ঢাকা ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে আমাদের জবাব হবে কঠোর ও চূড়ান্ত: খামেনি ১১ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা: এনবিআর সাবেক র‍্যাব কর্মকর্তা সোহায়েল গুম মামলায় গ্রেপ্তার, কারাগারে প্রেরণ ঈদযাত্রায় সড়কে প্রতিদিন গড় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের: রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের জাতীয় সংবিধানিক কাউন্সিল গঠনে একমত নাগরিক পার্টি, কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য: নাহিদ ইসলাম এসএসএফকে কাজ করতে হবে সব দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে: প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস-তারেক বৈঠকে আপত্তি একটি দলের, মন্তব্য মির্জা ফখরুলের শাহবাগ-পল্টন থানার দুই মামলায় আনিসুল হকসহ ৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর কুয়ালালামপুরে ফের গুলির ঘটনা, শপিংমলের সামনে ২ জনকে হত্যা মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতায় বিশ্ববাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণ-রুপার দাম

কার্নিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, শিগগিরই বৈঠকে বসার বিষয়ে একমত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 18

ছবি সংগৃহীত

 

কানাডার সাধারণ নির্বাচনে লিবারেল পার্টির বিজয়ের পর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই প্রথম ফোনালাপে দু’দেশের নেতারা শিগগিরই এক বৈঠকে বসার বিষয়ে একমত হন।

নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, কার্নির লিবারেল পার্টি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও ১৬৯টি আসনে এগিয়ে থেকে সরকার গঠনের পথে রয়েছে। কানাডার পার্লামেন্টে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৭২টি আসন। ফলে নতুন সরকারকে এখন অন্যান্য দলের সমর্থন সুনিশ্চিত করতে হবে।

কার্নির জন্য এই নির্বাচন দুই দিক থেকে চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। একদিকে তাঁকে ট্রাম্পের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সম্পর্কের জটিল ইস্যুগুলোতে দর–কষাকষি করতে হবে, অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোও সমাধান করতে হবে। বিশেষ করে বাণিজ্য শুল্ক এবং কানাডার সার্বভৌমত্ব নিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্য এবারের নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

লিবারেল পার্টিকে সংসদে আইন পাস করাতে হলে অন্যান্য দলের সহযোগিতা নিতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এনডিপি) ও ব্লক কেবেকোয়া থেকে সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। অতীতেও এনডিপি লিবারেলদের সরকারে সহায়তা করেছে।

তবে এবার নির্বাচনে এনডিপি বড় ধাক্কা খেয়েছে। তাদের ভোট ১২ শতাংশ কমেছে। দলটির নেতা জগমিত সিং তাঁর আসন হারিয়েছেন এবং এরইমধ্যে দলের নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কনজারভেটিভ পার্টি ১৪৪টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে। তবে দলটির নেতা পিয়েরে পলিয়েভ্রে নিজ আসনে পরাজিত হয়েছেন।

এই নির্বাচনকে লিবারেলদের জন্য এক ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। মাত্র কয়েক মাস আগেও দলটি রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা ছিল। তবে ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক কর্মকর্তা কার্নির নেতৃত্বে দলটি ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। গত মাসে জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পর দলের হাল ধরেন কার্নি।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কানাডীয় শিল্প ও শ্রমিকদের সহায়তার লক্ষ্যে আইন পাসের বিষয়টিতে পার্লামেন্টে লিবারেলদের সহজে সমর্থন মিলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ নির্বাচনী প্রচারণায় সব দল এ বিষয়ে একমত ছিল।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

কার্নিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, শিগগিরই বৈঠকে বসার বিষয়ে একমত

আপডেট সময় ০২:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

 

কানাডার সাধারণ নির্বাচনে লিবারেল পার্টির বিজয়ের পর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই প্রথম ফোনালাপে দু’দেশের নেতারা শিগগিরই এক বৈঠকে বসার বিষয়ে একমত হন।

নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, কার্নির লিবারেল পার্টি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও ১৬৯টি আসনে এগিয়ে থেকে সরকার গঠনের পথে রয়েছে। কানাডার পার্লামেন্টে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৭২টি আসন। ফলে নতুন সরকারকে এখন অন্যান্য দলের সমর্থন সুনিশ্চিত করতে হবে।

কার্নির জন্য এই নির্বাচন দুই দিক থেকে চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। একদিকে তাঁকে ট্রাম্পের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সম্পর্কের জটিল ইস্যুগুলোতে দর–কষাকষি করতে হবে, অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোও সমাধান করতে হবে। বিশেষ করে বাণিজ্য শুল্ক এবং কানাডার সার্বভৌমত্ব নিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্য এবারের নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

লিবারেল পার্টিকে সংসদে আইন পাস করাতে হলে অন্যান্য দলের সহযোগিতা নিতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এনডিপি) ও ব্লক কেবেকোয়া থেকে সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। অতীতেও এনডিপি লিবারেলদের সরকারে সহায়তা করেছে।

তবে এবার নির্বাচনে এনডিপি বড় ধাক্কা খেয়েছে। তাদের ভোট ১২ শতাংশ কমেছে। দলটির নেতা জগমিত সিং তাঁর আসন হারিয়েছেন এবং এরইমধ্যে দলের নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কনজারভেটিভ পার্টি ১৪৪টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে। তবে দলটির নেতা পিয়েরে পলিয়েভ্রে নিজ আসনে পরাজিত হয়েছেন।

এই নির্বাচনকে লিবারেলদের জন্য এক ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। মাত্র কয়েক মাস আগেও দলটি রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা ছিল। তবে ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক কর্মকর্তা কার্নির নেতৃত্বে দলটি ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। গত মাসে জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পর দলের হাল ধরেন কার্নি।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কানাডীয় শিল্প ও শ্রমিকদের সহায়তার লক্ষ্যে আইন পাসের বিষয়টিতে পার্লামেন্টে লিবারেলদের সহজে সমর্থন মিলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ নির্বাচনী প্রচারণায় সব দল এ বিষয়ে একমত ছিল।