ঢাকা ০৮:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে ‘বাধা সৃষ্টি করছে’ সরকারের একটি অংশ: রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত পরিবেশ উপেক্ষিত থাকলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়: রিজওয়ানা হাসান রামগড়ে সীমান্তে ৫ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ শক্তিশালী মেঘমালায় উত্তাল বঙ্গোপসাগর, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জাপানে ৫০ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ট্যাক্সিচালক গ্রেপ্তার, ৩০০০ ছবি-ভিডিও উদ্ধার সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে বড় পদক্ষেপ, অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমালো বিটিআরসি নিশি ইসলামের মামলায় অভিনেত্রী শাওনসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ছাড়লেন, কিশোরগঞ্জে ৩০ নেতাকর্মীর ছাত্রদলে যোগদান

শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তাদের তথ্য চুরি: অ্যাপ হ্যাকের ঘটনায় হোয়াইট হাউজের স্বীকারোক্তি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:২১:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্য চুরির ঘটনায় বড় ধরনের সাইবার নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে দেশটি। হোয়াইট হাউজ স্বীকার করেছে, একটি জনপ্রিয় যোগাযোগ অ্যাপ ‘টেলিমেসেজ’ হ্যাক করে হ্যাকাররা অন্তত ৬০ জন মার্কিন কর্মকর্তার ব্যক্তিগত ও পেশাগত তথ্য সংগ্রহ করেছে।

হ্যাক হওয়া অ্যাপটি ব্যবহার করতেন মার্কিন কংগ্রেসম্যান মাইক ওয়াল্টজ। তার অ্যাকাউন্ট থেকেই মূলত এই নিরাপত্তা ভাঙচুরের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, অ্যাপটির মাধ্যমে যে মেটাডেটা সংগ্রহ করা হয়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর পাল্টা গোয়েন্দা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। চুরি যাওয়া তথ্যের মধ্যে ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (FEMA), কাস্টমস ও বর্ডার প্রোটেকশন এবং সিক্রেট সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সংবেদনশীল যোগাযোগ সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে।

এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, সরকারী কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত অ্যাপগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ধরণের ফাঁকফোকর রয়েছে। বিশেষ করে তৃতীয় পক্ষের যোগাযোগ অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে।

এই সাইবার হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে হোয়াইট হাউজ জানায়, অ্যাপ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘স্মার্শ’ এ বিষয়ে অবহিত হয়েছে এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে টেলিমেসেজ অ্যাপটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে এই ঘটনার পেছনের হ্যাকার বা গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা মহল মনে করছে, এই ধরনের হামলা শুধু তথ্য চুরির জন্য নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক নজরদারি চালানোর উদ্দেশ্যেও হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের এখনই আরও শক্তিশালী সাইবার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা উচিত। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবহৃত সব ধরনের অ্যাপ্লিকেশনের নিরাপত্তা পরীক্ষার আওতায় আনা প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঝুঁকিপূর্ণ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানো যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তাদের তথ্য চুরি: অ্যাপ হ্যাকের ঘটনায় হোয়াইট হাউজের স্বীকারোক্তি

আপডেট সময় ০৫:২১:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্য চুরির ঘটনায় বড় ধরনের সাইবার নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে দেশটি। হোয়াইট হাউজ স্বীকার করেছে, একটি জনপ্রিয় যোগাযোগ অ্যাপ ‘টেলিমেসেজ’ হ্যাক করে হ্যাকাররা অন্তত ৬০ জন মার্কিন কর্মকর্তার ব্যক্তিগত ও পেশাগত তথ্য সংগ্রহ করেছে।

হ্যাক হওয়া অ্যাপটি ব্যবহার করতেন মার্কিন কংগ্রেসম্যান মাইক ওয়াল্টজ। তার অ্যাকাউন্ট থেকেই মূলত এই নিরাপত্তা ভাঙচুরের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, অ্যাপটির মাধ্যমে যে মেটাডেটা সংগ্রহ করা হয়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর পাল্টা গোয়েন্দা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। চুরি যাওয়া তথ্যের মধ্যে ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (FEMA), কাস্টমস ও বর্ডার প্রোটেকশন এবং সিক্রেট সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সংবেদনশীল যোগাযোগ সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে।

এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, সরকারী কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত অ্যাপগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ধরণের ফাঁকফোকর রয়েছে। বিশেষ করে তৃতীয় পক্ষের যোগাযোগ অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে।

এই সাইবার হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে হোয়াইট হাউজ জানায়, অ্যাপ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘স্মার্শ’ এ বিষয়ে অবহিত হয়েছে এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে টেলিমেসেজ অ্যাপটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে এই ঘটনার পেছনের হ্যাকার বা গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা মহল মনে করছে, এই ধরনের হামলা শুধু তথ্য চুরির জন্য নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক নজরদারি চালানোর উদ্দেশ্যেও হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের এখনই আরও শক্তিশালী সাইবার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা উচিত। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবহৃত সব ধরনের অ্যাপ্লিকেশনের নিরাপত্তা পরীক্ষার আওতায় আনা প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঝুঁকিপূর্ণ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানো যায়।