ঢাকা ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২০ ফিলিস্তিনি নিহত, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৫২ হাজার ভারতের অহংকার চূর্ণ করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী: শেহবাজ শরিফের দাবি কাকরাইলে রাতভর অবস্থান, তিন দফা দাবিতে অনড় জবি শিক্ষার্থীরা রাজধানীর কোথায় কোথায় বসছে কোরবানির বিশাল পশুর হাট? শিক্ষার্থীদের পানির বোতল ছোঁড়া ঘটনায় হতাশা প্রকাশ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে চাই দৃশ্যমান দৃষ্টান্ত: প্রধান বিচারপতি ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনায় পুতিন থাকছেন না, ক্ষোভে জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত রামনের নাটকীয় গোলে মায়োর্কার বিপক্ষে রিয়ালের জয়, টিকে রাইল শিরোপার আশা কাতার-যুক্তরাষ্ট্রে ১.২ ট্রিলিয়ন ডলারের ঐতিহাসিক চুক্তি, বোয়িংয়ের রেকর্ড অর্ডার

শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় ভারত-পাকিস্তান সরাসরি আলোচনায় বসছে আজ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৬:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • / 12

ছবি: সংগৃহীত

 

দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষ থামাতে এবার স্থায়ী শান্তির পথে একধাপ এগোতে যাচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। সোমবার (১২ মে) দুপুর ১২টায় দুই দেশের সামরিক পর্যায়ে ‘ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস’ (ডিজিএমও) পর্যায়ে সরাসরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, রোববার ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ করে একটি হটলাইন বার্তা পাঠায়। বার্তাটির ভিত্তিতেই আজকের আলোচনার আয়োজন।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক সঞ্জীব শ্রীবাস্তব এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক যে সমঝোতা হয়েছে, সেটিকে কীভাবে টিকিয়ে রাখা যায় এবং স্থায়ীভাবে কার্যকর করা যায় সেটাই মূল আলোচ্য বিষয় হবে। এখন দেখার বিষয়, আলোচনার ফলাফল কী দাঁড়ায়।”

এর আগে শনিবার বিকেলেও দুই দেশের ডিজিএমও পর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং সীমান্তে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছায় দুই পক্ষ। সেই আলোচনা ছিল কেবল সীমান্তে গোলাগুলি ও পাল্টা হামলা বন্ধ রাখার বিষয়ে সীমাবদ্ধ। তবে আজকের বৈঠকে আরও বিস্তৃত বিষয়ে আলাপ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে রোববার রাতে জম্মু-কাশ্মীর ও আন্তর্জাতিক সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় কোনো সংঘর্ষ বা অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি। ভারতীয় সেনা সূত্রের বরাতে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, গত কয়েক দিনের মধ্যে এটাই প্রথম রাত যেখানে নিয়ন্ত্রণরেখা ছিল সম্পূর্ণ শান্ত।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দুই দেশের মধ্যকার আলোচনায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এমন এক সময় এই উদ্যোগ আসছে যখন অতীতের বহুবার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা অল্প সময়ের ব্যবধানে ভেঙে পড়েছে।

বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টিও এখন এই বৈঠকের দিকে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা হিসেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় ভারত-পাকিস্তান সরাসরি আলোচনায় বসছে আজ

আপডেট সময় ১০:৩৬:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

 

দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষ থামাতে এবার স্থায়ী শান্তির পথে একধাপ এগোতে যাচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। সোমবার (১২ মে) দুপুর ১২টায় দুই দেশের সামরিক পর্যায়ে ‘ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস’ (ডিজিএমও) পর্যায়ে সরাসরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, রোববার ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ করে একটি হটলাইন বার্তা পাঠায়। বার্তাটির ভিত্তিতেই আজকের আলোচনার আয়োজন।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক সঞ্জীব শ্রীবাস্তব এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক যে সমঝোতা হয়েছে, সেটিকে কীভাবে টিকিয়ে রাখা যায় এবং স্থায়ীভাবে কার্যকর করা যায় সেটাই মূল আলোচ্য বিষয় হবে। এখন দেখার বিষয়, আলোচনার ফলাফল কী দাঁড়ায়।”

এর আগে শনিবার বিকেলেও দুই দেশের ডিজিএমও পর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং সীমান্তে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছায় দুই পক্ষ। সেই আলোচনা ছিল কেবল সীমান্তে গোলাগুলি ও পাল্টা হামলা বন্ধ রাখার বিষয়ে সীমাবদ্ধ। তবে আজকের বৈঠকে আরও বিস্তৃত বিষয়ে আলাপ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে রোববার রাতে জম্মু-কাশ্মীর ও আন্তর্জাতিক সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় কোনো সংঘর্ষ বা অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি। ভারতীয় সেনা সূত্রের বরাতে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, গত কয়েক দিনের মধ্যে এটাই প্রথম রাত যেখানে নিয়ন্ত্রণরেখা ছিল সম্পূর্ণ শান্ত।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দুই দেশের মধ্যকার আলোচনায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এমন এক সময় এই উদ্যোগ আসছে যখন অতীতের বহুবার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা অল্প সময়ের ব্যবধানে ভেঙে পড়েছে।

বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টিও এখন এই বৈঠকের দিকে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা হিসেবে।