ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা ট্রাম্প করেনি: ভারতের স্পষ্ট বার্তা

- আপডেট সময় ১১:৪৬:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
- / 5
ভারত ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনিই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করেছেন। তবে এই দাবিকে পুরোপুরি অস্বীকার করেছে ভারত সরকার।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্পষ্ট বক্তব্য কাশ্মীর ও সীমান্ত নিয়ে ভারতের অবস্থান সবসময়ই দ্বিপাক্ষিক সমাধানের পক্ষে, এবং এই নীতিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারতের নীতিগত অবস্থান পরিষ্কার পাকিস্তান যদি গুলি চালায়, ভারতও প্রতিহত করবে। আর যদি থামে, ভারতও থামবে।”
ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনি ভারত ও পাকিস্তানকে বাণিজ্য বন্ধের হুমকি দিয়ে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করিয়েছেন। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ৭ থেকে ১০ মে পর্যন্ত ‘অপারেশন সিন্ধুর’ সময়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যেসব আলোচনা হয়েছে, তার কোনোটিতেই বাণিজ্য ইস্যু আসেনি।
ভারতের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, ১০ মে বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক প্রধানদের মধ্যে ফোনালাপেই যুদ্ধবিরতির সময় ও শর্ত ঠিক হয়। পাকিস্তান হাইকমিশনের অনুরোধে ভারতের ডিজিএমও আলোচনায় অংশ নেন। এর আগে ভোরবেলা ভারত পাকিস্তানের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটিতে সফল হামলা চালায়। এই সামরিক চাপেই পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর সফল অভিযানের ফলেই পাকিস্তান পিছু হটেছে বলে দাবি করে ভারত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি কোনো কূটনৈতিক উদ্যোগ নয় বরং সামরিক কৌশলের সফল ফলাফল।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলের ভূমিকাও তুলে ধরেছে ভারত। তারা জানায়, বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং একই বার্তা দেওয়া হয়েছে “ভারতের জবাব ছিল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে।” ভারতের মতে, এই তথ্য আন্তর্জাতিক নেতারাও পাকিস্তানকে জানালে ইসলামাবাদ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
ট্রাম্পের নিজের মধ্যস্থতা দাবি প্রসঙ্গে ভারত বলেছে, এটি বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জয়সওয়াল বলেন, “ভারত কখনোই পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইলে মাথা নত করবে না এবং এমন হুমকির আড়ালে সন্ত্রাসবাদের অনুমোদন দেবে না।”
সবশেষে, ভারত স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে এই যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব সম্পূর্ণভাবে ভারতের সেনাবাহিনীর দৃঢ়তা ও সাফল্যের প্রমাণ।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, টাইমস অব ইন্ডিয়া