চীনের শুল্ক ইস্যুতে নমনীয় ট্রাম্প, বেইজিংয়ের আলোচনার আহ্বান

- আপডেট সময় ১০:১৪:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
- / 15
চীনের ওপর আরোপিত উচ্চহারে শুল্ক প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, চীনের ওপর পাল্টা শুল্কের হার এখন অনেক বেশি এবং তা যথেষ্ট পরিমাণে কমানো হবে। ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর বিশ্ববাজারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “১৪৫ শতাংশ শুল্ক অনেক বেশি। এটি এমন এক পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে, যা যুক্তিসঙ্গত হবে। তবে পুরোপুরি শূন্যে নামানো হবে না।”
ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন গত কয়েক বছরে চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করে। এর জবাবে চীনও দফায় দফায় পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে, যা বর্তমানে ১২৫ শতাংশে পৌঁছেছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্য যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের সাম্প্রতিক এক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এই নমনীয়তার কথা জানান। অর্থমন্ত্রীর মতে, শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত দুই দেশের অর্থনীতির জন্যই ইতিবাচক হবে। এই ইঙ্গিতেই বিশ্ব অর্থনীতিতে স্বস্তির ছোঁয়া দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
ট্রাম্পের শুল্ক সংক্রান্ত অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিতে আন্তর্জাতিক বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বিনিয়োগকারীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন এবং পুঁজিবাজারে সূচকের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে।
এদিকে ট্রাম্পের এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় চীন বলেছে, তারা হুমকি বা চাপের ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি আন্তরিকভাবে চুক্তির পথে এগোতে চায়, তাহলে তারা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। চীনা কর্তৃপক্ষের মতে, আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক সুবিধার পথই হবে উত্তম সমাধান। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বেইজিংয়ের দরজা এখনো খোলা রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী এই বাণিজ্য উত্তেজনা কমাতে উভয় পক্ষের মধ্যকার আলোচনাই এখন গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। ট্রাম্পের এই অবস্থান বদল ভবিষ্যতে একটি বড় চুক্তির ইঙ্গিত হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে কিভাবে নতুন করে আলোচনার পরিবেশ তৈরি হয় এবং তা কেমন ফল বয়ে আনে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য।