পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ভারত ও পাকিস্তানের

- আপডেট সময় ১১:১৬:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
- / 13
যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা (LOC) বরাবর ফের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। উভয় দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে, যা নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে সীমান্ত অঞ্চলে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে গোলাবর্ষণ চালিয়েছে এবং ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী কড়া জবাব দিয়েছে। অপরদিকে, পাকিস্তানও দাবি করেছে যে ভারতই প্রথম যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে, যার ফলে তারা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ এবং পাকিস্তানের ‘অপারেশন বুনিয়ান মারসুস’-এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি হামলা, যার ফলে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর জনজীবনে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুই দেশের সীমান্তবর্তী জনগণ পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়ে।
এই সংকটময় পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতায় এগিয়ে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি জানান, রাতভর কূটনৈতিক আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণমাত্রার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, “দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। তারা শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সম্মত হয়েছেন, যা পুরো অঞ্চলটির জন্য ইতিবাচক বার্তা বহন করে।”
যদিও যুদ্ধবিরতির ঘোষণা কিছুটা স্বস্তি এনেছে, তবে সীমান্তে sporadic সংঘর্ষ এবং পারস্পরিক দোষারোপ পরিস্থিতিকে আবারও অনিশ্চয়তায় ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই যুদ্ধবিরতি কতটা দীর্ঘস্থায়ী হবে, তা নির্ভর করছে দুই দেশের আন্তরিকতা ও ভবিষ্যতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের উপর।
এদিকে সাধারণ মানুষ এখনো আতঙ্কের মধ্যেই রয়েছেন। তারা চান, উভয় দেশ সত্যিকারের শান্তি স্থাপন করুক এবং যুদ্ধের বদলে আলোচনার টেবিলেই সমস্যার সমাধান খোঁজে।
উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষ নতুন কিছু নয়। তবে সাম্প্রতিক উত্তেজনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং দ্রুত স্থায়ী সমাধানের আহ্বান জানানো হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, এই যুদ্ধবিরতি ভবিষ্যতে শান্তির পথ প্রশস্ত করতে পারে কিনা।