০৯:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

সিঙ্গাপুরে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু, ফল রোববার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:২৮:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • / 61

ছবি সংগৃহীত

 

সিঙ্গাপুরে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে আজ শনিবার (৩ মে)। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে একযোগে খুলে দেওয়া হয়েছে দেশটির ১ হাজার ২৪০টি ভোটকেন্দ্র। এসব কেন্দ্রে সারাদিন চলবে ভোটগ্রহণ, যা শেষ হবে রাত ৮টায়। ফলাফল ঘোষণা করা হবে আগামীকাল রোববার।

এবারের নির্বাচনে পার্লামেন্টের মোট ৯৭টি আসনের মধ্যে ৯২টি আসনে ভোট হচ্ছে। বাকি পাঁচটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবারের নির্বাচনে ভোটারদের রায় নির্ধারণে প্রভাব ফেলবে জীবনযাত্রার ব্যয়, আবাসন সংকট, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান এবং বয়স্ক নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো।

সিঙ্গাপুরের রাজনৈতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে শক্ত অবস্থানে রয়েছে পিপলস অ্যাকশন পার্টি (পিএপি)। দলটি ১৯৫৯ সাল থেকে প্রতিবারই নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় রয়েছে। এবারের নির্বাচনেও দলটি এগিয়ে রয়েছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

দেশটির বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে কিছুটা প্রাণচাঞ্চল্য দেখা গেলেও, পিএপি এখনো সবচেয়ে সংগঠিত ও প্রভাবশালী শক্তি হিসেবে বিবেচিত। তবে নাগরিকদের মধ্যে বাড়তি প্রত্যাশা ও কিছু ক্ষেত্রে অসন্তোষের কারণেও এবারের নির্বাচনের ফলাফল আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে।

সিঙ্গাপুরে নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কেন্দ্রে ভোটগ্রহণে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। একইসাথে কোভিড-পরবর্তী পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়েও কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনের ফলাফল রোববার প্রকাশের পরই জানা যাবে, দেশটির রাজনীতিতে পিএপির আধিপত্য বজায় থাকবে নাকি নতুন কোনো বার্তা নিয়ে হাজির হবে জনগণের রায়।

এই নির্বাচনকে ঘিরে সিঙ্গাপুরবাসীর মাঝে আগ্রহ ও সচেতনতা লক্ষণীয়। এটি কেবল একটি ভোটের লড়াই নয়, বরং ভবিষ্যতের উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

সিঙ্গাপুরে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু, ফল রোববার

আপডেট সময় ০৫:২৮:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

 

সিঙ্গাপুরে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে আজ শনিবার (৩ মে)। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে একযোগে খুলে দেওয়া হয়েছে দেশটির ১ হাজার ২৪০টি ভোটকেন্দ্র। এসব কেন্দ্রে সারাদিন চলবে ভোটগ্রহণ, যা শেষ হবে রাত ৮টায়। ফলাফল ঘোষণা করা হবে আগামীকাল রোববার।

এবারের নির্বাচনে পার্লামেন্টের মোট ৯৭টি আসনের মধ্যে ৯২টি আসনে ভোট হচ্ছে। বাকি পাঁচটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবারের নির্বাচনে ভোটারদের রায় নির্ধারণে প্রভাব ফেলবে জীবনযাত্রার ব্যয়, আবাসন সংকট, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান এবং বয়স্ক নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো।

সিঙ্গাপুরের রাজনৈতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে শক্ত অবস্থানে রয়েছে পিপলস অ্যাকশন পার্টি (পিএপি)। দলটি ১৯৫৯ সাল থেকে প্রতিবারই নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় রয়েছে। এবারের নির্বাচনেও দলটি এগিয়ে রয়েছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

দেশটির বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে কিছুটা প্রাণচাঞ্চল্য দেখা গেলেও, পিএপি এখনো সবচেয়ে সংগঠিত ও প্রভাবশালী শক্তি হিসেবে বিবেচিত। তবে নাগরিকদের মধ্যে বাড়তি প্রত্যাশা ও কিছু ক্ষেত্রে অসন্তোষের কারণেও এবারের নির্বাচনের ফলাফল আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে।

সিঙ্গাপুরে নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কেন্দ্রে ভোটগ্রহণে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। একইসাথে কোভিড-পরবর্তী পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়েও কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনের ফলাফল রোববার প্রকাশের পরই জানা যাবে, দেশটির রাজনীতিতে পিএপির আধিপত্য বজায় থাকবে নাকি নতুন কোনো বার্তা নিয়ে হাজির হবে জনগণের রায়।

এই নির্বাচনকে ঘিরে সিঙ্গাপুরবাসীর মাঝে আগ্রহ ও সচেতনতা লক্ষণীয়। এটি কেবল একটি ভোটের লড়াই নয়, বরং ভবিষ্যতের উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।