হয়। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে সেই আতঙ্কিত মুহূর্তের দৃশ্য দেখা গেলেও রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে ভিডিওর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

এই হামলার পেছনে কারা জড়িত বা এর পেছনের উদ্দেশ্য কী, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।

উল্লেখ্য, গুয়ানাজুয়াতো অঞ্চলটি বিগত কয়েক বছর ধরে মেক্সিকোর সবচেয়ে সহিংস অঞ্চলগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত। এখানে বিভিন্ন অপরাধী গোষ্ঠী মাদক পাচার ও অন্যান্য অপরাধ নিয়ে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে লিপ্ত, যার জেরে প্রায়শই প্রাণঘাতী সংঘর্ষ ঘটে।

একই দিনে রাজ্যের অন্যান্য অংশেও আরও পাঁচজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়। এ থেকেই স্পষ্ট, গোটা রাজ্যজুড়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

এই ঘটনার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, নিরীহ মানুষদের এমন বর্বর হামলা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না এবং দোষীদের দ্রুত খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।

গোটা ঘটনায় মেক্সিকোজুড়ে শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই নিরাপত্তা জোরদার এবং ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবগুলোতে বাড়তি নজরদারির দাবি জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

মেক্সিকোর ধর্মীয় উৎসবে গুলিবর্ষণ: কিশোরসহ নিহত ১১, আহত বহু

আপডেট সময় ১২:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

 

মেক্সিকোর মধ্যাঞ্চলীয় শহর ইরাপুয়াতোতে একটি ধর্মীয় উৎসব চলাকালে ভয়াবহ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় এই হামলায় কিশোরসহ অন্তত ১১ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে বুধবার (২৬ জুন) এক সরকারি বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গুয়ানাজুয়াতো অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ঘটনায় আহত অন্তত ২০ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে বলে প্রথমে জানালেও পরে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় জানায়, কেবল একজনের বয়স প্রাপ্তবয়স্কের নিচে, তার বয়স ১৭ বছর।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, ঘটনাটি ঘটে জন ব্যাপটিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক ক্যাথলিক উৎসবের সান্ধ্য পার্টিতে। উৎসব চলাকালীন একটি আবাসিক কমপ্লেক্সে লোকজন নাচছিল এবং একটি ব্যান্ড সঙ্গীত পরিবেশন করছিল— এমন সময়ই অতর্কিতে গুলিবর্ষণ শুরু হয়। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে সেই আতঙ্কিত মুহূর্তের দৃশ্য দেখা গেলেও রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে ভিডিওর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

এই হামলার পেছনে কারা জড়িত বা এর পেছনের উদ্দেশ্য কী, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।

উল্লেখ্য, গুয়ানাজুয়াতো অঞ্চলটি বিগত কয়েক বছর ধরে মেক্সিকোর সবচেয়ে সহিংস অঞ্চলগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত। এখানে বিভিন্ন অপরাধী গোষ্ঠী মাদক পাচার ও অন্যান্য অপরাধ নিয়ে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে লিপ্ত, যার জেরে প্রায়শই প্রাণঘাতী সংঘর্ষ ঘটে।

একই দিনে রাজ্যের অন্যান্য অংশেও আরও পাঁচজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়। এ থেকেই স্পষ্ট, গোটা রাজ্যজুড়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

এই ঘটনার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, নিরীহ মানুষদের এমন বর্বর হামলা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না এবং দোষীদের দ্রুত খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।

গোটা ঘটনায় মেক্সিকোজুড়ে শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই নিরাপত্তা জোরদার এবং ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবগুলোতে বাড়তি নজরদারির দাবি জানিয়েছেন।