ঢাকা ০৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের বায়কার ড্রোন কারখানা পরিদর্শন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 20

ছবি সংগৃহীত

 

তুরস্কের আঙ্কারায় নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ জুনেইদ সম্প্রতি তুরস্কের বিখ্যাত ড্রোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বায়কার কোম্পানির ‘ওজদেমির বায়রাক্তার ন্যাশনাল টেকনোলজি সেন্টার’ পরিদর্শন করেছেন। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে একটি প্রতিনিধি দলও এই পরিদর্শনে অংশ নেন।

বায়কার কোম্পানির এই প্রযুক্তি কেন্দ্র তুরস্কের ড্রোন উন্নয়ন ও গবেষণার অন্যতম প্রধান স্থাপনা হিসেবে পরিচিত। এখানে ড্রোন প্রযুক্তির আধুনিকীকরণ এবং সামরিক খাতে ব্যবহারের উপযোগী বিভিন্ন কৌশলগত উদ্ভাবন চলছে। রাষ্ট্রদূতের এই পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা আরও দৃঢ় হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তুরস্ক-পাকিস্তানের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বর্তমান ধারাকে আরও জোরদার করতেই এই ধরনের উচ্চ পর্যায়ের সফর ও যোগাযোগ চলছে। বিশেষ করে বায়কারের তৈরি ড্রোন প্রযুক্তি দক্ষিণ এশিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে।

পরিদর্শনকালে রাষ্ট্রদূত ইউসুফ জুনেইদ প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন এবং ড্রোন নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত হন। পাশাপাশি তিনি উভয় দেশের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বিনিময় ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভবিষ্যতে যৌথ কার্যক্রমের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

উল্লেখ্য, বায়কার কোম্পানির ড্রোন ‘বায়রাক্তার টিবি২’ ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশে সামরিক খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তুরস্কের এই কোম্পানি বর্তমানে ড্রোন প্রযুক্তির বিশ্বব্যাপী বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে কাজ করছে।

তুরস্ক ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার ইতিহাস দীর্ঘদিনের। এই পরিদর্শন সেই সম্পর্ককে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের বায়কার ড্রোন কারখানা পরিদর্শন

আপডেট সময় ১১:২৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

 

তুরস্কের আঙ্কারায় নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ জুনেইদ সম্প্রতি তুরস্কের বিখ্যাত ড্রোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বায়কার কোম্পানির ‘ওজদেমির বায়রাক্তার ন্যাশনাল টেকনোলজি সেন্টার’ পরিদর্শন করেছেন। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে একটি প্রতিনিধি দলও এই পরিদর্শনে অংশ নেন।

বায়কার কোম্পানির এই প্রযুক্তি কেন্দ্র তুরস্কের ড্রোন উন্নয়ন ও গবেষণার অন্যতম প্রধান স্থাপনা হিসেবে পরিচিত। এখানে ড্রোন প্রযুক্তির আধুনিকীকরণ এবং সামরিক খাতে ব্যবহারের উপযোগী বিভিন্ন কৌশলগত উদ্ভাবন চলছে। রাষ্ট্রদূতের এই পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা আরও দৃঢ় হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তুরস্ক-পাকিস্তানের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বর্তমান ধারাকে আরও জোরদার করতেই এই ধরনের উচ্চ পর্যায়ের সফর ও যোগাযোগ চলছে। বিশেষ করে বায়কারের তৈরি ড্রোন প্রযুক্তি দক্ষিণ এশিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে।

পরিদর্শনকালে রাষ্ট্রদূত ইউসুফ জুনেইদ প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন এবং ড্রোন নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত হন। পাশাপাশি তিনি উভয় দেশের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বিনিময় ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভবিষ্যতে যৌথ কার্যক্রমের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

উল্লেখ্য, বায়কার কোম্পানির ড্রোন ‘বায়রাক্তার টিবি২’ ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশে সামরিক খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তুরস্কের এই কোম্পানি বর্তমানে ড্রোন প্রযুক্তির বিশ্বব্যাপী বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে কাজ করছে।

তুরস্ক ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার ইতিহাস দীর্ঘদিনের। এই পরিদর্শন সেই সম্পর্ককে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছে।