ঢাকা ১১:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শহীদ মিনারে এনসিপির ২৪ দফা ইশতেহার ঘোষণা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজন ‘৩৬ জুলাই’ “শেখ হাসিনা: সব অপরাধের নিউক্লিয়াস, বললেন চিফ প্রসিকিউটর” ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত “১০ লাখ টাকার বেশি আমানত ও সঞ্চয়পত্রে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক” কুষ্টিয়ায় স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে, আটক ৫ সাইবার সিকিউরিটিখাতে এ বছরের সবচেয়ে বড় ডিল – ইসরায়েলি কোম্পানি বিক্রি হচ্ছে ২৫ বিলিয়ন ডলারে “ইরান চায় চীন-পাকিস্তান সিল্ক রোডে যুক্ত হতে: প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান” “রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক আইজিপি মামুন: নিরাপত্তা জোরদার” “হ্যামস্ট্রিং চোটে ভুগছেন মেসি: মাঠ ছাড়লেন ১১ মিনিটে”

কার্নিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, শিগগিরই বৈঠকে বসার বিষয়ে একমত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 27

ছবি সংগৃহীত

 

কানাডার সাধারণ নির্বাচনে লিবারেল পার্টির বিজয়ের পর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই প্রথম ফোনালাপে দু’দেশের নেতারা শিগগিরই এক বৈঠকে বসার বিষয়ে একমত হন।

নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, কার্নির লিবারেল পার্টি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও ১৬৯টি আসনে এগিয়ে থেকে সরকার গঠনের পথে রয়েছে। কানাডার পার্লামেন্টে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৭২টি আসন। ফলে নতুন সরকারকে এখন অন্যান্য দলের সমর্থন সুনিশ্চিত করতে হবে।

কার্নির জন্য এই নির্বাচন দুই দিক থেকে চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। একদিকে তাঁকে ট্রাম্পের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সম্পর্কের জটিল ইস্যুগুলোতে দর–কষাকষি করতে হবে, অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোও সমাধান করতে হবে। বিশেষ করে বাণিজ্য শুল্ক এবং কানাডার সার্বভৌমত্ব নিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্য এবারের নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

লিবারেল পার্টিকে সংসদে আইন পাস করাতে হলে অন্যান্য দলের সহযোগিতা নিতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এনডিপি) ও ব্লক কেবেকোয়া থেকে সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। অতীতেও এনডিপি লিবারেলদের সরকারে সহায়তা করেছে।

তবে এবার নির্বাচনে এনডিপি বড় ধাক্কা খেয়েছে। তাদের ভোট ১২ শতাংশ কমেছে। দলটির নেতা জগমিত সিং তাঁর আসন হারিয়েছেন এবং এরইমধ্যে দলের নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কনজারভেটিভ পার্টি ১৪৪টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে। তবে দলটির নেতা পিয়েরে পলিয়েভ্রে নিজ আসনে পরাজিত হয়েছেন।

এই নির্বাচনকে লিবারেলদের জন্য এক ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। মাত্র কয়েক মাস আগেও দলটি রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা ছিল। তবে ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক কর্মকর্তা কার্নির নেতৃত্বে দলটি ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। গত মাসে জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পর দলের হাল ধরেন কার্নি।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কানাডীয় শিল্প ও শ্রমিকদের সহায়তার লক্ষ্যে আইন পাসের বিষয়টিতে পার্লামেন্টে লিবারেলদের সহজে সমর্থন মিলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ নির্বাচনী প্রচারণায় সব দল এ বিষয়ে একমত ছিল।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

কার্নিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, শিগগিরই বৈঠকে বসার বিষয়ে একমত

আপডেট সময় ০২:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

 

কানাডার সাধারণ নির্বাচনে লিবারেল পার্টির বিজয়ের পর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই প্রথম ফোনালাপে দু’দেশের নেতারা শিগগিরই এক বৈঠকে বসার বিষয়ে একমত হন।

নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, কার্নির লিবারেল পার্টি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও ১৬৯টি আসনে এগিয়ে থেকে সরকার গঠনের পথে রয়েছে। কানাডার পার্লামেন্টে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৭২টি আসন। ফলে নতুন সরকারকে এখন অন্যান্য দলের সমর্থন সুনিশ্চিত করতে হবে।

কার্নির জন্য এই নির্বাচন দুই দিক থেকে চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। একদিকে তাঁকে ট্রাম্পের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সম্পর্কের জটিল ইস্যুগুলোতে দর–কষাকষি করতে হবে, অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোও সমাধান করতে হবে। বিশেষ করে বাণিজ্য শুল্ক এবং কানাডার সার্বভৌমত্ব নিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্য এবারের নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

লিবারেল পার্টিকে সংসদে আইন পাস করাতে হলে অন্যান্য দলের সহযোগিতা নিতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এনডিপি) ও ব্লক কেবেকোয়া থেকে সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। অতীতেও এনডিপি লিবারেলদের সরকারে সহায়তা করেছে।

তবে এবার নির্বাচনে এনডিপি বড় ধাক্কা খেয়েছে। তাদের ভোট ১২ শতাংশ কমেছে। দলটির নেতা জগমিত সিং তাঁর আসন হারিয়েছেন এবং এরইমধ্যে দলের নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কনজারভেটিভ পার্টি ১৪৪টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে। তবে দলটির নেতা পিয়েরে পলিয়েভ্রে নিজ আসনে পরাজিত হয়েছেন।

এই নির্বাচনকে লিবারেলদের জন্য এক ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। মাত্র কয়েক মাস আগেও দলটি রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা ছিল। তবে ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক কর্মকর্তা কার্নির নেতৃত্বে দলটি ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। গত মাসে জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পর দলের হাল ধরেন কার্নি।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কানাডীয় শিল্প ও শ্রমিকদের সহায়তার লক্ষ্যে আইন পাসের বিষয়টিতে পার্লামেন্টে লিবারেলদের সহজে সমর্থন মিলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ নির্বাচনী প্রচারণায় সব দল এ বিষয়ে একমত ছিল।