ঢাকা ০২:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
খাগড়াছড়িতে কাভার্ডভ্যান ও ট্রাক্টরের সংঘর্ষে অগ্নিকাণ্ড, আহত ৪ শক্তিশালী ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাতে ভারতের উত্তরপ্রদেশে একদিনেই ৪৫ জনের প্রাণহানি ঈদে বাজারে আসছে নতুন টাকা, থাকছে না কোনো ব্যক্তির ছবি: গভর্নর বৃষ্টিতে ভাসছে বোরো ধান, হতাশায় বগুড়ার কৃষকরা আজ ১১ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা, নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা ভারত-পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধ হবে ‘পারস্পরিক ধ্বংস’: আইএসপিআর ডিজি সিরিয়ার ওপর সকল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প প্রশাসন শান্তিচুক্তির আগেই কিয়েভে রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা আসন্ন ঈদ সামনে রেখে আজ খোলা অফিস ও ব্যাংক ইন্টার মিলানকে হতাশায় ডুবিয়ে সিরি আ শিরোপা জয় নাপোলির

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭৬, আহত ১৮৫

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২২:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার হামলা আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার (২৩ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭৬ জন ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে ৫০ জনই গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা ছিলেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৮৫ জন। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মানুষ চাপা পড়ে আছেন, ফলে নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায়। ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল পরদিন থেকেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে।

১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা অভিযানে গাজায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৮২২ জন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৩৮২ জন। নিহত ও আহতদের মধ্যে ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

চলমান আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েল চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে, ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। এই দ্বিতীয় দফার অভিযানে গত আড়াই মাসে নিহত হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৬৭৩ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ১০ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি।

অন্যদিকে, হামাসের হাতে বন্দি থাকা ২৫১ জন জিম্মির মধ্যে এখনো অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছে বলে ধারণা করছে ইসরায়েল। তাদের উদ্ধারে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ।

দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই সংঘাতে গাজা পরিণত হয়েছে এক মৃত্যুকূপে। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও তা উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছে।

এই ধ্বংসযজ্ঞে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ, বিশেষত নারী ও শিশুরা। মানবিক সহায়তার অভাবে গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি আরও করুণ হয়ে উঠছে দিনদিন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭৬, আহত ১৮৫

আপডেট সময় ১০:২২:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার হামলা আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার (২৩ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭৬ জন ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে ৫০ জনই গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা ছিলেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৮৫ জন। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মানুষ চাপা পড়ে আছেন, ফলে নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায়। ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল পরদিন থেকেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে।

১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা অভিযানে গাজায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৮২২ জন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৩৮২ জন। নিহত ও আহতদের মধ্যে ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

চলমান আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েল চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে, ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। এই দ্বিতীয় দফার অভিযানে গত আড়াই মাসে নিহত হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৬৭৩ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ১০ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি।

অন্যদিকে, হামাসের হাতে বন্দি থাকা ২৫১ জন জিম্মির মধ্যে এখনো অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছে বলে ধারণা করছে ইসরায়েল। তাদের উদ্ধারে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ।

দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই সংঘাতে গাজা পরিণত হয়েছে এক মৃত্যুকূপে। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও তা উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছে।

এই ধ্বংসযজ্ঞে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ, বিশেষত নারী ও শিশুরা। মানবিক সহায়তার অভাবে গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি আরও করুণ হয়ে উঠছে দিনদিন।