ঢাকা অঞ্চলের ৩১৬ দাবি-আপত্তির শুনানি করছে নির্বাচন কমিশন

- আপডেট সময় ১১:০১:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
- / 8
জাতীয় সংসদের আসন পুনর্নির্ধারণে জমা পড়া দাবি-আপত্তির শুনানি কার্যক্রমের তৃতীয় দিন আজ (২৬ আগস্ট) অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে ঢাকা অঞ্চলের মোট ৩১৬টি দাবি-আপত্তি নিয়ে শুনানি করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই শুনানি চলবে।
ইসি কর্মকর্তা বলেন, সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাকা অঞ্চলের ১৪টি আসনের (১৬৭ মানিকগঞ্জ-১, ১৬৮ মানিকগঞ্জ-২, ১৬৯ মানিকগঞ্জ-৩, ১৭০ মুন্সীগঞ্জ-১, ১৭১ মুন্সীগঞ্জ-২, ১৭২ মুন্সীগঞ্জ-৩, ১৯৪ গাজীপুর-২, ১৯৮ গাজীপুর-৬, ২০১ নরসিংদী-৩, ২০২ নরসিংদী-৪, ২০৩ নরসিংদী-৫, ২০৬ নারায়ণগঞ্জ-৩, ২০৭ নারায়ণগঞ্জ-৪ ও ২০৮ নারায়ণগঞ্জ-৫) শুনানি গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, দুপুর ২টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই অঞ্চলের আরও ১৩টি আসনের (১৭৩ ঢাকা-১, ১৭৪ ঢাকা-২, ১৭৫ ঢাকা-৩, ১৭৬ ঢাকা-৪, ১৭৭ ঢাকা-৫, ১৭৮ ঢাকা-৬, ১৭৯ ঢাকা-৭, ১৮২ ঢাকা-১০, ১৮৬ ঢাকা-১৪, ১৮৭ ঢাকা-১৫, ১৮৮ ঢাকা-১৬, ১৯০ ঢাকা-১৮ ও ১৯১ ঢাকা-১৯) দাবি-আপত্তির বিষয়ে শুনানি গ্রহণ করা হবে।
২৭ আগস্ট রংপুরের সাতটি, রাজশাহীর ২৩২টি, ময়মনসিংহের তিনটি, ফরিদপুরে ১৮টি এবং সিলেট অঞ্চলের দু’টি দাবি আপত্তির শুনানি হবে। শুনানি শেষে চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে ইসি।
গত ১০ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৮৩টি আসনের সীমানা নিয়ে ১ হাজার ৭৬০টি দাব-আপত্তি জমা পড়ে ইসিতে। এগুলোই নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে ইসি।
গত ৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করা হয় এবং বাগেরহাটের আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটির প্রস্তাব করা হয়।
এছাড়া পরিবর্তন আনা হয় মোট ৩৯টি আসনে। এগুলো হলো— পঞ্চগড় ১ ও ২; রংপুর ৩; সিরাজগঞ্জ ১ ও ২; সাতক্ষীরা ৩ ও ৪; শরিয়তপুর ২ ও ৩; ঢাকা ২, ৩, ৭, ১০, ১৪ ও ১৯; গাজীপুর ১, ২, ৩, ৫ ও ৬; নারায়ণগঞ্জ ৩, ৪ ও ৫; সিলেট ১ ও ৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩; কুমিল্লা ১, ২, ১০ ও ১১; নোয়াখালী ১, ২, ৪ ও ৫; চট্টগ্রাম ৭ ও ৮ এবং বাগেরহাট ২ ও ৩ আসন। ইসির প্রকাশিত ওই খসড়া তালিকার ওপর গত ১০ আগস্ট পর্যন্ত দাবি-আপত্তি আহ্বানও করা হয়।
আগে বাগেরহাটে মোট চারটি সংসদীয় আসন ছিল— বাগেরহাট-১ (মোল্লারহাট, ফকিরহাট ও চিতলমারি), বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল ও মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ ও সরণখোলা)।
নতুন খসড়া সীমানায় বাগেরহাট-১ আসনে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। তবে বাগেরহাট সদর, কচুয়া ও রামপালকে একত্র করে বাগেরহাট-২ আসন এবং মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা নিয়ে বাগেরহাট-৩ আসনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে সীমানা পরিবর্তন নিয়ে এলাকায় বিক্ষোভ দেখা দেওয়ায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। চার দিনের শুনানি শেষে আবেদনগুলো পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।