১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

গ্যাস লিকেজে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বার্ন ইনস্টিটিউটে ৯ জন ভর্তি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:১৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
  • / 79

ছবি সংগৃহীত

 

 

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ দুই পরিবারের নয়জন দগ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে তারা সবাই ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৩ আগস্ট) ভোররাতে থানার হিরাজিল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন দিনমজুর তানজিল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী আসমা বেগম (৩৫) ও দুই সন্তান তৃষা আক্তার (১৭) এবং আরাফাত (১৫)। এছাড়া দিনমজুর হাসান (৩৫), তার স্ত্রী সালমা বেগম (৩২) এবং তাদের তিন সন্তান ইমাম উদ্দিন (১ মাস), জান্নাত (৪) ও মুনতাহা (১১)।

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. সুলতান মাহমুদ শিকদার জানান, নয়জন দগ্ধকে ভোরে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে হাসান, সালমা ও আসমার শরীরের প্রায় অর্ধেক পুড়ে গেছে। তৃষার দগ্ধের মাত্রা ৫৩ শতাংশ, জান্নাতের ৪০ শতাংশ, মুনতাহার ৩৭ শতাংশ এবং এক মাস বয়সি শিশুর শরীরের প্রায় ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তানজিল ইসলামকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

দগ্ধদের স্বজন রকিবুল বলেন, তার ভাই ও ভায়রা ভাই দিনমজুরের কাজ করতেন। তারা পরিবার নিয়ে আধা সেমিপাকা ঘরে থাকতেন। রাতে হঠাৎ গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটে এবং সবাই আগুনে আটকা পড়ে দগ্ধ হন। পরে দ্রুত তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

গ্যাস লিকেজে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বার্ন ইনস্টিটিউটে ৯ জন ভর্তি

আপডেট সময় ১১:১৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

 

 

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ দুই পরিবারের নয়জন দগ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে তারা সবাই ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৩ আগস্ট) ভোররাতে থানার হিরাজিল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন দিনমজুর তানজিল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী আসমা বেগম (৩৫) ও দুই সন্তান তৃষা আক্তার (১৭) এবং আরাফাত (১৫)। এছাড়া দিনমজুর হাসান (৩৫), তার স্ত্রী সালমা বেগম (৩২) এবং তাদের তিন সন্তান ইমাম উদ্দিন (১ মাস), জান্নাত (৪) ও মুনতাহা (১১)।

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. সুলতান মাহমুদ শিকদার জানান, নয়জন দগ্ধকে ভোরে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে হাসান, সালমা ও আসমার শরীরের প্রায় অর্ধেক পুড়ে গেছে। তৃষার দগ্ধের মাত্রা ৫৩ শতাংশ, জান্নাতের ৪০ শতাংশ, মুনতাহার ৩৭ শতাংশ এবং এক মাস বয়সি শিশুর শরীরের প্রায় ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তানজিল ইসলামকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

দগ্ধদের স্বজন রকিবুল বলেন, তার ভাই ও ভায়রা ভাই দিনমজুরের কাজ করতেন। তারা পরিবার নিয়ে আধা সেমিপাকা ঘরে থাকতেন। রাতে হঠাৎ গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটে এবং সবাই আগুনে আটকা পড়ে দগ্ধ হন। পরে দ্রুত তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।