ঢাকা ০৪:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কিয়েভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা প্রতিহত, নিহত ৬ ইউক্রেনীয় সেনা সব দলের এক ইচ্ছা, নির্বাচন চান সবাই – দায়িত্বে থাকুক প্রধান উপদেষ্টা ভোলায় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে চলবে ১৭ ফেরি ও ২০ লঞ্চ জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম বন্ধের নির্দেশ দিল ভিয়েতনাম সরকার ২৪ ঘণ্টার বিশেষ অভিযানে সারা দেশে গ্রেফতার ১,৭৪৪ জন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা মুকুল দেব আর নেই দক্ষিণ আফ্রিকায় সোনা খনিতে আটকে পড়া ২৬০ শ্রমিক জীবিত উদ্ধার আবার একসঙ্গে মেসি-রোনালদো? ক্লাব বিশ্বকাপে জেগেছে এক দলে খেলার সম্ভাবনা লন্ডনে শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্টদের ১৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

রাশিয়া-ইউক্রেনের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ বন্দি বিনিময়, ফিরলেন ৭৮০ জন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:১৬:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ২০২২ সালে শুরু হওয়া পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের পর এটাই সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময়। দুই দেশই একে অপরের ৩৯০ জন করে সেনা ও বেসামরিক ব্যক্তিকে ফেরত দিয়েছে। বেলারুশ সীমান্তে এ বিনিময় সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে উভয় পক্ষই ২৭০ জন সেনা ও ১২০ জন বেসামরিক নাগরিককে হস্তান্তর করেছে।

তুরস্কের ইস্তানবুলে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে এক সপ্তাহ আগে এই বিনিময় চূড়ান্ত হয়। এতে এক হাজার বন্দি বিনিময়ের সিদ্ধান্ত হয়, এবং উভয় দেশই জানিয়েছে ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের উদ্ধারকৃতদের মধ্যে অনেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাতে কুর্স্ক সীমান্ত অঞ্চলে সাম্প্রতিক হামলার সময় আটক হয়েছিলেন। বর্তমানে তারা বেলারুশে রয়েছেন এবং চিকিৎসার জন্য রাশিয়ায় নেওয়া হবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে জানান, “আমরা আমাদের মানুষদের ঘরে ফিরিয়ে আনছি। প্রতিটি নাম, প্রতিটি তথ্য আমরা যাচাই করছি।” ইউক্রেনের যুদ্ধবন্দি সমন্বয় দপ্তর জানায়, মুক্তিপ্রাপ্ত সেনারা মূলত কিয়েভ, চেরনিহিভ, সুমি, দোনেৎস্ক, খারকিভ ও খেরসন অঞ্চলে যুদ্ধ করছিলেন। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে তিনজন নারীও রয়েছেন এবং অনেকেই ২০২২ সাল থেকেই বন্দি ছিলেন।

এই বিনিময়কে ‘গঠনমূলক সূচনা’ হিসেবে দেখছেন মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যাল-এ তিনি মন্তব্য করেন, “এটি কিছু বড় কিছুর সূচনা হতে পারে???”

এদিকে, উত্তর ইউক্রেনে বন্দি সেনাদের পরিবারগুলো আনন্দ ও উদ্বেগে মিলিত হয়েছেন। এক মা, নাতালিয়া জানান, তার ছেলে ইয়েলিজার তিন বছর আগে সিভিয়ারোডোনেটস্ক যুদ্ধে বন্দি হন। তিনি এখনো আশা করছেন ছেলেকে ফিরে পাবেন। আরেকজন মা ওলহা জানান, তার ছেলে ভ্যালেরি দুই মাস আগে লুহানস্কে নিখোঁজ হন এবং তারপর থেকেই তার জীবন থমকে গেছে।

তুরস্কে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ২০২২ সালের মার্চের পর প্রথমবারের মতো রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা মুখোমুখি হন। যদিও এই বৈঠক মাত্র দুই ঘণ্টা স্থায়ী হয় এবং যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানান, একটি ‘মেমোরেন্ডাম’ দেওয়া হবে দ্বিতীয় দফা বৈঠকে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি পুতিনকে অভিযুক্ত করেন ‘সময় নষ্টের মাধ্যমে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা’ করার জন্য।

সূত্র: বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন

রাশিয়া-ইউক্রেনের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ বন্দি বিনিময়, ফিরলেন ৭৮০ জন

আপডেট সময় ১০:১৬:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

 

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ২০২২ সালে শুরু হওয়া পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের পর এটাই সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময়। দুই দেশই একে অপরের ৩৯০ জন করে সেনা ও বেসামরিক ব্যক্তিকে ফেরত দিয়েছে। বেলারুশ সীমান্তে এ বিনিময় সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে উভয় পক্ষই ২৭০ জন সেনা ও ১২০ জন বেসামরিক নাগরিককে হস্তান্তর করেছে।

তুরস্কের ইস্তানবুলে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে এক সপ্তাহ আগে এই বিনিময় চূড়ান্ত হয়। এতে এক হাজার বন্দি বিনিময়ের সিদ্ধান্ত হয়, এবং উভয় দেশই জানিয়েছে ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের উদ্ধারকৃতদের মধ্যে অনেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাতে কুর্স্ক সীমান্ত অঞ্চলে সাম্প্রতিক হামলার সময় আটক হয়েছিলেন। বর্তমানে তারা বেলারুশে রয়েছেন এবং চিকিৎসার জন্য রাশিয়ায় নেওয়া হবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে জানান, “আমরা আমাদের মানুষদের ঘরে ফিরিয়ে আনছি। প্রতিটি নাম, প্রতিটি তথ্য আমরা যাচাই করছি।” ইউক্রেনের যুদ্ধবন্দি সমন্বয় দপ্তর জানায়, মুক্তিপ্রাপ্ত সেনারা মূলত কিয়েভ, চেরনিহিভ, সুমি, দোনেৎস্ক, খারকিভ ও খেরসন অঞ্চলে যুদ্ধ করছিলেন। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে তিনজন নারীও রয়েছেন এবং অনেকেই ২০২২ সাল থেকেই বন্দি ছিলেন।

এই বিনিময়কে ‘গঠনমূলক সূচনা’ হিসেবে দেখছেন মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যাল-এ তিনি মন্তব্য করেন, “এটি কিছু বড় কিছুর সূচনা হতে পারে???”

এদিকে, উত্তর ইউক্রেনে বন্দি সেনাদের পরিবারগুলো আনন্দ ও উদ্বেগে মিলিত হয়েছেন। এক মা, নাতালিয়া জানান, তার ছেলে ইয়েলিজার তিন বছর আগে সিভিয়ারোডোনেটস্ক যুদ্ধে বন্দি হন। তিনি এখনো আশা করছেন ছেলেকে ফিরে পাবেন। আরেকজন মা ওলহা জানান, তার ছেলে ভ্যালেরি দুই মাস আগে লুহানস্কে নিখোঁজ হন এবং তারপর থেকেই তার জীবন থমকে গেছে।

তুরস্কে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ২০২২ সালের মার্চের পর প্রথমবারের মতো রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা মুখোমুখি হন। যদিও এই বৈঠক মাত্র দুই ঘণ্টা স্থায়ী হয় এবং যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানান, একটি ‘মেমোরেন্ডাম’ দেওয়া হবে দ্বিতীয় দফা বৈঠকে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি পুতিনকে অভিযুক্ত করেন ‘সময় নষ্টের মাধ্যমে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা’ করার জন্য।

সূত্র: বিবিসি