ঢাকা ১২:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব ট্রাম্পের, ভারতের প্রতিক্রিয়া কী? আ.লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে ভারতের উদ্বেগ নোয়াখালীতে যুবলীগ কর্মীকে হত্যা, মরদেহ ফেলার সময় আটক ২ ঢাকার মূল সড়কে রিকশা নিষিদ্ধ: ডিএনসিসি প্রশাসক ভোজ্যতেল বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে রাইস ব্রান তেল কিনবে সরকার কমেছে উড়োজাহাজ জ্বালানির দাম দেশীয় গরুর জাত রক্ষায় জরুরি রোডম্যাপের তাগিদ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার স্বাস্থ্যসেবায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মানবিক করিডোর নিয়ে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা বললেন হাফিজ উদ্দিন বিয়ের খরচ চিন্তা করে এখনো সিঙ্গেল সালমান খান!

ই/স/রা/য়ে/ল ছাড়াই মধ্যপ্রাচ্যের ৩ দেশে ট্রাম্পের সফর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৫২:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • / 11

ছবি সংগৃহীত

 

আজ মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্যের তিনটি দেশে চারদিনের সফরে যাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সফরে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে একাধিক বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য সফরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন ট্রাম্প। আজ সফরের প্রথম দিনেই সৌদি আরব যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দেশটিতে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ অর্জনের আশা করছেন ট্রাম্প। এরপর কাতার ও আরব আমিরাতও সফর করবেন তিনি। তিন দেশে সফর করলেও মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেশ ইসরায়েলে যাবেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

মঙ্গলবার সিএনএন ও আল-জাজিরার মতো প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরে ইসরায়েলকে অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত মার্কিন-ইসরায়েলি জোটের দৃঢ় সম্পর্কের ব্যাপারে বেশ উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশেষ করে বন্দি বিনিময় নিয়ে হামাস এবং হামলা বন্ধে হুতির সঙ্গে ইসরায়েলকে ছাড়াই আলোচনা করে সমাধান করে ফেলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট যখন হুতিদের ওপর আক্রমণ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন, তখন ইসরায়েলকে কিছুই জানানো হয়নি। একইসঙ্গে রবিবার ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলের সম্পৃক্ততা ছাড়ায় হামাসের বন্দী এডান আলেকজান্ডারের মুক্তির জন্য আলোচনা করেছে।

এছাড়া পরমাণু ইস্যুতে ইরানে ইসরায়েলের হামলা করার পরিকল্পনা অনেকটা জোর করে থামিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প, যা সহজে মেনে নেয়নি নেতানিয়াহু প্রশাসন। মেনে নিলেও এ নিয়ে বৈরিতা দেখা দিয়েছে বন্ধুপ্রতিম দেশ দু’টির মধ্যে। মার্কিন ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনেও ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে।

গণমাধ্যমগুলো বলছে, সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রশাসন ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তারা ইসরায়েলি নেতার অপেক্ষা না করেই মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে কাজ করতে পারে স্বাধীনভাবে। এদিকে, আজ মঙ্গলবার সফরের শুরুতে ট্রাম্প সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে দেশটির কার্যত শাসক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আগামীকাল বুধবার সেখানে উপসাগরীয় দেশগুলোর নেতাদের এক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। সেদিনই কাতার সফরে যাবেন তিনি। পরের দিন বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সফরের মধ্য দিয়ে তাঁর তিন দিনের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ হবে।

ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে উপসাগরীয় অঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে যে গুরুত্বপূর্ণ, তা তাঁর এ সফরের মধ্য দিয়ে আবারও স্পষ্ট হলো। পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিতে ট্রাম্প সম্প্রতি রোমে গিয়েছিলেন, তা পূর্বনির্ধারিত ছিল না। তাই সৌদি আরবের মাধ্যমেই দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট মেয়াদে তাঁর প্রথম আনুষ্ঠানিক বিদেশ সফর শুরু হলো। উল্লেখ্য, এর আগেও একবার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মধ্যপ্রাচ্য সফরের বাইরে রাখা হয়েছিল ইসরায়েলকে। ২০০৯ সালের ওই সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন বারাক ওবামা। তখন সদ্য ক্ষমতায় ফিরে আসা প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে প্রেসিডেন্ট ওবামার দেখা না করার সিদ্ধান্তকে অপমান হিসেবে দেখা হয়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

ই/স/রা/য়ে/ল ছাড়াই মধ্যপ্রাচ্যের ৩ দেশে ট্রাম্পের সফর

আপডেট সময় ০৩:৫২:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

 

আজ মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্যের তিনটি দেশে চারদিনের সফরে যাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সফরে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে একাধিক বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য সফরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন ট্রাম্প। আজ সফরের প্রথম দিনেই সৌদি আরব যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দেশটিতে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ অর্জনের আশা করছেন ট্রাম্প। এরপর কাতার ও আরব আমিরাতও সফর করবেন তিনি। তিন দেশে সফর করলেও মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেশ ইসরায়েলে যাবেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

মঙ্গলবার সিএনএন ও আল-জাজিরার মতো প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরে ইসরায়েলকে অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত মার্কিন-ইসরায়েলি জোটের দৃঢ় সম্পর্কের ব্যাপারে বেশ উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশেষ করে বন্দি বিনিময় নিয়ে হামাস এবং হামলা বন্ধে হুতির সঙ্গে ইসরায়েলকে ছাড়াই আলোচনা করে সমাধান করে ফেলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট যখন হুতিদের ওপর আক্রমণ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন, তখন ইসরায়েলকে কিছুই জানানো হয়নি। একইসঙ্গে রবিবার ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলের সম্পৃক্ততা ছাড়ায় হামাসের বন্দী এডান আলেকজান্ডারের মুক্তির জন্য আলোচনা করেছে।

এছাড়া পরমাণু ইস্যুতে ইরানে ইসরায়েলের হামলা করার পরিকল্পনা অনেকটা জোর করে থামিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প, যা সহজে মেনে নেয়নি নেতানিয়াহু প্রশাসন। মেনে নিলেও এ নিয়ে বৈরিতা দেখা দিয়েছে বন্ধুপ্রতিম দেশ দু’টির মধ্যে। মার্কিন ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনেও ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে।

গণমাধ্যমগুলো বলছে, সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রশাসন ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তারা ইসরায়েলি নেতার অপেক্ষা না করেই মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে কাজ করতে পারে স্বাধীনভাবে। এদিকে, আজ মঙ্গলবার সফরের শুরুতে ট্রাম্প সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে দেশটির কার্যত শাসক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আগামীকাল বুধবার সেখানে উপসাগরীয় দেশগুলোর নেতাদের এক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। সেদিনই কাতার সফরে যাবেন তিনি। পরের দিন বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সফরের মধ্য দিয়ে তাঁর তিন দিনের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ হবে।

ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে উপসাগরীয় অঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে যে গুরুত্বপূর্ণ, তা তাঁর এ সফরের মধ্য দিয়ে আবারও স্পষ্ট হলো। পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিতে ট্রাম্প সম্প্রতি রোমে গিয়েছিলেন, তা পূর্বনির্ধারিত ছিল না। তাই সৌদি আরবের মাধ্যমেই দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট মেয়াদে তাঁর প্রথম আনুষ্ঠানিক বিদেশ সফর শুরু হলো। উল্লেখ্য, এর আগেও একবার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মধ্যপ্রাচ্য সফরের বাইরে রাখা হয়েছিল ইসরায়েলকে। ২০০৯ সালের ওই সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন বারাক ওবামা। তখন সদ্য ক্ষমতায় ফিরে আসা প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে প্রেসিডেন্ট ওবামার দেখা না করার সিদ্ধান্তকে অপমান হিসেবে দেখা হয়েছিল।