ঢাকা ০৮:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
“শেখ হাসিনা: সব অপরাধের নিউক্লিয়াস, বললেন চিফ প্রসিকিউটর” ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত “১০ লাখ টাকার বেশি আমানত ও সঞ্চয়পত্রে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক” কুষ্টিয়ায় স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে, আটক ৫ সাইবার সিকিউরিটিখাতে এ বছরের সবচেয়ে বড় ডিল – ইসরায়েলি কোম্পানি বিক্রি হচ্ছে ২৫ বিলিয়ন ডলারে “ইরান চায় চীন-পাকিস্তান সিল্ক রোডে যুক্ত হতে: প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান” “রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক আইজিপি মামুন: নিরাপত্তা জোরদার” “হ্যামস্ট্রিং চোটে ভুগছেন মেসি: মাঠ ছাড়লেন ১১ মিনিটে” পুতিনের কোনো অফিসিয়াল ছুটি নেই, জানাল ক্রেমলিন তুরস্ক-গ্রিস বিরোধ: এজিয়ান সাগরে একতরফা সিদ্ধান্তে তুরস্কের জবাব

ইরানের ইউরেনিয়াম গোপনে সরিয়ে নেওয়ার আশঙ্কা, নিশ্চিত নয় যুক্তরাষ্ট্র

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • / 15

ছবি সংগৃহীত

 

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগে ইরান তাদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ও পরমাণু সরঞ্জাম গোপনে সরিয়েছে কি না, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। বিষয়টি ঘিরে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও।

মার্কিন সিনেটর মার্কওয়েইন মুলিন সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনাটি থেকে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সরানো হয়নি। তবে ইরান বিষয়টি গোপন রাখতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে, ১৩ জুন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (IAEA) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি হুঁশিয়ারি দেন, ইরান তাদের পরমাণু স্থাপনাগুলোর সুরক্ষায় ‘বিশেষ ব্যবস্থা’ নিচ্ছে।

এরপরই স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ঠিক দুদিন আগে ফোরদো স্থাপনার দিকে ১৬টি কার্গো ট্রাক প্রবেশ করে এবং হামলার আগের দিনই তারা এলাকা ত্যাগ করে।

মহাপরিচালক গ্রোসি সিএনএনকে জানান, আইএইএর পরিদর্শকরা সর্বশেষ ১০ জুন ইরানে ইউরেনিয়াম মজুত যাচাই করেছিলেন। এরপর থেকে ইউরেনিয়ামের অবস্থান নিয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

পরমাণু বিশেষজ্ঞ কেলসি ড্যাভেনপোর্ট জানান, ইরানের ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ‘স্কুবা ট্যাংক’ আকৃতির মোবাইল ক্যানিস্টারে সংরক্ষণ করা হয়, যেগুলো সহজেই স্থানান্তরযোগ্য। তার মতে, এই ক্যানিস্টারগুলো এমনসব স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়ে থাকতে পারে, যেখানে কোনো সামরিক অভিযান চালানো প্রায় অসম্ভব।

তিনি আরও বলেন, যদি ইউরেনিয়াম গোপনে সরিয়ে ফেলা হয়ে থাকে, তবে তা খুঁজে বের করা কঠিন হবে এবং এতে পরমাণু অস্ত্র তৈরির ঝুঁকি বাড়বে।

এদিকে, আইএইএর মহাপরিচালক বহুদিন ধরেই সতর্ক করে আসছেন যে, ইরানের সব সেন্ট্রিফিউজের অবস্থান সম্পর্কে গোয়েন্দাদের পূর্ণ ধারণা নেই। মার্কিন কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন, ইরানের পরমাণু উপকরণের পূর্ণ চিত্র তাদের জানা নেই।

‘নিউক্লিয়ার থ্রেট ইনিশিয়েটিভ’ নামক পারমাণবিক ঝুঁকি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা এরিক ব্রুয়ার বলেন, ইরান বেশ কয়েক বছর ধরেই আইএইএর নজরদারির বাইরে উন্নতমানের সেন্ট্রিফিউজ মজুত করছে।

পরমাণু বিশ্লেষক ড্যাভেনপোর্ট আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার ফলে ইরান হয়তো ইউরেনিয়াম এমন স্থানে সরিয়ে ফেলেছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথকে আরও ত্বরান্বিত করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরানের ইউরেনিয়াম গোপনে সরিয়ে নেওয়ার আশঙ্কা, নিশ্চিত নয় যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় ১২:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

 

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগে ইরান তাদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ও পরমাণু সরঞ্জাম গোপনে সরিয়েছে কি না, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। বিষয়টি ঘিরে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও।

মার্কিন সিনেটর মার্কওয়েইন মুলিন সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনাটি থেকে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সরানো হয়নি। তবে ইরান বিষয়টি গোপন রাখতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে, ১৩ জুন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (IAEA) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি হুঁশিয়ারি দেন, ইরান তাদের পরমাণু স্থাপনাগুলোর সুরক্ষায় ‘বিশেষ ব্যবস্থা’ নিচ্ছে।

এরপরই স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ঠিক দুদিন আগে ফোরদো স্থাপনার দিকে ১৬টি কার্গো ট্রাক প্রবেশ করে এবং হামলার আগের দিনই তারা এলাকা ত্যাগ করে।

মহাপরিচালক গ্রোসি সিএনএনকে জানান, আইএইএর পরিদর্শকরা সর্বশেষ ১০ জুন ইরানে ইউরেনিয়াম মজুত যাচাই করেছিলেন। এরপর থেকে ইউরেনিয়ামের অবস্থান নিয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

পরমাণু বিশেষজ্ঞ কেলসি ড্যাভেনপোর্ট জানান, ইরানের ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ‘স্কুবা ট্যাংক’ আকৃতির মোবাইল ক্যানিস্টারে সংরক্ষণ করা হয়, যেগুলো সহজেই স্থানান্তরযোগ্য। তার মতে, এই ক্যানিস্টারগুলো এমনসব স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়ে থাকতে পারে, যেখানে কোনো সামরিক অভিযান চালানো প্রায় অসম্ভব।

তিনি আরও বলেন, যদি ইউরেনিয়াম গোপনে সরিয়ে ফেলা হয়ে থাকে, তবে তা খুঁজে বের করা কঠিন হবে এবং এতে পরমাণু অস্ত্র তৈরির ঝুঁকি বাড়বে।

এদিকে, আইএইএর মহাপরিচালক বহুদিন ধরেই সতর্ক করে আসছেন যে, ইরানের সব সেন্ট্রিফিউজের অবস্থান সম্পর্কে গোয়েন্দাদের পূর্ণ ধারণা নেই। মার্কিন কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন, ইরানের পরমাণু উপকরণের পূর্ণ চিত্র তাদের জানা নেই।

‘নিউক্লিয়ার থ্রেট ইনিশিয়েটিভ’ নামক পারমাণবিক ঝুঁকি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা এরিক ব্রুয়ার বলেন, ইরান বেশ কয়েক বছর ধরেই আইএইএর নজরদারির বাইরে উন্নতমানের সেন্ট্রিফিউজ মজুত করছে।

পরমাণু বিশ্লেষক ড্যাভেনপোর্ট আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার ফলে ইরান হয়তো ইউরেনিয়াম এমন স্থানে সরিয়ে ফেলেছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথকে আরও ত্বরান্বিত করবে।