ঢাকা ০১:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইউনূস-তারেক বৈঠকে আশার আলো দেখছে খেলাফত মজলিস ওয়ানডেতে নেতৃত্বে নতুন অধ্যায়, অধিনায়ক হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ লন্ডনে তারেক রহমান-ড. ইউনূস বৈঠকে নির্দিষ্ট এজেন্ডা নেই: প্রেস সচিব কামিন্সের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত দ.আফ্রিকা, অল্প রানেও লিড অজিদের এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট বিধ্বস্তে ৫ মেডিকেল চিকিৎসা শিক্ষার্থী নিহত জনসমর্থন থাকলে কেউ পালায় না: এটিএম আজাহারুল ইসলাম এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা: ২৪২ জন আরোহীর কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে: প্রেস সচিব শফিকুল আলম ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাবনা সাতক্ষীরায় জুয়ার আসরে পুলিশের হানা, গ্রেপ্তার ৯

গা/জা/য় ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় একদিনেই নিহত ১২০

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
  • / 7

ছবি সংগৃহীত

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় ফের রক্তাক্ত হলো অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাগুলি ও বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ১২০ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৬৩ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ত্রাণ সংগ্রহ করতে আসা ক্ষুধার্ত সাধারণ মানুষও। ফলে চলমান এই যুদ্ধের শুরু থেকে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গাজার চিকিৎসা সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার শিকার হয়েছে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলো, যেগুলো পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত বিতর্কিত সংস্থা ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ)।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়া হামলায় অন্তত ৫৭ জন ত্রাণপ্রার্থী নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৩৬৩ জন। হামলার শিকার বিতরণকেন্দ্রগুলো মূলত ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে মানুষের উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যেই গুলিবর্ষণ চালানো হয়।

যেখানে মানবিক সহায়তা পাওয়ার কথা, সেখানে চলছে মৃত্যু উৎসব। রাফাহ ও নেৎসারিম করিডোরে অবস্থিত এসব বিতরণকেন্দ্র এখন পরিচিত হয়ে উঠেছে ‘মানবিক গণহত্যার কেন্দ্র’ নামে। জিএইচএফ এর কার্যক্রম শুরুর পর মাত্র দুই সপ্তাহে এসব এলাকায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে এসে প্রাণ হারিয়েছেন ২২০ জনেরও বেশি মানুষ।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে, নেৎসারিম এলাকায় তারা ‘সতর্কতামূলক গুলি’ চালিয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই গুলিই অনেক নিরীহ মানুষের মৃত্যু ডেকে এনেছে।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেখানে জিএইচএফ পরিচালিত ত্রাণব্যবস্থাকে “নাটকীয় সাফল্য” বলে দাবি করছে, সেখানে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এটিকে মানবিক নীতিমালার ভয়াবহ লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, জিএইচএফ পরিচালিত ত্রাণ বিতরণব্যবস্থা মূলত চলমান নৃশংসতা থেকে দৃষ্টি সরানোর একটি কৌশল এবং এটি আন্তর্জাতিক মানবিক সম্পদের অপচয়।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস অভিযোগ করেছে, “ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। খাদ্য অবরোধ ও গুলিবর্ষণের মাধ্যমে মানুষকে অনাহারে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।”

জাতিসংঘ জানিয়েছে, তারা এই বিতর্কিত সংস্থার সঙ্গে কোনো সহযোগিতা করবে না। কারণ এতে সামরিক সম্পৃক্ততা রয়েছে, যা মানবিক ত্রাণনীতির ঘোরতর লঙ্ঘন।

নিউজটি শেয়ার করুন

গা/জা/য় ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় একদিনেই নিহত ১২০

আপডেট সময় ১১:০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় ফের রক্তাক্ত হলো অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাগুলি ও বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ১২০ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৬৩ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ত্রাণ সংগ্রহ করতে আসা ক্ষুধার্ত সাধারণ মানুষও। ফলে চলমান এই যুদ্ধের শুরু থেকে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গাজার চিকিৎসা সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার শিকার হয়েছে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলো, যেগুলো পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত বিতর্কিত সংস্থা ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ)।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়া হামলায় অন্তত ৫৭ জন ত্রাণপ্রার্থী নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৩৬৩ জন। হামলার শিকার বিতরণকেন্দ্রগুলো মূলত ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে মানুষের উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যেই গুলিবর্ষণ চালানো হয়।

যেখানে মানবিক সহায়তা পাওয়ার কথা, সেখানে চলছে মৃত্যু উৎসব। রাফাহ ও নেৎসারিম করিডোরে অবস্থিত এসব বিতরণকেন্দ্র এখন পরিচিত হয়ে উঠেছে ‘মানবিক গণহত্যার কেন্দ্র’ নামে। জিএইচএফ এর কার্যক্রম শুরুর পর মাত্র দুই সপ্তাহে এসব এলাকায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে এসে প্রাণ হারিয়েছেন ২২০ জনেরও বেশি মানুষ।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে, নেৎসারিম এলাকায় তারা ‘সতর্কতামূলক গুলি’ চালিয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই গুলিই অনেক নিরীহ মানুষের মৃত্যু ডেকে এনেছে।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেখানে জিএইচএফ পরিচালিত ত্রাণব্যবস্থাকে “নাটকীয় সাফল্য” বলে দাবি করছে, সেখানে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এটিকে মানবিক নীতিমালার ভয়াবহ লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, জিএইচএফ পরিচালিত ত্রাণ বিতরণব্যবস্থা মূলত চলমান নৃশংসতা থেকে দৃষ্টি সরানোর একটি কৌশল এবং এটি আন্তর্জাতিক মানবিক সম্পদের অপচয়।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস অভিযোগ করেছে, “ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। খাদ্য অবরোধ ও গুলিবর্ষণের মাধ্যমে মানুষকে অনাহারে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।”

জাতিসংঘ জানিয়েছে, তারা এই বিতর্কিত সংস্থার সঙ্গে কোনো সহযোগিতা করবে না। কারণ এতে সামরিক সম্পৃক্ততা রয়েছে, যা মানবিক ত্রাণনীতির ঘোরতর লঙ্ঘন।