ঢাকা ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম

শীর্ষে ঢাকা: টানা তিনদিন ধরে বায়ু দূষণে উদ্বেগ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫৯:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 48

ছবি সংগৃহীত

 

বায়ু দূষণে ঢাকা আবারও বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে পৌঁছেছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য চরম ঝুঁকি তৈরি করেছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ু পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়াল এবং আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজকেও ঢাকার বায়ু দূষণের মাত্রা ৩০০ পিএম২.৫ ছাড়িয়েছে, যা স্বাস্থ্যকর বায়ু হিসেবে রেড মার্কের অন্তর্ভুক্ত। এই পরিস্থিতিতে শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ করে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিশেষ করে ঢাকার তিনটি এলাকা যেমন – ধানমন্ডি, মতিঝিল এবং সদরঘাটে বায়ুর মান ৩০০ পিএম২.৫ এর বেশি রেকর্ড করা হয়েছে, যা খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং বিপজ্জনক। এই এলাকাগুলোর বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন।

বায়ু দূষণের এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বাসিন্দাদের জন্য জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছেন। তারা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে বাইরে বের হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য। যাদের শ্বাসকষ্ট বা হৃদরোগের মতো সমস্যা রয়েছে, তাদের বিশেষ করে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বায়ু দূষণের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে যানবাহনের ধোঁয়া, শিল্পকারখানার নির্গমন, এবং নির্মাণ কাজ। এসব কারণে বায়ুতে অতি ক্ষুদ্র কণা এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক পদার্থ মিশে যাচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে।

এই পরিস্থিতিতে সরকার ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন জরুরি। এর মধ্যে গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিল্পকারখানার নির্গমন নিয়ন্ত্রণ, এবং নির্মাণ কাজের নিয়মকানুন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা উচিত।

এছাড়াও, ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানো ও বায়ু দূষণ কমাতে সহায়ক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। অপ্রয়োজনে গাড়ি ব্যবহার না করা, ব্যক্তিগত গাড়ির বদলে গণপরিবহন ব্যবহার করা, এবং বাড়ির আশেপাশে গাছ লাগানোর মতো কাজগুলো বায়ু দূষণ কমাতে সহায়ক হতে পারে।

বায়ু দূষণ একটি জটিল সমস্যা, যা কেবলমাত্র সরকারি উদ্যোগে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও জনগণের সচেতনতা। আমাদের এই সুন্দর শহরকে বাঁচাতে হলে, বায়ু দূষণ কমাতে আজই পদক্ষেপ নিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শীর্ষে ঢাকা: টানা তিনদিন ধরে বায়ু দূষণে উদ্বেগ

আপডেট সময় ১১:৫৯:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

বায়ু দূষণে ঢাকা আবারও বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে পৌঁছেছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য চরম ঝুঁকি তৈরি করেছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ু পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়াল এবং আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজকেও ঢাকার বায়ু দূষণের মাত্রা ৩০০ পিএম২.৫ ছাড়িয়েছে, যা স্বাস্থ্যকর বায়ু হিসেবে রেড মার্কের অন্তর্ভুক্ত। এই পরিস্থিতিতে শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ করে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিশেষ করে ঢাকার তিনটি এলাকা যেমন – ধানমন্ডি, মতিঝিল এবং সদরঘাটে বায়ুর মান ৩০০ পিএম২.৫ এর বেশি রেকর্ড করা হয়েছে, যা খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং বিপজ্জনক। এই এলাকাগুলোর বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন।

বায়ু দূষণের এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বাসিন্দাদের জন্য জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছেন। তারা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে বাইরে বের হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য। যাদের শ্বাসকষ্ট বা হৃদরোগের মতো সমস্যা রয়েছে, তাদের বিশেষ করে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বায়ু দূষণের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে যানবাহনের ধোঁয়া, শিল্পকারখানার নির্গমন, এবং নির্মাণ কাজ। এসব কারণে বায়ুতে অতি ক্ষুদ্র কণা এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক পদার্থ মিশে যাচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে।

এই পরিস্থিতিতে সরকার ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন জরুরি। এর মধ্যে গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিল্পকারখানার নির্গমন নিয়ন্ত্রণ, এবং নির্মাণ কাজের নিয়মকানুন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা উচিত।

এছাড়াও, ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানো ও বায়ু দূষণ কমাতে সহায়ক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। অপ্রয়োজনে গাড়ি ব্যবহার না করা, ব্যক্তিগত গাড়ির বদলে গণপরিবহন ব্যবহার করা, এবং বাড়ির আশেপাশে গাছ লাগানোর মতো কাজগুলো বায়ু দূষণ কমাতে সহায়ক হতে পারে।

বায়ু দূষণ একটি জটিল সমস্যা, যা কেবলমাত্র সরকারি উদ্যোগে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও জনগণের সচেতনতা। আমাদের এই সুন্দর শহরকে বাঁচাতে হলে, বায়ু দূষণ কমাতে আজই পদক্ষেপ নিতে হবে।