ঢাকা ১২:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

শাহরিয়ার সাম্য হত্যাকাণ্ড: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এখন ‘অপরাধের স্বর্গরাজ্য’: হাসনাত আব্দুল্লাহ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / 7

ছবি সংগৃহীত

 

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এখন অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে এমনই মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহতের ঘটনায় গভীর ক্ষোভ জানিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি লেখেন, “আমাদের ভাই সাম্যর হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর অন্তত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অপরাধচক্র, মাদক কারবার ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়।”

নিহত সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাস্টার্স ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি, তিনি স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন।

তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলায়। তার বাবার নাম ফখরুল আলম।

পুলিশ ও সহপাঠীদের বরাতে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন সাম্য। এসময় আরেকটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষ।

ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা সাম্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান রানে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

তার বন্ধুরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সাম্যর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে তারা পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করে হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনও পর্যন্ত ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। তবে তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শাহরিয়ার সাম্য হত্যাকাণ্ড: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এখন ‘অপরাধের স্বর্গরাজ্য’: হাসনাত আব্দুল্লাহ

আপডেট সময় ১১:৫০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

 

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এখন অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে এমনই মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহতের ঘটনায় গভীর ক্ষোভ জানিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি লেখেন, “আমাদের ভাই সাম্যর হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর অন্তত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অপরাধচক্র, মাদক কারবার ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়।”

নিহত সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাস্টার্স ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি, তিনি স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন।

তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলায়। তার বাবার নাম ফখরুল আলম।

পুলিশ ও সহপাঠীদের বরাতে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন সাম্য। এসময় আরেকটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষ।

ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা সাম্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান রানে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

তার বন্ধুরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সাম্যর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে তারা পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করে হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনও পর্যন্ত ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। তবে তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।