ঢাকা ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার বিমানঘাঁটি বিধ্বস্ত, দাবি ৪০টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের গা/জা/য় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরাইলের হামলা, নিহত অন্তত ৫০ শীর্ষে রেমিট্যান্সের ধারা: মে মাসে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ ২৯৭ কোটি ডলার বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নস্যাৎ করতে অপপ্রচারে লিপ্ত কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম: সেনাবাহিনী রাজস্ব খাতে চাকরির দাবিতে আন্দোলনে ‘তথ্য আপা’দের সরিয়ে দিল পুলিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া আর উৎসবের রঙ নিয়ে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত হলো ড্রাগন বোট ফেস্টিভাল দুধ শুধু পণ্য নয়, আমাদের সংস্কৃতির অংশ: ফরিদা আখতার সিলেট-মৌলভীবাজারে বন্যার প্রকোপ, বাড়ছে নদ-নদীর পানি রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে ১২ সেনা নিহত, আহত ৬০’র বেশি ২ জুন ঘোষণা আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট: গুরুত্ব পাচ্ছে মূল্যস্ফীতি ও করনীতি

‘ইলন মাস্ক যাচ্ছেন না, তিনিই থাকবেন পরোক্ষভাবে’: বিদায় অনুষ্ঠানে ট্রাম্প

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • / 11

ছবি: সংগৃহীত

 

ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে সরকারি দক্ষতা উন্নয়ন বিভাগ (ডিওজিই)-এর প্রধানের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন টেসলা ও স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্ক। শুক্রবার (৩০ মে) হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান। তবে বিদায়ের সময়ই মাস্ক জানিয়ে দেন, তিনি সরাসরি দায়িত্বে না থাকলেও প্রশাসনের সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকবেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মাস্কের বিদায় উপলক্ষে ওভাল অফিসে যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “মাস্ক আসলেই যাচ্ছেন না, তিনি হোয়াইট হাউসে পরোক্ষভাবে কাজ চালিয়ে যাবেন। তিনি সবসময়ই আমাদের অংশ হয়ে থাকবেন।”

উল্লেখ্য, ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডিওজিই গত চার মাসে একাধিক আলোচিত ও সমালোচিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তরুণ প্রযুক্তিনির্ভর কর্মীদের মাধ্যমে একাধিক সরকারি দফতরে ‘অপচয় রোধ’ এবং ‘দক্ষতা বৃদ্ধির’ নামে ব্যাপক ছাঁটাই ও বাজেট কাঁটছাঁট চালানো হয়। এই সময়ে লক্ষাধিক সরকারি কর্মী ছাঁটাই হন এবং বহু প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়, যার ফলে বৈদেশিক সহায়তা বড় রকমের ধাক্কা খেয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, এতে বিশ্বের দরিদ্রতম মানুষরা বিপদে পড়বে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রগুলো কৌশলগতভাবে সুবিধা পেতে পারে।

তবে বাস্তব চিত্র বলছে, মাস্কের প্রাথমিক ঘোষণার তুলনায় বাস্তব অর্জন অনেক কম। ওয়াশিংটনের এক রক্ষণশীল সম্মেলনে মাস্ক বলেছিলেন, “সরকারি ব্যয়ের দুই ট্রিলিয়ন ডলার কেটে ফেলা খুবই সহজ হবে।” প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও তার প্রশংসা করে বলেছিলেন, ডিওজিই ‘অপচয় কমাচ্ছে’ এবং মাস্কের টিম ‘দুর্নীতির দীর্ঘ তালিকা’ প্রকাশ করছে।

কিন্তু স্বাধীনভাবে পরিচালিত ওয়েবসাইট ‘ডিওজিই ট্র্যাকার’-এর তথ্যমতে, এই পর্যন্ত সাশ্রয় হয়েছে মাত্র ১২ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে ‘দ্য আটলান্টিক’ ম্যাগাজিন জানিয়েছে, প্রকৃত সাশ্রয় আরও কম, মাত্র ২ বিলিয়ন ডলার।

এমন বাস্তবতায় মাস্কের বিদায় কিছুটা নীরব হলেও, ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি এবং মাস্কের নিজস্ব ঘোষণায় এটা স্পষ্ট যে, প্রশাসনের সঙ্গে তার সংযোগ একেবারে ছিন্ন হচ্ছে না। সরকারি খাতে ‘পরিবর্তনের ধারায়’ তিনি থাকবেন, তবে এবার হয়তো কিছুটা আড়ালেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘ইলন মাস্ক যাচ্ছেন না, তিনিই থাকবেন পরোক্ষভাবে’: বিদায় অনুষ্ঠানে ট্রাম্প

আপডেট সময় ১১:২৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

 

ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে সরকারি দক্ষতা উন্নয়ন বিভাগ (ডিওজিই)-এর প্রধানের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন টেসলা ও স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্ক। শুক্রবার (৩০ মে) হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান। তবে বিদায়ের সময়ই মাস্ক জানিয়ে দেন, তিনি সরাসরি দায়িত্বে না থাকলেও প্রশাসনের সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকবেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মাস্কের বিদায় উপলক্ষে ওভাল অফিসে যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “মাস্ক আসলেই যাচ্ছেন না, তিনি হোয়াইট হাউসে পরোক্ষভাবে কাজ চালিয়ে যাবেন। তিনি সবসময়ই আমাদের অংশ হয়ে থাকবেন।”

উল্লেখ্য, ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডিওজিই গত চার মাসে একাধিক আলোচিত ও সমালোচিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তরুণ প্রযুক্তিনির্ভর কর্মীদের মাধ্যমে একাধিক সরকারি দফতরে ‘অপচয় রোধ’ এবং ‘দক্ষতা বৃদ্ধির’ নামে ব্যাপক ছাঁটাই ও বাজেট কাঁটছাঁট চালানো হয়। এই সময়ে লক্ষাধিক সরকারি কর্মী ছাঁটাই হন এবং বহু প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়, যার ফলে বৈদেশিক সহায়তা বড় রকমের ধাক্কা খেয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, এতে বিশ্বের দরিদ্রতম মানুষরা বিপদে পড়বে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রগুলো কৌশলগতভাবে সুবিধা পেতে পারে।

তবে বাস্তব চিত্র বলছে, মাস্কের প্রাথমিক ঘোষণার তুলনায় বাস্তব অর্জন অনেক কম। ওয়াশিংটনের এক রক্ষণশীল সম্মেলনে মাস্ক বলেছিলেন, “সরকারি ব্যয়ের দুই ট্রিলিয়ন ডলার কেটে ফেলা খুবই সহজ হবে।” প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও তার প্রশংসা করে বলেছিলেন, ডিওজিই ‘অপচয় কমাচ্ছে’ এবং মাস্কের টিম ‘দুর্নীতির দীর্ঘ তালিকা’ প্রকাশ করছে।

কিন্তু স্বাধীনভাবে পরিচালিত ওয়েবসাইট ‘ডিওজিই ট্র্যাকার’-এর তথ্যমতে, এই পর্যন্ত সাশ্রয় হয়েছে মাত্র ১২ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে ‘দ্য আটলান্টিক’ ম্যাগাজিন জানিয়েছে, প্রকৃত সাশ্রয় আরও কম, মাত্র ২ বিলিয়ন ডলার।

এমন বাস্তবতায় মাস্কের বিদায় কিছুটা নীরব হলেও, ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি এবং মাস্কের নিজস্ব ঘোষণায় এটা স্পষ্ট যে, প্রশাসনের সঙ্গে তার সংযোগ একেবারে ছিন্ন হচ্ছে না। সরকারি খাতে ‘পরিবর্তনের ধারায়’ তিনি থাকবেন, তবে এবার হয়তো কিছুটা আড়ালেই।