আঞ্চলিক বাণিজ্যে গতি আনতে চীন–পাকিস্তান করিডরে যুক্ত আফগানিস্তান

- আপডেট সময় ১২:৩৯:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
- / 2
চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (CPEC)-এ এবার যুক্ত হচ্ছে আফগানিস্তান। বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত এক ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে চীন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠকে আফগান তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার অংশ নেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জাপানের এনএইচকে বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্প আফগানিস্তান পর্যন্ত সম্প্রসারণের বিষয়ে তিন দেশই একমত হয়েছে। এটি চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI) বা ‘অঞ্চল ও পথ’ প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সম্পর্কের টানাপোড়েন ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান নিয়ে জটিলতা দেখা গেছে, তবে এবার উভয় দেশ পরস্পরের দেশে রাষ্ট্রদূত নিয়োগে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।
আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে আগ্রহী আফগানিস্তান। মন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বলেন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো হবে।
২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর এখন পর্যন্ত চীন ও পাকিস্তান কোনো দেশই তাদের সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি। তবে চীন কৌশলগতভাবে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করছে এবং ২০২৩ সালে তারা কাবুলে একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেয়।
এ বৈঠক নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, আফগানিস্তানকে CPEC-এ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তটি অঞ্চল ও পথ প্রকল্পের কাঠামোর মধ্যে পড়ে এবং এটি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক সংযুক্তি বাড়াতে সহায়ক হবে।
চীন আবারও পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
এছাড়া বিবৃতিতে সন্ত্রাসবাদ ও বহিরাগত হুমকির বিরুদ্ধে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকারও তুলে ধরা হয়েছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের স্বার্থে তিন দেশ সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান জোরদারে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বলে জানানো হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তানকে সিপিইসিতে অন্তর্ভুক্ত করে চীন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় তাদের কৌশলগত প্রভাব বাড়াতে চায়। বিশেষ করে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের সাম্প্রতিক উত্তেজনার পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটাই প্রথম বেইজিং সফর।