সিরিয়ায় উত্তেজনা কমাতে ই*স*রা*য়েল-তুরস্কের গোপন সমঝোতা

- আপডেট সময় ১১:২৯:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
- / ৫০৭ বার পড়া হয়েছে
সিরিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে চলমান উত্তেজনা কিছুটা কমাতে ইসরায়েল ও তুরস্কের মধ্যে গোপনে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর আভাস মিলেছে। ইসরায়েলের দুটি অভ্যন্তরীণ সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশটির বিমান হামলা অনেকটাই সীমিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা এখন তুরস্কের সেনা মোতায়েনের স্থানগুলো লক্ষ্য করে আগ্রাসনের মাত্রা নির্ধারণ করছি। এভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে।”
অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, “আলোচনার সময় দুই পক্ষই একটি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে। এটা নিজেই একটা গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।”
এদিকে, কিছুদিন আগেও ইসরায়েল চাইছিল যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে তুরস্কের ওপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বৈঠকের পর কৌশলগত অবস্থান কিছুটা বদলেছে। এখন ইসরায়েল সরাসরি তুরস্কের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
সূত্র বলছে, এই সংলাপের প্রতিটি পর্যায়ের অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রকেও জানানো হচ্ছে নিয়মিত। এতে করে ওয়াশিংটন যেন জানে, মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিধর দুই দেশ এখন নিজেদের মধ্যে একটি সমঝোতার পথে হাঁটছে।
তবে তুরস্ক সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য আসেনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দুই দেশের এ ধরনের গোপন যোগাযোগ ভবিষ্যতে সিরিয়ায় সংঘাত হ্রাসে একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
সিরিয়া ইস্যুতে তুরস্ক ও ইসরায়েলের অবস্থান দীর্ঘদিন ধরেই বিপরীতমুখী ছিল। একদিকে তুরস্ক সামরিকভাবে সক্রিয়, অন্যদিকে ইসরায়েল সীমিত আকারে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে এই গোপন আলোচনার খবর নতুন কূটনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আলোচনা যদি সফল হয়, তাহলে শুধুমাত্র সিরিয়ার মাটিতেই নয়, বরং গোটা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে এর প্রভাব পড়বে। এখন প্রশ্ন হলো—এই সমঝোতা কতদূর এগোবে, আর এর মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে কতটা শান্তি ফিরবে সিরিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূমিতে?