০৫:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

শাহজালাল বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে প্রধান বাধা ছিল বাতাস: ফায়ার ডিজি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১৪:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / 153

ছবি সংগৃহীত

 

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল প্রবল বাতাস—এমন মন্তব্য করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আগুন নেভাতে এসে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়েছিল বাতাসের প্রবাহ। জায়গাটা খোলা থাকায় সেখানে প্রচুর অক্সিজেন ছিল, যা আগুনকে আরও জ্বালিয়ে তুলেছিল। সেই কারণেই আকাশে উঁচু পর্যন্ত ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে।”

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম শুরু করে। “আমরা যখন পৌঁছাই, তখন এভিয়েশনের নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং গাড়িগুলোও আগুন নেভানোর চেষ্টা করছিল,” বলেন তিনি।

রাত ৯টা ১৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিজি। “এখন আমরা নির্বাপণের কাজ করছি। আগুন আর ছড়ানোর আশঙ্কা নেই,” যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, “এ পর্যন্ত আমাদের দুইজন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন। এছাড়া আনসারের কিছু সদস্যও প্রাথমিকভাবে আহত হয়েছেন বলে খবর পেয়েছি, তবে সঠিক সংখ্যা এখনো নিশ্চিত নয়।”

আগুনের উৎস সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, “আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তদন্ত শেষে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।”

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়েও তিনি বলেন, “আমরা একদিকে আগুন নেভানোর কাজ করেছি, অন্যদিকে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করা গেছে, তবে ক্ষতির মোট পরিমাণ এখনই নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।”

ফায়ার সার্ভিসের তথ্যানুযায়ী, আগুনে প্রায় ৪০০ গজ এলাকার বিভিন্ন খোলা ও বদ্ধ স্টোরে রাখা আমদানি কার্গো পুড়ে গেছে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল প্রায় ছয় ঘণ্টা বন্ধ ছিল। রাত ৯টা ৬ মিনিটে দুবাই থেকে আগত একটি ফ্লাইট অবতরণের মাধ্যমে বিমানবন্দরের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

শাহজালাল বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে প্রধান বাধা ছিল বাতাস: ফায়ার ডিজি

আপডেট সময় ০১:১৪:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

 

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল প্রবল বাতাস—এমন মন্তব্য করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আগুন নেভাতে এসে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়েছিল বাতাসের প্রবাহ। জায়গাটা খোলা থাকায় সেখানে প্রচুর অক্সিজেন ছিল, যা আগুনকে আরও জ্বালিয়ে তুলেছিল। সেই কারণেই আকাশে উঁচু পর্যন্ত ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে।”

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম শুরু করে। “আমরা যখন পৌঁছাই, তখন এভিয়েশনের নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং গাড়িগুলোও আগুন নেভানোর চেষ্টা করছিল,” বলেন তিনি।

রাত ৯টা ১৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিজি। “এখন আমরা নির্বাপণের কাজ করছি। আগুন আর ছড়ানোর আশঙ্কা নেই,” যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, “এ পর্যন্ত আমাদের দুইজন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন। এছাড়া আনসারের কিছু সদস্যও প্রাথমিকভাবে আহত হয়েছেন বলে খবর পেয়েছি, তবে সঠিক সংখ্যা এখনো নিশ্চিত নয়।”

আগুনের উৎস সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, “আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তদন্ত শেষে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।”

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়েও তিনি বলেন, “আমরা একদিকে আগুন নেভানোর কাজ করেছি, অন্যদিকে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করা গেছে, তবে ক্ষতির মোট পরিমাণ এখনই নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।”

ফায়ার সার্ভিসের তথ্যানুযায়ী, আগুনে প্রায় ৪০০ গজ এলাকার বিভিন্ন খোলা ও বদ্ধ স্টোরে রাখা আমদানি কার্গো পুড়ে গেছে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল প্রায় ছয় ঘণ্টা বন্ধ ছিল। রাত ৯টা ৬ মিনিটে দুবাই থেকে আগত একটি ফ্লাইট অবতরণের মাধ্যমে বিমানবন্দরের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।