ইরানে ইসরাইল ও মার্কিন হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন, ব্রিকসের ‘গভীর উদ্বেগ

- আপডেট সময় ১১:১৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
- / 18
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার নেতৃত্বাধীন উদীয়মান অর্থনীতির জোট ব্রিকস সম্প্রতি ইরানকে লক্ষ্য করে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালিত হামলার ঘটনায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে। এ হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদের সরাসরি লঙ্ঘন বলেও বর্ণনা করেছে সংস্থাটি।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর এক বিবৃতিতে ব্রিকস জানায়, ইরানের ‘শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা’য় চালানো হামলা জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইএইএ’র নিয়মনীতি ও আন্তর্জাতিক আইনকে অবজ্ঞা করেছে। জোটের মতে, এ ধরনের আগ্রাসন বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
ব্রিকসের সদস্য দেশ ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, উভয় পক্ষের উচিত কূটনৈতিক পথে ফিরে এসে সহিংসতা পরিহার করে শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগিয়ে যাওয়া।
প্রসঙ্গত, ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে টানা ১২ দিন চলা পাল্টাপাল্টি হামলার পর দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়ে উভয় দেশকে তা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে ইরান দফায় দফায় ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ইসরাইলি গণমাধ্যমের দাবি, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বেরশেভায় বেশ কিছু আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং নারী ও শিশুসহ বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। তবে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী জানিয়েছে, তারা শুধুমাত্র সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে।
অন্যদিকে, ইসরাইলও পাল্টা হামলা চালিয়ে তেহরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলার দাবি করেছে। এসব হামলায় ইরানের কয়েকজন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। যদিও, ইরানের আইআরজিসি দাবি করেছে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অধিকাংশ হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
পরিস্থিতির উত্তাপ কমাতে আন্তর্জাতিক মহল বিশেষ করে ব্রিকস জোটের এই অবস্থান এবং আলোচনার আহ্বান বিশ্বে একটি ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এখন দেখার বিষয়, এই যুদ্ধবিরতি কতটা টেকসই হয় এবং কূটনৈতিক সমাধান আদৌ সম্ভব হয় কি না।