ঢাকা ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

আইসিসি’র জেলে থেকেও নির্বাচনী জয়, আবারও ফিলিপাইনের মেয়র রদ্রিগো দুতের্তে

ফিলিপাইন, নির্বাচন, আইসিসি, মেয়র
  • আপডেট সময় ১২:০৩:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • / 7

ছবি সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) হেফাজতে থাকা ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে তার নিজ শহর দাভাওয়ের মেয়র পদে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। সোমবার (১৩ মে) ফিলিপাইনে অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচনের ভোট গণনার ৮০ শতাংশ শেষে দেখা যায়, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় তিনি প্রায় আট গুণ বেশি ভোট পেয়েছেন।

৮০ বছর বয়সী এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এক সময় মাদকের বিরুদ্ধে তার কড়া অবস্থানের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হলেও দাভাও শহরে এখনো অপরাধ দমনকারী নেতা হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়। ভক্তদের কাছে তিনি পরিচিত ‘দুতের্তে হ্যারি’ ও ‘দ্য পানিশার’ নামে।

দুতের্তের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা চলমান রয়েছে। মার্চ মাসে আইসিসির অনুরোধে ফিলিপাইন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে, যা তার সমর্থকদের মতে ‘বিদেশি আদালতের নির্দেশে অপহরণ’। এই গ্রেপ্তারের মাধ্যমে দুতের্তে হতে পারেন প্রথম কোনো এশীয় সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান, যিনি আইসিসিতে বিচারপ্রাপ্ত হচ্ছেন।

উল্লেখযোগ্যভাবে, ফিলিপাইন ২০১৯ সালে আইসিসির রোম সংবিধি থেকে সরে গেলেও আদালতের দাবি, দুতের্তের মেয়র থাকাকালীন সময়ে সংঘটিত অপরাধগুলো তদন্তের অধিকার তাদের রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দাভাও শহরে ‘ডেথ স্কোয়াড’ পরিচালনার মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করেছেন, যদিও দুতের্তে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এই মামলাগুলো বরং তার এবং তার পরিবারের প্রতি জনগণের সমর্থন আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এবারের নির্বাচনে তার দুই ছেলেও বিজয়ের পথে রয়েছেন। একজন পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন কংগ্রেস সদস্য হিসেবে, অন্যজন ভাইস-মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন এবং পিতার অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পালনের সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে দুতের্তে পরিবারের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বর্তমান ভাইস-প্রেসিডেন্ট সারা দুতের্তের ঘিরে। তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং দোষ প্রমাণিত হলে তার রাজনৈতিক জীবন চিরতরে শেষ হয়ে যেতে পারে।

এই অবস্থায় দাভাওতে দুতের্তের জয়কে সমর্থকরা রাজনৈতিক প্রতিরোধ ও জনপ্রিয়তার পুনরুত্থান হিসেবে দেখছেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আইসিসি’র জেলে থেকেও নির্বাচনী জয়, আবারও ফিলিপাইনের মেয়র রদ্রিগো দুতের্তে

আপডেট সময় ১২:০৩:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) হেফাজতে থাকা ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে তার নিজ শহর দাভাওয়ের মেয়র পদে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। সোমবার (১৩ মে) ফিলিপাইনে অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচনের ভোট গণনার ৮০ শতাংশ শেষে দেখা যায়, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় তিনি প্রায় আট গুণ বেশি ভোট পেয়েছেন।

৮০ বছর বয়সী এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এক সময় মাদকের বিরুদ্ধে তার কড়া অবস্থানের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হলেও দাভাও শহরে এখনো অপরাধ দমনকারী নেতা হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়। ভক্তদের কাছে তিনি পরিচিত ‘দুতের্তে হ্যারি’ ও ‘দ্য পানিশার’ নামে।

দুতের্তের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা চলমান রয়েছে। মার্চ মাসে আইসিসির অনুরোধে ফিলিপাইন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে, যা তার সমর্থকদের মতে ‘বিদেশি আদালতের নির্দেশে অপহরণ’। এই গ্রেপ্তারের মাধ্যমে দুতের্তে হতে পারেন প্রথম কোনো এশীয় সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান, যিনি আইসিসিতে বিচারপ্রাপ্ত হচ্ছেন।

উল্লেখযোগ্যভাবে, ফিলিপাইন ২০১৯ সালে আইসিসির রোম সংবিধি থেকে সরে গেলেও আদালতের দাবি, দুতের্তের মেয়র থাকাকালীন সময়ে সংঘটিত অপরাধগুলো তদন্তের অধিকার তাদের রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দাভাও শহরে ‘ডেথ স্কোয়াড’ পরিচালনার মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করেছেন, যদিও দুতের্তে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এই মামলাগুলো বরং তার এবং তার পরিবারের প্রতি জনগণের সমর্থন আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এবারের নির্বাচনে তার দুই ছেলেও বিজয়ের পথে রয়েছেন। একজন পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন কংগ্রেস সদস্য হিসেবে, অন্যজন ভাইস-মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন এবং পিতার অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পালনের সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে দুতের্তে পরিবারের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বর্তমান ভাইস-প্রেসিডেন্ট সারা দুতের্তের ঘিরে। তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং দোষ প্রমাণিত হলে তার রাজনৈতিক জীবন চিরতরে শেষ হয়ে যেতে পারে।

এই অবস্থায় দাভাওতে দুতের্তের জয়কে সমর্থকরা রাজনৈতিক প্রতিরোধ ও জনপ্রিয়তার পুনরুত্থান হিসেবে দেখছেন।