০৩:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে আগারগাঁওয়ে বিস্ফোরণ: দগ্ধ একই পরিবারের সাতজন ডিজিটাল গ্রিন কার্ডে মিলবে মালয়েশিয়ার নির্মাণশ্রমিকদের বেতন ঢাকায় জোবাইদা রহমান, বেগম জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা ক্যারিবিয়ান সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৪

সিরিয়ার স্থিতিশীলতায় সর্বোচ্চ সহায়তার আশ্বাস ট্রাম্পের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:০৬:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • / 93

ছবি সংগৃহীত

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য যথাসাধ্য সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সোমবার (১০ নভেম্বর) হোয়াইট হাউসে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠকের পর তিনি এ কথা জানান।

আহমেদ আল-শারা একসময় আল-কায়েদার সাবেক কমান্ডার ছিলেন, যাকে কিছুদিন আগেও যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি সন্ত্রাসী হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল।

বিজ্ঞাপন

রয়টার্স জানায়, দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকে অপসারণের পর ক্ষমতায় আসা শারার জন্য এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেকে একজন মধ্যপন্থী নেতা হিসেবে তুলে ধরতে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনের বার্তা দিতে কাজ করছেন।

শারা ওয়াশিংটনে মূলত কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে লবিং করতে আসেন। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের সময়ই মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ সিজার আইনের অধীনে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কার্যকর স্থগিতাদেশ আরও ১৮০ দিনের জন্য বাড়ায়। তবে নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের ক্ষমতা মার্কিন কংগ্রেসের হাতে।

সিরিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতিও দেয়।

সৌদি আরবে ছয় মাস আগে অনুষ্ঠিত প্রথম বৈঠকের পর এবার ওয়াশিংটনে শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ট্রাম্প। তখনই তিনি সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

একসময় শারাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে এবার ওয়াশিংটন সফরে তাকে কোনো বিশেষ আয়োজন ছাড়াই গ্রহণ করা হয়।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প শারাকে ‘শক্তিশালী নেতা’ বলে প্রশংসা করেন এবং তার ওপর আস্থা ব্যক্ত করেন। এমনকি তার অতীত নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের সবারই একটি অতীত আছে।”

৪৩ বছর বয়সী শারা গত বছর ক্ষমতায় আসেন। তার ইসলামপন্থি যোদ্ধারা আকস্মিক আক্রমণের মাধ্যমে ৮ ডিসেম্বর দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট আসাদকে উৎখাত করে।

ট্রাম্প ও শারার বৈঠকের অন্যতম আলোচ্য ছিল নিরাপত্তা সহযোগিতা। যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার নীতিগত পরিবর্তনে সহায়তা করতে চায় বলে জানা গেছে। পাশাপাশি সিরিয়া–ইসরায়েলের সম্ভাব্য নিরাপত্তা চুক্তি নিয়েও আলোচনা চলছে। দামেস্কের একটি বিমানঘাঁটিতে মার্কিন সামরিক উপস্থিতির পরিকল্পনার কথাও সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে উঠে এসেছে।

এদিকে সিরিয়ার তথ্যমন্ত্রী এক্সে (টুইটার) এক পোস্টে জানান, দেশটি সম্প্রতি আইএস বিরোধী মার্কিন নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক জোটের সঙ্গে একটি রাজনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সিরিয়ার স্থিতিশীলতায় সর্বোচ্চ সহায়তার আশ্বাস ট্রাম্পের

আপডেট সময় ০৩:০৬:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য যথাসাধ্য সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সোমবার (১০ নভেম্বর) হোয়াইট হাউসে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠকের পর তিনি এ কথা জানান।

আহমেদ আল-শারা একসময় আল-কায়েদার সাবেক কমান্ডার ছিলেন, যাকে কিছুদিন আগেও যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি সন্ত্রাসী হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল।

বিজ্ঞাপন

রয়টার্স জানায়, দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকে অপসারণের পর ক্ষমতায় আসা শারার জন্য এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেকে একজন মধ্যপন্থী নেতা হিসেবে তুলে ধরতে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনের বার্তা দিতে কাজ করছেন।

শারা ওয়াশিংটনে মূলত কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে লবিং করতে আসেন। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের সময়ই মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ সিজার আইনের অধীনে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কার্যকর স্থগিতাদেশ আরও ১৮০ দিনের জন্য বাড়ায়। তবে নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের ক্ষমতা মার্কিন কংগ্রেসের হাতে।

সিরিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতিও দেয়।

সৌদি আরবে ছয় মাস আগে অনুষ্ঠিত প্রথম বৈঠকের পর এবার ওয়াশিংটনে শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ট্রাম্প। তখনই তিনি সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

একসময় শারাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে এবার ওয়াশিংটন সফরে তাকে কোনো বিশেষ আয়োজন ছাড়াই গ্রহণ করা হয়।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প শারাকে ‘শক্তিশালী নেতা’ বলে প্রশংসা করেন এবং তার ওপর আস্থা ব্যক্ত করেন। এমনকি তার অতীত নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের সবারই একটি অতীত আছে।”

৪৩ বছর বয়সী শারা গত বছর ক্ষমতায় আসেন। তার ইসলামপন্থি যোদ্ধারা আকস্মিক আক্রমণের মাধ্যমে ৮ ডিসেম্বর দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট আসাদকে উৎখাত করে।

ট্রাম্প ও শারার বৈঠকের অন্যতম আলোচ্য ছিল নিরাপত্তা সহযোগিতা। যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার নীতিগত পরিবর্তনে সহায়তা করতে চায় বলে জানা গেছে। পাশাপাশি সিরিয়া–ইসরায়েলের সম্ভাব্য নিরাপত্তা চুক্তি নিয়েও আলোচনা চলছে। দামেস্কের একটি বিমানঘাঁটিতে মার্কিন সামরিক উপস্থিতির পরিকল্পনার কথাও সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে উঠে এসেছে।

এদিকে সিরিয়ার তথ্যমন্ত্রী এক্সে (টুইটার) এক পোস্টে জানান, দেশটি সম্প্রতি আইএস বিরোধী মার্কিন নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক জোটের সঙ্গে একটি রাজনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি করেছে।