ঢাকা ০১:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, চলছে ভোটগ্রহণ গা/জা/য় ত্রাণ কেন্দ্রে গোলাগুলি ও হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চায় জাতিসংঘ টাঙ্গাইলে ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কা: নিহত ৩, আহত ৩ শ্রীপুরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক, উত্তপ্ত পরিস্থিতি বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে হাফতার প্রশাসনের পাল্টা সিদ্ধান্ত: তুরস্ক-লিবিয়া সমুদ্র চুক্তিতে যোগদান আসামে একদিনে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত, ভাঙল ১৩২ বছরের পুরনো রেকর্ড দিনাজপুরে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা জাগাচ্ছে নতুন ধান ব্রি-১০২ শান্তি আলোচনায় ব্যর্থ রাশিয়া-ইউক্রেন, তবে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ে অগ্রগতি ঈদযাত্রায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বেড়েছে চাপ, নেই কোন ভোগান্তি

দক্ষিণ কোরিয়ায় আগুন নেভাতে গিয়ে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত পাইলট

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:২৯:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 18

ছবি সংগৃহীত

 

দক্ষিণ কোরিয়ার দেগু শহরের পার্বত্য এলাকায় ভয়াবহ এক দুর্ঘটনায় আগুন নেভানোর সময় বিধ্বস্ত হয়েছে একটি অগ্নিনির্বাপণ হেলিকপ্টার। রবিবারের এই দুর্ঘটনায় হেলিকপ্টারটির একমাত্র আরোহী পাইলট নিহত হন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপ ও আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাহাড়ে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে অভিযানে অংশ নিতে গিয়েই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। যদিও দেগু ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি, তবে জানা গেছে, হেলিকপ্টারটি এককভাবে অভিযানে অংশ নিচ্ছিল এবং বিধ্বস্ত হওয়ার সময় কেবল পাইলটই তাতে ছিলেন।

এই দুর্ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন দক্ষিণ কোরিয়া ইতিহাসের ভয়াবহতম দাবানলের রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেনি। গত মাসে দেশটিতে ভয়ংকর দাবানলে ৩০ জন নিহত হন এবং পুড়ে যায় প্রায় ৪৮ হাজার হেক্টর বনভূমি। দাবানলের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, ধ্বংস হয়ে যায় বহু প্রাচীন স্থাপনা, যার মধ্যে ছিল সপ্তম শতকের ঐতিহাসিক গৌনসা মন্দির কমপ্লেক্স।

অগ্নিকাণ্ডের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে প্রবল বাতাস, অতি দ্রুত শুকিয়ে যাওয়া বনাঞ্চল এবং কয়েক মাসের কম বৃষ্টিপাত। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ২০২৪ সাল ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ বছর, যা আগুনের ভয়াবহতা বাড়িয়ে তোলে।

প্রতিবেদন অনুসারে, হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট নিহত হওয়ার এটি গত এক মাসে দ্বিতীয় ঘটনা। রবিবারের আগুনটি অবশ্য দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে এবং মার্চের ভয়াবহ দাবানলের সঙ্গে এর কোনো সংযোগ নেই বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে।

বারবার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির ঘটনায় দেশটির জরুরি সেবাব্যবস্থা ও নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের মুখে আরও উন্নত প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার দরকার এখন সময়ের দাবি।

নিউজটি শেয়ার করুন

দক্ষিণ কোরিয়ায় আগুন নেভাতে গিয়ে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত পাইলট

আপডেট সময় ০৮:২৯:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

 

দক্ষিণ কোরিয়ার দেগু শহরের পার্বত্য এলাকায় ভয়াবহ এক দুর্ঘটনায় আগুন নেভানোর সময় বিধ্বস্ত হয়েছে একটি অগ্নিনির্বাপণ হেলিকপ্টার। রবিবারের এই দুর্ঘটনায় হেলিকপ্টারটির একমাত্র আরোহী পাইলট নিহত হন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপ ও আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাহাড়ে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে অভিযানে অংশ নিতে গিয়েই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। যদিও দেগু ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি, তবে জানা গেছে, হেলিকপ্টারটি এককভাবে অভিযানে অংশ নিচ্ছিল এবং বিধ্বস্ত হওয়ার সময় কেবল পাইলটই তাতে ছিলেন।

এই দুর্ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন দক্ষিণ কোরিয়া ইতিহাসের ভয়াবহতম দাবানলের রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেনি। গত মাসে দেশটিতে ভয়ংকর দাবানলে ৩০ জন নিহত হন এবং পুড়ে যায় প্রায় ৪৮ হাজার হেক্টর বনভূমি। দাবানলের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, ধ্বংস হয়ে যায় বহু প্রাচীন স্থাপনা, যার মধ্যে ছিল সপ্তম শতকের ঐতিহাসিক গৌনসা মন্দির কমপ্লেক্স।

অগ্নিকাণ্ডের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে প্রবল বাতাস, অতি দ্রুত শুকিয়ে যাওয়া বনাঞ্চল এবং কয়েক মাসের কম বৃষ্টিপাত। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ২০২৪ সাল ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ বছর, যা আগুনের ভয়াবহতা বাড়িয়ে তোলে।

প্রতিবেদন অনুসারে, হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট নিহত হওয়ার এটি গত এক মাসে দ্বিতীয় ঘটনা। রবিবারের আগুনটি অবশ্য দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে এবং মার্চের ভয়াবহ দাবানলের সঙ্গে এর কোনো সংযোগ নেই বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে।

বারবার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির ঘটনায় দেশটির জরুরি সেবাব্যবস্থা ও নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের মুখে আরও উন্নত প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার দরকার এখন সময়ের দাবি।