ঢাকা ০৩:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সারাদেশে যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক ৩৯০ জন জাপান সফরে ছয়টি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস সোকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশকে ১.০৬৩ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে জাপান: রেলপথ উন্নয়নে বড় সহায়তা শর্তসাপেক্ষে পারমাণবিক কর্মসূচির স্থগিতি: ইরানের ঘোষণা বৃষ্টির বাধা মানছে না কোরবানির হাট, জমে উঠেছে পশু কেনাবেচা দেশে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে রেকর্ড গতি, ১০ মাসেই শোধ ৩৫০ কোটি ডলার দক্ষিণের ৭ নদীতে পানি বিপদসীমার ওপরে, তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চল গণতন্ত্র পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে: খালেদা জিয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা ও তেল আমদানি বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

বর্ষার মৌসুমে যে সমস্ত রোগের ঝুঁকি বাড়ে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫৫:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • / 11

ছবি সংগৃহীত

 

 

বাংলাদেশে বর্ষাকাল শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্যই নয়, সঙ্গে নিয়ে আসে নানা ধরনের রোগ-ব্যাধির ঝুঁকিও। অতিবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা ও আর্দ্র আবহাওয়া এই মৌসুমে রোগজীবাণুর বিস্তারকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। ফলে এ সময় কিছু নির্দিষ্ট রোগের প্রকোপ দেখা যায় যা শিশু-বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সব বয়সীদের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ।

১. ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া: বর্ষাকালে সবচেয়ে আলোচিত ও ভয়ংকর রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া। এই রোগ দুটি মশাবাহিত এবং সাধারণত এডিস মশা দ্বারা ছড়ায়, যেগুলো জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে জন্মায়। বর্ষায় বাড়ির চারপাশে জমে থাকা পানি যেমন ফুলদানি, ব্যবহৃত টায়ার, খোলা ড্রাম বা ডাবের খোলস—এইসব স্থানে মশার প্রজনন বাড়ে।

২. টাইফয়েড ও পানিবাহিত রোগ: বর্ষাকালে নোংরা পানি, ড্রেনের জল ও বৃষ্টির পানি একত্র হয়ে খাবার ও পানির উৎসকে দূষিত করে। ফলে টাইফয়েড, আমাশয়, ডায়রিয়া ও হেপাটাইটিস ‘এ’–এর মতো পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ে। অপরিষ্কার হাতে খাওয়া, রাস্তার খাবার খাওয়া কিংবা বিশুদ্ধ পানি না খাওয়ার কারণে এইসব রোগ সহজেই ছড়াতে পারে।

৩. চর্মরোগ ও ছত্রাক সংক্রমণ: আর্দ্র আবহাওয়ায় ত্বকে ঘাম জমে এবং শরীরের ভাঁজে ছত্রাক বা ফাঙ্গাস সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। বর্ষায় অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ ভেজা জামাকাপড়ে থাকার ফলে চর্মরোগ, খোসপাঁচড়া ও র‍্যাশের মতো সমস্যা দেখা দেয়।

৪. শ্বাসনালীজনিত সমস্যা: বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় অনেকের হাঁপানি, অ্যালার্জি এবং ঠান্ডা-কাশির সমস্যা বাড়ে। বিশেষ করে যাদের আগেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এই সময়টা বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন।

৫. জ্বর ও ভাইরাল সংক্রমণ: বর্ষাকালে তাপমাত্রা ওঠানামা করে এবং বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়, ফলে সাধারণ ভাইরাল ফ্লু, জ্বর, সর্দি-কাশির মতো সংক্রমণ সহজে ছড়িয়ে পড়ে।

সতর্কতা ও প্রতিকার:

* বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার ও মশামুক্ত রাখা

* বিশুদ্ধ পানি পান করা ও খাবার ঢেকে রাখা

* ভেজা জামাকাপড় না পরিধান করা

* শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা

* প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া

বর্ষা যেমন প্রকৃতিকে প্রাণ দেয়, তেমনি অসাবধানতা থাকলে শরীরের জন্য বিপজ্জনকও হতে পারে। তাই এই মৌসুমে স্বাস্থ্য সচেতন থাকাটা অত্যন্ত জরুরি।

নিউজটি শেয়ার করুন

বর্ষার মৌসুমে যে সমস্ত রোগের ঝুঁকি বাড়ে

আপডেট সময় ১২:৫৫:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

 

 

বাংলাদেশে বর্ষাকাল শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্যই নয়, সঙ্গে নিয়ে আসে নানা ধরনের রোগ-ব্যাধির ঝুঁকিও। অতিবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা ও আর্দ্র আবহাওয়া এই মৌসুমে রোগজীবাণুর বিস্তারকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। ফলে এ সময় কিছু নির্দিষ্ট রোগের প্রকোপ দেখা যায় যা শিশু-বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সব বয়সীদের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ।

১. ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া: বর্ষাকালে সবচেয়ে আলোচিত ও ভয়ংকর রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া। এই রোগ দুটি মশাবাহিত এবং সাধারণত এডিস মশা দ্বারা ছড়ায়, যেগুলো জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে জন্মায়। বর্ষায় বাড়ির চারপাশে জমে থাকা পানি যেমন ফুলদানি, ব্যবহৃত টায়ার, খোলা ড্রাম বা ডাবের খোলস—এইসব স্থানে মশার প্রজনন বাড়ে।

২. টাইফয়েড ও পানিবাহিত রোগ: বর্ষাকালে নোংরা পানি, ড্রেনের জল ও বৃষ্টির পানি একত্র হয়ে খাবার ও পানির উৎসকে দূষিত করে। ফলে টাইফয়েড, আমাশয়, ডায়রিয়া ও হেপাটাইটিস ‘এ’–এর মতো পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ে। অপরিষ্কার হাতে খাওয়া, রাস্তার খাবার খাওয়া কিংবা বিশুদ্ধ পানি না খাওয়ার কারণে এইসব রোগ সহজেই ছড়াতে পারে।

৩. চর্মরোগ ও ছত্রাক সংক্রমণ: আর্দ্র আবহাওয়ায় ত্বকে ঘাম জমে এবং শরীরের ভাঁজে ছত্রাক বা ফাঙ্গাস সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। বর্ষায় অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ ভেজা জামাকাপড়ে থাকার ফলে চর্মরোগ, খোসপাঁচড়া ও র‍্যাশের মতো সমস্যা দেখা দেয়।

৪. শ্বাসনালীজনিত সমস্যা: বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় অনেকের হাঁপানি, অ্যালার্জি এবং ঠান্ডা-কাশির সমস্যা বাড়ে। বিশেষ করে যাদের আগেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এই সময়টা বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন।

৫. জ্বর ও ভাইরাল সংক্রমণ: বর্ষাকালে তাপমাত্রা ওঠানামা করে এবং বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়, ফলে সাধারণ ভাইরাল ফ্লু, জ্বর, সর্দি-কাশির মতো সংক্রমণ সহজে ছড়িয়ে পড়ে।

সতর্কতা ও প্রতিকার:

* বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার ও মশামুক্ত রাখা

* বিশুদ্ধ পানি পান করা ও খাবার ঢেকে রাখা

* ভেজা জামাকাপড় না পরিধান করা

* শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা

* প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া

বর্ষা যেমন প্রকৃতিকে প্রাণ দেয়, তেমনি অসাবধানতা থাকলে শরীরের জন্য বিপজ্জনকও হতে পারে। তাই এই মৌসুমে স্বাস্থ্য সচেতন থাকাটা অত্যন্ত জরুরি।