ইসরায়েলের বিমান হামলায় কেঁপে উঠলো ইয়েমেনের হুদাইদা বন্দর, আহত অন্তত ২১

- আপডেট সময় ১২:১৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
- / 23
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর চালানো একাধিক বিমান হামলায় কেঁপে উঠেছে ইয়েমেনের হুদাইদা বন্দর এবং এর আশপাশের একটি সিমেন্ট কারখানা। হামলার ঘটনায় অন্তত ২১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হুথি-নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৫ মে) পরিচালিত এ হামলার লক্ষ্য ছিল হুথি বিদ্রোহীদের ‘সামরিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত’ স্থাপনাগুলো। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, হুদাইদা বন্দর এবং সিমেন্ট কারখানাটি হুথি বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও সামরিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিয়নের নিকট হুথিদের ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরিত হওয়ার পরই এই পাল্টা হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, হুদাইদা বন্দরের নিকটবর্তী সিমেন্ট কারখানাটি দিয়ে সুড়ঙ্গ এবং সামরিক স্থাপনা নির্মাণে ব্যবহৃত কাঁচামাল সংগ্রহ করা হত। এছাড়া, বন্দরটিকে ইরান থেকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে দাবি করেছে আইডিএফ।
হুথি-নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন চ্যানেল আল মাসিরাহ জানায়, ইসরায়েল হুদাইদা বন্দরে ছয়টি বিমান হামলা চালিয়েছে এবং এই হামলার জন্য তারা ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়কেই দায়ী করছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস-এর সাংবাদিক বারাক রাভিদ এক সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে জানান, এই বিমান হামলাগুলো ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সমন্বয়ে পরিচালিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েল-হুথি উত্তেজনা সাম্প্রতিক সময়ে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে হুথি বিদ্রোহীরা ধারাবাহিকভাবে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ইসরায়েলি হামলার মাত্রা বেড়ে চলেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হুদাইদা বন্দরে এমন হামলা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং এর প্রভাব আঞ্চলিক নিরাপত্তায় দীর্ঘমেয়াদে বড় রকমের চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের দাবি জোরালো হচ্ছে।