ঢাকা ০২:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামালের ৫৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ভাটারায় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভীতি প্রদর্শনের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ডিবি চাঞ্চল্যকর ছিনতাইয়ের ঘটনায় মোটরসাইকেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ পেশাদার ছিনতাইকারী শাকিলকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ যুদ্ধবিরতিতে ফিলিস্তিনিদের ‘না’, প্রস্তাবে যা বলেছে ইসরায়েল ড. ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন তালেবান আর সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নয়, রায় দিল রাশিয়া গুগল এখন অস্ত্র ও নজরদারির জন্য এআই তৈরি করছে ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বন্দুকধারীর হামলায় ৫ জন নিহত, ৪ জন আহত — সন্দেহভাজন আটক ইসরায়েল সীমান্তের কাছে হিজবুল্লাহকে হটাতে কাজ করছে লেবানন সেনাবাহিনী সিরিয়ার স্বৈরশাসকের মূল্যবান সম্পদ পাচারে গোপন বিমান মিশন

ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের মঙ্গল কামনায় আর কোনো দেশ এতটা উন্মুখ নয়: জয়শঙ্কর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২০:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৫১০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের প্রতি ভারতের আন্তরিকতা এবং শুভকামনা দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি দাবি করেছেন, ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের মঙ্গল কামনায় আর কোনো দেশের মন এতটা উন্মুখ নয়, এবং এই অনুভূতি ভারতের ‘ডিএনএ’-তে গাঁথা।

বুধবার নয়াদিল্লিতে ‘রাইজিং ইন্ডিয়া সামিট ২০২৫’-এর দ্বিতীয় দিনে দেওয়া বক্তব্যে জয়শঙ্কর বলেন, “ভারতের মতো আর কোনো দেশ বাংলাদেশের মঙ্গল চায় না। এ সম্পর্ক অতীতের অভিজ্ঞতা ও জনগণের সঙ্গে জনগণের গভীর বন্ধনের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে।”

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফার্স্টপোস্ট জানায়, জয়শঙ্কর বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে বিশেষ করে মৌলবাদী প্রবণতা, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও গণতান্ত্রিক চর্চা নিয়ে।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ কী ভাবছে, তারা কী বলছে সেটা আমরা মনোযোগ দিয়ে শুনছি। বন্ধু হিসেবে আমরা মনে করি, সঠিক পথে এগিয়ে যাওয়াটাই তাদের জন্য মঙ্গলজনক।”

সম্প্রতি থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎ হয়। সেই আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ওপর জোর দেন মোদি। এই প্রেক্ষাপটেই জয়শঙ্করের বক্তব্য এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জয়শঙ্কর বলেন, “আমাদের সম্পর্ক কেবল সরকার ও প্রশাসনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি মূলত জনগণের সম্পর্ক। সেই কারণেই এটি অন্য যেকোনো প্রতিবেশী দেশের চেয়ে আলাদা।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশে অচিরেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। “গণতান্ত্রিক দেশের জন্য নির্বাচন একটি অপরিহার্য প্রক্রিয়া। জনগণের ম্যান্ডেট দেওয়া ও পুনর্নবীকরণের মাধ্যম এটি। আমরা আশা করি বাংলাদেশ সেই পথেই এগিয়ে যাবে,” বলেন জয়শঙ্কর।

তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও শুভকামনা কৃত্রিম নয় এটি আমাদের রক্তে মিশে আছে।”

এই বক্তব্য ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের গুরুত্ব এবং ভবিষ্যৎ পথচলার দিকনির্দেশনাও বটে বিশেষ করে যখন আঞ্চলিক রাজনীতি নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের মঙ্গল কামনায় আর কোনো দেশ এতটা উন্মুখ নয়: জয়শঙ্কর

আপডেট সময় ০৪:২০:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

 

বাংলাদেশের প্রতি ভারতের আন্তরিকতা এবং শুভকামনা দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি দাবি করেছেন, ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের মঙ্গল কামনায় আর কোনো দেশের মন এতটা উন্মুখ নয়, এবং এই অনুভূতি ভারতের ‘ডিএনএ’-তে গাঁথা।

বুধবার নয়াদিল্লিতে ‘রাইজিং ইন্ডিয়া সামিট ২০২৫’-এর দ্বিতীয় দিনে দেওয়া বক্তব্যে জয়শঙ্কর বলেন, “ভারতের মতো আর কোনো দেশ বাংলাদেশের মঙ্গল চায় না। এ সম্পর্ক অতীতের অভিজ্ঞতা ও জনগণের সঙ্গে জনগণের গভীর বন্ধনের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে।”

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফার্স্টপোস্ট জানায়, জয়শঙ্কর বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে বিশেষ করে মৌলবাদী প্রবণতা, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও গণতান্ত্রিক চর্চা নিয়ে।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ কী ভাবছে, তারা কী বলছে সেটা আমরা মনোযোগ দিয়ে শুনছি। বন্ধু হিসেবে আমরা মনে করি, সঠিক পথে এগিয়ে যাওয়াটাই তাদের জন্য মঙ্গলজনক।”

সম্প্রতি থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎ হয়। সেই আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ওপর জোর দেন মোদি। এই প্রেক্ষাপটেই জয়শঙ্করের বক্তব্য এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জয়শঙ্কর বলেন, “আমাদের সম্পর্ক কেবল সরকার ও প্রশাসনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি মূলত জনগণের সম্পর্ক। সেই কারণেই এটি অন্য যেকোনো প্রতিবেশী দেশের চেয়ে আলাদা।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশে অচিরেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। “গণতান্ত্রিক দেশের জন্য নির্বাচন একটি অপরিহার্য প্রক্রিয়া। জনগণের ম্যান্ডেট দেওয়া ও পুনর্নবীকরণের মাধ্যম এটি। আমরা আশা করি বাংলাদেশ সেই পথেই এগিয়ে যাবে,” বলেন জয়শঙ্কর।

তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও শুভকামনা কৃত্রিম নয় এটি আমাদের রক্তে মিশে আছে।”

এই বক্তব্য ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের গুরুত্ব এবং ভবিষ্যৎ পথচলার দিকনির্দেশনাও বটে বিশেষ করে যখন আঞ্চলিক রাজনীতি নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।