১০:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

আটারি সীমান্তে ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে একজন করে সেনা বন্দিবিনিময়

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২৪:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / 57

ছবি সংগৃহীত

 

ভারত ও পাকিস্তান আজ বুধবার সকালে শান্তিপূর্ণভাবে একজন করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে একে অপরের কাছে হস্তান্তর করেছে। আটারি-ওয়াঘা সীমান্তে অনুষ্ঠিত এ বন্দী বিনিময় দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান উত্তেজনার মধ্যে একটি শান্তির বার্তা নিয়ে এল।

ভারতের হাতে থাকা পাকিস্তান রেঞ্জার্সের সদস্য মুহাম্মদ উল্লাহকে পাকিস্তানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একই সঙ্গে পাকিস্তানও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্য পূর্ণম কুমার শ–কে ভারতের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। পূর্ণম কুমার গত ২৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সীমান্তে দায়িত্ব পালনের সময় ভুলবশত পাকিস্তানে প্রবেশ করেন এবং সেখানকার রেঞ্জার্স বাহিনীর হাতে আটক হন।

বিজ্ঞাপন

বিএসএফ-এর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘পূর্ণম কুমার ২৩ এপ্রিল থেকে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের হেফাজতে ছিলেন। আজ সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে পাঞ্জাবের অমৃতসরের আটারি যৌথ চেকপোস্ট দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে তাঁকে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রক্রিয়াটি দুই দেশের মধ্যে প্রচলিত নিয়ম মেনেই সম্পন্ন হয়েছে।’

জানা যায়, ৪০ বছর বয়সী পূর্ণম কুমার ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর একটি সশস্ত্র হামলার ঠিক পরদিন সীমান্ত পার হয়ে পাকিস্তানে চলে যান। উক্ত হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন নিরীহ পর্যটক, যা ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা আরও তীব্র করে তোলে।

বন্দী বিনিময়ের এ ঘটনাকে দুই দেশের মিডিয়া শান্তিপূর্ণ এবং আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে তুলে ধরেছে। আন্তর্জাতিক মহলেও এই বিনিময়কে স্বাগত জানানো হচ্ছে, কারণ এটি পারস্পরিক আস্থা পুনর্গঠনে সহায়ক হতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, দুই দেশের মধ্যে এমন মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ভবিষ্যতে আলোচনার দরজা খুলে দিতে পারে এবং সীমান্তে সহিংসতা ও উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

এই ঘটনা প্রমাণ করে, সঠিক সময় ও সদিচ্ছা থাকলে এমন জটিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আটারি সীমান্তে ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে একজন করে সেনা বন্দিবিনিময়

আপডেট সময় ০৪:২৪:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

 

ভারত ও পাকিস্তান আজ বুধবার সকালে শান্তিপূর্ণভাবে একজন করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে একে অপরের কাছে হস্তান্তর করেছে। আটারি-ওয়াঘা সীমান্তে অনুষ্ঠিত এ বন্দী বিনিময় দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান উত্তেজনার মধ্যে একটি শান্তির বার্তা নিয়ে এল।

ভারতের হাতে থাকা পাকিস্তান রেঞ্জার্সের সদস্য মুহাম্মদ উল্লাহকে পাকিস্তানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একই সঙ্গে পাকিস্তানও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্য পূর্ণম কুমার শ–কে ভারতের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। পূর্ণম কুমার গত ২৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সীমান্তে দায়িত্ব পালনের সময় ভুলবশত পাকিস্তানে প্রবেশ করেন এবং সেখানকার রেঞ্জার্স বাহিনীর হাতে আটক হন।

বিজ্ঞাপন

বিএসএফ-এর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘পূর্ণম কুমার ২৩ এপ্রিল থেকে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের হেফাজতে ছিলেন। আজ সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে পাঞ্জাবের অমৃতসরের আটারি যৌথ চেকপোস্ট দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে তাঁকে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রক্রিয়াটি দুই দেশের মধ্যে প্রচলিত নিয়ম মেনেই সম্পন্ন হয়েছে।’

জানা যায়, ৪০ বছর বয়সী পূর্ণম কুমার ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর একটি সশস্ত্র হামলার ঠিক পরদিন সীমান্ত পার হয়ে পাকিস্তানে চলে যান। উক্ত হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন নিরীহ পর্যটক, যা ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা আরও তীব্র করে তোলে।

বন্দী বিনিময়ের এ ঘটনাকে দুই দেশের মিডিয়া শান্তিপূর্ণ এবং আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে তুলে ধরেছে। আন্তর্জাতিক মহলেও এই বিনিময়কে স্বাগত জানানো হচ্ছে, কারণ এটি পারস্পরিক আস্থা পুনর্গঠনে সহায়ক হতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, দুই দেশের মধ্যে এমন মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ভবিষ্যতে আলোচনার দরজা খুলে দিতে পারে এবং সীমান্তে সহিংসতা ও উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

এই ঘটনা প্রমাণ করে, সঠিক সময় ও সদিচ্ছা থাকলে এমন জটিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব।