ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যুক্তরাজ্যের রুয়ান্ডা মডেল কপি করছে ইইউ — সমালোচনা থেকে সমর্থনে তিন বছরের পথচলা মার্কিন শুল্ক নীতিতে BRICS জোটে নতুন ঐক্যের ঢেউ। চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে প্রায় ৪ কোটি টাকার স্বর্ণসহ পাচারকারী আটক গাজা সিটির দিকে ইসরায়েলের পূর্ণ দখল অভিযান, ৮ লাখ মানুষের জীবন হুমকিতে। “ফ্রান্সে দাবানলের তাণ্ডব: পুড়ে গেছে ৪২ হাজার একর এলাকা” হুথিদের নতুন নৌ ক্রুজ মিসাইল ‘সাইয়াদ’, লোহিত সাগরে নতুন গেম চেঞ্জার গাজায় ত্রাণের মাধ্যমে জীবাণু যুদ্ধ চালাচ্ছে ইসরায়েল চীনের সি৯৪৯ জেটলাইনার কি সুপারসনিক বিমান ভ্রমণের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনবে? ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষে ‘মন ও মানসিকতার যুদ্ধেও জয়ী’ হওয়ার দাবি ইরানের বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে প্রকাশ্যেই সাংবাদিককে গলা কেটে হত্যা

জি৭ সম্মেলনে মোদির অনুপস্থিতি সম্ভাব্য, আমন্ত্রণ জানায়নি কানাডা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:১৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / 37

 

চলতি মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি৭ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কানাডার পক্ষ থেকে এবারের সম্মেলনে মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে ও হিন্দুস্তান টাইমস।

১৫ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত কানাডার আলবার্টা প্রদেশের কানানাস্কিস রিসোর্টে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আয়োজক দেশ কানাডার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সদ্য দায়িত্ব নেওয়া প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি।

জি৭ জোটের সদস্য দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও কানাডা। প্রতি বছর সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘসহ বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ ও সংস্থার নেতাদের অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়ে থাকে।

তবে কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছে, ভারত ও কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে এবার মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

২০২৩ সালে কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করেন, খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার সঙ্গে ভারতের সরকারি এজেন্টরা জড়িত। এই অভিযোগ ঘিরেই দুই দেশের সম্পর্কে গভীর সংকট দেখা দেয়। ভারত এই অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ ও ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করে। এরপর পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে।

কানাডায় কার্নির নতুন সরকারের ক্ষমতায় আসার পর কিছুটা আশাবাদ তৈরি হলেও, সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়নি।

সম্মেলন-সংক্রান্ত একটি সূত্র বলেছে, “উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনর্গঠনের জন্য এখনো অনেক কাজ বাকি। আপাতত আমন্ত্রণের কোনো উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়নি।”

ফলে ২০১৮ সালের পর প্রথমবারের মতো জি৭ সম্মেলনে মোদির অনুপস্থিতির সম্ভাবনা তৈরি হলো।

বিশ্লেষকদের মতে, ভারতকে ছাড়া জি৭ সম্মেলনের কূটনৈতিক ভারসাম্য কিছুটা কমে যেতে পারে। তবে এই অনুপস্থিতি ভবিষ্যতের দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় প্রভাব ফেলবে কিনা, তা এখনো অনিশ্চিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

জি৭ সম্মেলনে মোদির অনুপস্থিতি সম্ভাব্য, আমন্ত্রণ জানায়নি কানাডা

আপডেট সময় ১০:১৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

 

চলতি মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি৭ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কানাডার পক্ষ থেকে এবারের সম্মেলনে মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে ও হিন্দুস্তান টাইমস।

১৫ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত কানাডার আলবার্টা প্রদেশের কানানাস্কিস রিসোর্টে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আয়োজক দেশ কানাডার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সদ্য দায়িত্ব নেওয়া প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি।

জি৭ জোটের সদস্য দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও কানাডা। প্রতি বছর সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘসহ বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ ও সংস্থার নেতাদের অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়ে থাকে।

তবে কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছে, ভারত ও কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে এবার মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

২০২৩ সালে কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করেন, খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার সঙ্গে ভারতের সরকারি এজেন্টরা জড়িত। এই অভিযোগ ঘিরেই দুই দেশের সম্পর্কে গভীর সংকট দেখা দেয়। ভারত এই অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ ও ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করে। এরপর পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে।

কানাডায় কার্নির নতুন সরকারের ক্ষমতায় আসার পর কিছুটা আশাবাদ তৈরি হলেও, সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়নি।

সম্মেলন-সংক্রান্ত একটি সূত্র বলেছে, “উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনর্গঠনের জন্য এখনো অনেক কাজ বাকি। আপাতত আমন্ত্রণের কোনো উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়নি।”

ফলে ২০১৮ সালের পর প্রথমবারের মতো জি৭ সম্মেলনে মোদির অনুপস্থিতির সম্ভাবনা তৈরি হলো।

বিশ্লেষকদের মতে, ভারতকে ছাড়া জি৭ সম্মেলনের কূটনৈতিক ভারসাম্য কিছুটা কমে যেতে পারে। তবে এই অনুপস্থিতি ভবিষ্যতের দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় প্রভাব ফেলবে কিনা, তা এখনো অনিশ্চিত।