ঢাকা ০৪:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পেন্টাগনে ৫,৪০০ কর্মী ছাঁটাই, নতুন নিয়োগ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত দেশ গঠনে সবার ঐক্য দরকার: মির্জা ফখরুল ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনা: অবৈধ অভিবাসীদের সামরিক ঘাঁটিতে আটকের উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন খনিজ চুক্তি: স্বাক্ষরের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে কমলগঞ্জে হলুদ ফুলকপির চাষে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি, চাষিরা উপভোগ করছেন লাভের সাফল্য নয়াদিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন: বিজিবির দাবি, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা হোক স্পেসএক্স উৎক্ষেপণ করল ২৩টি স্টারলিংক স্যাটেলাইট, দ্রুত ইন্টারনেটের নতুন দিগন্ত রমজান মাসে বিদ্যুৎ সরবরাহের স্বাভাবিকতা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি: জ্বালানি উপদেষ্টা বৈষম্যবিরোধীদের নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ আজ: স্লোগান হবে ‘স্টুডেন্টস ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট’ ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা, স্থানীয়দের হাতে আটক যুবক

ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ কী, কমানোর উপায় জানুন

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

 

ক্রিয়েটিনিন শরীরের একটি বর্জ্য পদার্থ, যা পেশির ব্যবহারের ফলে উৎপন্ন হয় এবং পেশির এনার্জির উৎস হিসাবেও কাজ করে। রক্ত থেকে ক্রিয়েটিনিন ছেঁকে মূত্রের মাধ্যমে বের করে দেয় কিডনি। তবে কিডনি সুস্থ না থাকলে এই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কার্যকর হয় না, ফলে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে।

অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়ার কারণে ক্রিয়েটিনিনের উৎপাদন বেড়ে যায়। রক্তে ক্রিয়েটিনিনের উচ্চ মাত্রা মানে কিডনি সঠিকভাবে কাজ করছে না, তাই সতর্ক থাকা জরুরি। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালের তথ্য অনুযায়ী, সিরাম ক্রিয়েটিনিনের স্বাভাবিক মাত্রা পুরুষদের জন্য ৬০-১১০ মাইক্রোমোল প্রতি লিটার এবং নারীদের জন্য ৪৫-৯০ মাইক্রোমোল প্রতি লিটার।

কিডনি যদি স্বাভাবিকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয়, তাহলে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। কিডনিতে সংক্রমণের কারণে এবং কিছু ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়ও ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পায়।

রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বাড়লে শরীরে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন:
শ্বাসকষ্ট: কিডনি বিকল হলে শরীরে তরলের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
অতিরিক্ত ক্লান্তি: রক্তে ক্রিয়েটিনিনের বৃদ্ধি অতিরিক্ত ক্লান্তি সৃষ্টি করে এবং বারবার প্রস্রাবের বেগ অনুভূত হয়।
পা ফোলা: কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে শরীরে তরল জমতে শুরু করে, ফলে পায়ের পাতা ফুলে যেতে পারে।
গা গুলোয় ও বমি: অনেকের ক্ষেত্রে রক্তে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গেলে এই উপসর্গ দেখা দেয়।

ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কমানোর উপায়:

প্রোটিনের পরিমাণ সীমিত করুন: বিশেষ করে রান্না করা রেড মিট খাওয়া কমাতে হবে, যেটি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। অধিক ফাইবার যুক্ত খাবার যেমন সবজির স্যুপ বা ডাল স্যুপ খান।

ফাইবারযুক্ত খাবার খান: ফল, সবজি এবং দানাশস্য বেশি পরিমাণে খেলে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কমে।

কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন: আলু, টমেটো, দুগ্ধজাত খাবার, প্রক্রিয়াজাত মাংস, ব্রাউন রাইস এবং কোমল পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত।

ধূমপান ও মদ্যপান সীমিত করুন: ধূমপান কিডনির অসুখের ঝুঁকি বাড়ায়, এবং অতিরিক্ত মদ্যপানও কিডনির সমস্যা তৈরি করতে পারে।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন: ডিহাইড্রেশন ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে, তবে কিডনি রোগীদের পানির পরিমাণ সম্পর্কে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

সোডিয়াম কম খান: অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার রক্তচাপ বাড়িয়ে কিডনির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।

সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন পদ্ধতি অনুসরণ করে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:৩১:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫১২ বার পড়া হয়েছে

ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ কী, কমানোর উপায় জানুন

আপডেট সময় ০৩:৩১:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

ক্রিয়েটিনিন শরীরের একটি বর্জ্য পদার্থ, যা পেশির ব্যবহারের ফলে উৎপন্ন হয় এবং পেশির এনার্জির উৎস হিসাবেও কাজ করে। রক্ত থেকে ক্রিয়েটিনিন ছেঁকে মূত্রের মাধ্যমে বের করে দেয় কিডনি। তবে কিডনি সুস্থ না থাকলে এই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কার্যকর হয় না, ফলে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে।

অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়ার কারণে ক্রিয়েটিনিনের উৎপাদন বেড়ে যায়। রক্তে ক্রিয়েটিনিনের উচ্চ মাত্রা মানে কিডনি সঠিকভাবে কাজ করছে না, তাই সতর্ক থাকা জরুরি। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালের তথ্য অনুযায়ী, সিরাম ক্রিয়েটিনিনের স্বাভাবিক মাত্রা পুরুষদের জন্য ৬০-১১০ মাইক্রোমোল প্রতি লিটার এবং নারীদের জন্য ৪৫-৯০ মাইক্রোমোল প্রতি লিটার।

কিডনি যদি স্বাভাবিকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয়, তাহলে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। কিডনিতে সংক্রমণের কারণে এবং কিছু ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়ও ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পায়।

রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বাড়লে শরীরে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন:
শ্বাসকষ্ট: কিডনি বিকল হলে শরীরে তরলের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
অতিরিক্ত ক্লান্তি: রক্তে ক্রিয়েটিনিনের বৃদ্ধি অতিরিক্ত ক্লান্তি সৃষ্টি করে এবং বারবার প্রস্রাবের বেগ অনুভূত হয়।
পা ফোলা: কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে শরীরে তরল জমতে শুরু করে, ফলে পায়ের পাতা ফুলে যেতে পারে।
গা গুলোয় ও বমি: অনেকের ক্ষেত্রে রক্তে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গেলে এই উপসর্গ দেখা দেয়।

ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কমানোর উপায়:

প্রোটিনের পরিমাণ সীমিত করুন: বিশেষ করে রান্না করা রেড মিট খাওয়া কমাতে হবে, যেটি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। অধিক ফাইবার যুক্ত খাবার যেমন সবজির স্যুপ বা ডাল স্যুপ খান।

ফাইবারযুক্ত খাবার খান: ফল, সবজি এবং দানাশস্য বেশি পরিমাণে খেলে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কমে।

কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন: আলু, টমেটো, দুগ্ধজাত খাবার, প্রক্রিয়াজাত মাংস, ব্রাউন রাইস এবং কোমল পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত।

ধূমপান ও মদ্যপান সীমিত করুন: ধূমপান কিডনির অসুখের ঝুঁকি বাড়ায়, এবং অতিরিক্ত মদ্যপানও কিডনির সমস্যা তৈরি করতে পারে।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন: ডিহাইড্রেশন ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে, তবে কিডনি রোগীদের পানির পরিমাণ সম্পর্কে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

সোডিয়াম কম খান: অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার রক্তচাপ বাড়িয়ে কিডনির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।

সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন পদ্ধতি অনুসরণ করে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।