১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সাথে আলোচনা আগামী সপ্তাহেই: ট্রাম্প

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২৩:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • / 34

ছবি সংগৃহীত

 

পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আবারও আলোচনার টেবিলে বসতে যাচ্ছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র। এমনটাই দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহেই ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন মার্কিন বিশেষ দূত।

তবে ট্রাম্প বলেন, ইরানের সব পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় এখন আর চুক্তি খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাঁর দাবি, মার্কিন বিমান হামলার পর ইসরাইলি গোয়েন্দারা ইরানের ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্রে গিয়ে দেখে এসেছে, পুরো স্থাপনাটি ধ্বংস হয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড জানান, নতুন গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে। ইরান নিজেও স্বীকার করেছে, এই স্থাপনাগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।

পরমাণু ইস্যুকে কেন্দ্র করে গত ১৩ জুন ইরানে হামলা শুরু করে ইসরাইল। এরপর ইরানের পাল্টা জবাবে তা ভয়াবহ সংঘাতে রূপ নেয়। ১২ দিন স্থায়ী এ রক্তক্ষয়ী সংঘাতে দুই পক্ষেই প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরাইলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ৬২৭ জন, আহত হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার। সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তেহরান, কেরমানশাহ ও ইসফাহানে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল আলী শাদমানি।

অন্যদিকে ইসরাইল জানিয়েছে, ইরানের হামলায় তাদের ২৪ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে। অবশেষে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) সংঘাতের অবসান ঘটে।

যুদ্ধ থামলেও উত্তেজনা কাটেনি। বুধবার (২৫ জুন) আইআরজিসির গ্রাউন্ড ফোর্স প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ পাকপুর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইরানের যোদ্ধারা সর্বদা প্রস্তুত আছে। শত্রুপক্ষ যদি ভুল করে, আগের মতোই কঠোর জবাব দেওয়া হবে।

এদিকে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে ন্যাটো সম্মেলনের পর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, আলোচনার ফলেই সবকিছু নির্ধারিত হবে না। কারণ ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ইতিমধ্যেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, একটি চুক্তি হতে পারে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, যারা শান্তি চায় তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও আলোচনায় প্রস্তুত। তবে শেষ পর্যন্ত আলোচনা হবে কি না, তা নির্ভর করবে ইরানের আগ্রহের উপর।

নিউজটি শেয়ার করুন

পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সাথে আলোচনা আগামী সপ্তাহেই: ট্রাম্প

আপডেট সময় ১০:২৩:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

 

পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আবারও আলোচনার টেবিলে বসতে যাচ্ছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র। এমনটাই দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহেই ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন মার্কিন বিশেষ দূত।

তবে ট্রাম্প বলেন, ইরানের সব পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় এখন আর চুক্তি খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাঁর দাবি, মার্কিন বিমান হামলার পর ইসরাইলি গোয়েন্দারা ইরানের ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্রে গিয়ে দেখে এসেছে, পুরো স্থাপনাটি ধ্বংস হয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড জানান, নতুন গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে। ইরান নিজেও স্বীকার করেছে, এই স্থাপনাগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।

পরমাণু ইস্যুকে কেন্দ্র করে গত ১৩ জুন ইরানে হামলা শুরু করে ইসরাইল। এরপর ইরানের পাল্টা জবাবে তা ভয়াবহ সংঘাতে রূপ নেয়। ১২ দিন স্থায়ী এ রক্তক্ষয়ী সংঘাতে দুই পক্ষেই প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরাইলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ৬২৭ জন, আহত হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার। সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তেহরান, কেরমানশাহ ও ইসফাহানে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল আলী শাদমানি।

অন্যদিকে ইসরাইল জানিয়েছে, ইরানের হামলায় তাদের ২৪ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে। অবশেষে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) সংঘাতের অবসান ঘটে।

যুদ্ধ থামলেও উত্তেজনা কাটেনি। বুধবার (২৫ জুন) আইআরজিসির গ্রাউন্ড ফোর্স প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ পাকপুর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইরানের যোদ্ধারা সর্বদা প্রস্তুত আছে। শত্রুপক্ষ যদি ভুল করে, আগের মতোই কঠোর জবাব দেওয়া হবে।

এদিকে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে ন্যাটো সম্মেলনের পর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, আলোচনার ফলেই সবকিছু নির্ধারিত হবে না। কারণ ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ইতিমধ্যেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, একটি চুক্তি হতে পারে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, যারা শান্তি চায় তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও আলোচনায় প্রস্তুত। তবে শেষ পর্যন্ত আলোচনা হবে কি না, তা নির্ভর করবে ইরানের আগ্রহের উপর।