ঢাকা সফরে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

- আপডেট সময় ০১:০৩:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
- / 9
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আগামী আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসছেন। বহুল প্রতীক্ষিত এই সফরে ঢাকা-ইসলামাবাদ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
একাধিক কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, এই সফরের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান চায় বাংলাদেশকে একটি ইতিবাচক বার্তা দিতে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে। মূলত চলতি বছরের এপ্রিল মাসে যেসব কারণে সফরটি স্থগিত হয়েছিল, সেসব জটিলতা কাটিয়ে এবার সফরটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সফরের সময়সূচি নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে সম্মতি রয়েছে। সম্ভাব্য সফর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ বা ২৩ আগস্ট। ইসলামাবাদের একটি নির্ভরযোগ্য কূটনৈতিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৭ এপ্রিল ইসহাক দারের ঢাকা সফরের পরিকল্পনা চূড়ান্ত ছিল। কিন্তু ভারতের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে, ইসলামাবাদ শেষ মুহূর্তে সফর স্থগিত করে।
এ বিষয়ে সরকারের এক কূটনীতিক জানান, সেই সময় সফরের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন ছিল। তবে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পাকিস্তান সফর থেকে সরে আসে।
সফরকালে ইসহাক দারের প্রধান বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে। পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একটি সৌজন্য সাক্ষাতেরও পরিকল্পনা রয়েছে।
সম্প্রতি নিউইয়র্কে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সাইডলাইনে ইসহাক দারের সঙ্গে তৌহিদ হোসেনের সাক্ষাৎ হয়েছে। বছরখানেকের ব্যবধানে এটি ছিল তাদের চতুর্থ বৈঠক। উপস্থিত এক কূটনীতিক জানিয়েছেন, সেই সাক্ষাতেই ঢাকায় আসন্ন সফর নিয়ে আলোচনা হয় এবং ইসহাক দার সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফরের পরপরই ইসহাক দার ঢাকা সফরের আগ্রহ জানিয়ে দেন। আলোচনায় তিনি বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে উপস্থাপন করেন।
সফরকে ঘিরে কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এক কূটনীতিক জানিয়েছেন, “সফরের প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। কিছু নতুন বিষয় আলোচনায় এসেছে, যেগুলো আগে আলোচনার অংশ ছিল না। কতগুলো চুক্তি হবে, সেটা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, তবে অগ্রগতি আছে।”