ঢাকা ১২:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পারমাণবিক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব, তেহরানের ‘অবিশ্বাস’ স্পষ্ট আধুনিক সভ্যতা ভেঙে পড়েছে, গণতন্ত্রও ব্যর্থ: মাহাথির মোহাম্মদ নয়াদিল্লিতে চারতলা ভবনে ভয়াবহ ধস, বহু মানুষ চাপা পড়ার আশঙ্কা জলাবদ্ধতায় নোয়াখালীতে পানিবন্দী প্রায় দুই লাখ মানুষ, বাড়ছে দুর্ভোগ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ ইঞ্জিন সংকট, ট্রেন চলাচলে বিশৃঙ্খলা ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত গাজা এখন ‘শিশু ও অনাহারীদের কবরস্থান’: জাতিসংঘের সতর্কবার্তা লেবাননের সঙ্গে ১০ কোটি ডলারের যুদ্ধবিমান রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে ১,৩৫০ কর্মকর্তা ছাঁটাই করলো ট্রাম্প প্রশাসন অপরাধী যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে: মির্জা ফখরুল

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২০ ফিলিস্তিনি নিহত, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৫২ হাজার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:১৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • / 38

ছবি সংগৃহীত

 

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় আরও প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি। নতুন এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১২৫ জন। এর ফলে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি হামলায় গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৯৩০ জনে। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৪৬ জন।

বুধবার (১৪ মে) তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও ২০ জনের প্রাণ গেছে। বহু হতাহত এখনও ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছে, অনেকের মরদেহ রাস্তায় পড়ে থাকলেও নিরাপত্তা ও সরঞ্জাম সংকটে উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

প্রসঙ্গত, ১৫ মাস ধরে ইসরায়েলের টানা সামরিক আগ্রাসনের মুখে পড়ে রয়েছে গাজা উপত্যকা। যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি এক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। এরপর প্রায় দুই মাস গাজায় আপাত শান্তি বজায় থাকলেও, মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে আবারও ইসরায়েল বিমান হামলা শুরু করে। হামাসের সঙ্গে মতানৈক্য এবং সেনা প্রত্যাহারের ইস্যুকে কেন্দ্র করেই নতুন করে এই আগ্রাসন শুরু হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া নতুন দফার হামলায় এখন পর্যন্ত প্রাণ গেছে প্রায় ২ হাজার ৮০০ জন ফিলিস্তিনির। আহত হয়েছেন আরও ৭ হাজার ৮০০ জনের বেশি। এই নতুন দফার হামলা কার্যত চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঘোষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে লঙ্ঘন করেছে।

ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকা মানুষদের জীবনের ঝুঁকি এবং চিকিৎসা সংকট দিন দিন বাড়ছে। ইসরায়েলের দখলদার নীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলে প্রতিবাদ জোরদার হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ এখনও দেখা যাচ্ছে না।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হলে গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় আরও ঘনীভূত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২০ ফিলিস্তিনি নিহত, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৫২ হাজার

আপডেট সময় ১১:১৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

 

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় আরও প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি। নতুন এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১২৫ জন। এর ফলে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি হামলায় গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৯৩০ জনে। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৪৬ জন।

বুধবার (১৪ মে) তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও ২০ জনের প্রাণ গেছে। বহু হতাহত এখনও ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছে, অনেকের মরদেহ রাস্তায় পড়ে থাকলেও নিরাপত্তা ও সরঞ্জাম সংকটে উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

প্রসঙ্গত, ১৫ মাস ধরে ইসরায়েলের টানা সামরিক আগ্রাসনের মুখে পড়ে রয়েছে গাজা উপত্যকা। যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি এক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। এরপর প্রায় দুই মাস গাজায় আপাত শান্তি বজায় থাকলেও, মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে আবারও ইসরায়েল বিমান হামলা শুরু করে। হামাসের সঙ্গে মতানৈক্য এবং সেনা প্রত্যাহারের ইস্যুকে কেন্দ্র করেই নতুন করে এই আগ্রাসন শুরু হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া নতুন দফার হামলায় এখন পর্যন্ত প্রাণ গেছে প্রায় ২ হাজার ৮০০ জন ফিলিস্তিনির। আহত হয়েছেন আরও ৭ হাজার ৮০০ জনের বেশি। এই নতুন দফার হামলা কার্যত চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঘোষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে লঙ্ঘন করেছে।

ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকা মানুষদের জীবনের ঝুঁকি এবং চিকিৎসা সংকট দিন দিন বাড়ছে। ইসরায়েলের দখলদার নীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলে প্রতিবাদ জোরদার হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ এখনও দেখা যাচ্ছে না।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হলে গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় আরও ঘনীভূত হবে।