০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল ১৫ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের কড়া পদক্ষেপ, পাঠানো হলো কারাগারে অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কতা নির্দেশনা দিল মাউশি ইয়েমেনে জাতিসংঘ কার্যালয়ে হুথি বাহিনীর অভিযান, আটক ২০ কর্মী হংকং বিমানবন্দরে বড় দুর্ঘটনা: সাগরে পড়ল কার্গো প্লেন, নিহত ২ কর্মী ১ নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন পর্যটকরা: পরিবেশ উপদেষ্টা

শাহজালাল বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে প্রধান বাধা ছিল বাতাস: ফায়ার ডিজি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১৪:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / 102

ছবি সংগৃহীত

 

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল প্রবল বাতাস—এমন মন্তব্য করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আগুন নেভাতে এসে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়েছিল বাতাসের প্রবাহ। জায়গাটা খোলা থাকায় সেখানে প্রচুর অক্সিজেন ছিল, যা আগুনকে আরও জ্বালিয়ে তুলেছিল। সেই কারণেই আকাশে উঁচু পর্যন্ত ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে।”

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম শুরু করে। “আমরা যখন পৌঁছাই, তখন এভিয়েশনের নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং গাড়িগুলোও আগুন নেভানোর চেষ্টা করছিল,” বলেন তিনি।

রাত ৯টা ১৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিজি। “এখন আমরা নির্বাপণের কাজ করছি। আগুন আর ছড়ানোর আশঙ্কা নেই,” যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, “এ পর্যন্ত আমাদের দুইজন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন। এছাড়া আনসারের কিছু সদস্যও প্রাথমিকভাবে আহত হয়েছেন বলে খবর পেয়েছি, তবে সঠিক সংখ্যা এখনো নিশ্চিত নয়।”

আগুনের উৎস সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, “আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তদন্ত শেষে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।”

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়েও তিনি বলেন, “আমরা একদিকে আগুন নেভানোর কাজ করেছি, অন্যদিকে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করা গেছে, তবে ক্ষতির মোট পরিমাণ এখনই নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।”

ফায়ার সার্ভিসের তথ্যানুযায়ী, আগুনে প্রায় ৪০০ গজ এলাকার বিভিন্ন খোলা ও বদ্ধ স্টোরে রাখা আমদানি কার্গো পুড়ে গেছে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল প্রায় ছয় ঘণ্টা বন্ধ ছিল। রাত ৯টা ৬ মিনিটে দুবাই থেকে আগত একটি ফ্লাইট অবতরণের মাধ্যমে বিমানবন্দরের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

শাহজালাল বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে প্রধান বাধা ছিল বাতাস: ফায়ার ডিজি

আপডেট সময় ০১:১৪:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

 

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল প্রবল বাতাস—এমন মন্তব্য করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আগুন নেভাতে এসে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়েছিল বাতাসের প্রবাহ। জায়গাটা খোলা থাকায় সেখানে প্রচুর অক্সিজেন ছিল, যা আগুনকে আরও জ্বালিয়ে তুলেছিল। সেই কারণেই আকাশে উঁচু পর্যন্ত ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে।”

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম শুরু করে। “আমরা যখন পৌঁছাই, তখন এভিয়েশনের নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং গাড়িগুলোও আগুন নেভানোর চেষ্টা করছিল,” বলেন তিনি।

রাত ৯টা ১৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিজি। “এখন আমরা নির্বাপণের কাজ করছি। আগুন আর ছড়ানোর আশঙ্কা নেই,” যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, “এ পর্যন্ত আমাদের দুইজন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন। এছাড়া আনসারের কিছু সদস্যও প্রাথমিকভাবে আহত হয়েছেন বলে খবর পেয়েছি, তবে সঠিক সংখ্যা এখনো নিশ্চিত নয়।”

আগুনের উৎস সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, “আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তদন্ত শেষে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।”

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়েও তিনি বলেন, “আমরা একদিকে আগুন নেভানোর কাজ করেছি, অন্যদিকে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করা গেছে, তবে ক্ষতির মোট পরিমাণ এখনই নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।”

ফায়ার সার্ভিসের তথ্যানুযায়ী, আগুনে প্রায় ৪০০ গজ এলাকার বিভিন্ন খোলা ও বদ্ধ স্টোরে রাখা আমদানি কার্গো পুড়ে গেছে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল প্রায় ছয় ঘণ্টা বন্ধ ছিল। রাত ৯টা ৬ মিনিটে দুবাই থেকে আগত একটি ফ্লাইট অবতরণের মাধ্যমে বিমানবন্দরের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।