ঢাকা ০৪:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সারাদেশে যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক ৩৯০ জন জাপান সফরে ছয়টি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস সোকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশকে ১.০৬৩ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে জাপান: রেলপথ উন্নয়নে বড় সহায়তা শর্তসাপেক্ষে পারমাণবিক কর্মসূচির স্থগিতি: ইরানের ঘোষণা বৃষ্টির বাধা মানছে না কোরবানির হাট, জমে উঠেছে পশু কেনাবেচা দেশে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে রেকর্ড গতি, ১০ মাসেই শোধ ৩৫০ কোটি ডলার দক্ষিণের ৭ নদীতে পানি বিপদসীমার ওপরে, তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চল গণতন্ত্র পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে: খালেদা জিয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা ও তেল আমদানি বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

দুই সপ্তাহে ১২ হাতির মৃত্যু, বিষয়টি স্বাভাবিক নয়: পরিবেশ উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:১৪:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / 2

ছবি সংগৃহীত

 

 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর মাত্র দুই সপ্তাহে দেশে ১২টি বন্যহাতির মৃত্যু হয়েছে। এটি কোনোভাবেই স্বাভাবিক নয়।”

সোমবার (২৬ মে) দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার দাওধারা গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, “বিশ্বের অনেক দেশেই হাতি ও মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করছে। সেখানে বড় কোনো দ্বন্দ্ব নেই। কিন্তু আমাদের দেশে বনাঞ্চল সংকুচিত হওয়া ও খাদ্যের অভাবে হাতি লোকালয়ে চলে আসে। অথচ হাতির জন্য লোকালয়ে আসা আনন্দের কিছু নয়, বরং এটি তার দুর্ভোগ ডেকে আনে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের ভাবতে হবে কীভাবে হাতিকে লোকালয়ে আসা থেকে বিরত রাখা যায়। তার আবাসস্থল ও খাবারের চাহিদা পূরণ করতে না পারলে এই দ্বন্দ্ব বেড়েই চলবে।”

এ সময় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই কঠোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।”

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পরপরই হঠাৎ কিছু লোকজন সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। এতে এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি জাহিদুল খান সৌরভ, সময় টিভির চিত্রগ্রাহক বাবু চক্রবর্তী, বাংলাদেশ খবরের প্রতিনিধি শাহরিয়ার শাকিরসহ অন্তত ছয়জন আহত হন।

নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড় এলাকায় বন বিভাগের আওতাধীন ২২৩ একর খাসজমি রয়েছে। এর মধ্যে ৩২ একর জমি সংরক্ষিত পাথর মহাল হিসেবে চিহ্নিত। এই বনাঞ্চলের ভেতরেই দাওধারা গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন। তবে বন্যহাতি সংরক্ষণ ও বন রক্ষার স্বার্থে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনে আপত্তি জানিয়েছে স্থানীয় বন বিভাগ।

পরে বিকেলে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান মধুটিলা ইকোপার্কে যান। সেখানে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্বে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ এবং মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মো. নুরুল কবীর এবং বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. রেজা খান।

নিউজটি শেয়ার করুন

দুই সপ্তাহে ১২ হাতির মৃত্যু, বিষয়টি স্বাভাবিক নয়: পরিবেশ উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৭:১৪:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

 

 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর মাত্র দুই সপ্তাহে দেশে ১২টি বন্যহাতির মৃত্যু হয়েছে। এটি কোনোভাবেই স্বাভাবিক নয়।”

সোমবার (২৬ মে) দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার দাওধারা গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, “বিশ্বের অনেক দেশেই হাতি ও মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করছে। সেখানে বড় কোনো দ্বন্দ্ব নেই। কিন্তু আমাদের দেশে বনাঞ্চল সংকুচিত হওয়া ও খাদ্যের অভাবে হাতি লোকালয়ে চলে আসে। অথচ হাতির জন্য লোকালয়ে আসা আনন্দের কিছু নয়, বরং এটি তার দুর্ভোগ ডেকে আনে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের ভাবতে হবে কীভাবে হাতিকে লোকালয়ে আসা থেকে বিরত রাখা যায়। তার আবাসস্থল ও খাবারের চাহিদা পূরণ করতে না পারলে এই দ্বন্দ্ব বেড়েই চলবে।”

এ সময় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই কঠোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।”

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পরপরই হঠাৎ কিছু লোকজন সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। এতে এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি জাহিদুল খান সৌরভ, সময় টিভির চিত্রগ্রাহক বাবু চক্রবর্তী, বাংলাদেশ খবরের প্রতিনিধি শাহরিয়ার শাকিরসহ অন্তত ছয়জন আহত হন।

নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড় এলাকায় বন বিভাগের আওতাধীন ২২৩ একর খাসজমি রয়েছে। এর মধ্যে ৩২ একর জমি সংরক্ষিত পাথর মহাল হিসেবে চিহ্নিত। এই বনাঞ্চলের ভেতরেই দাওধারা গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন। তবে বন্যহাতি সংরক্ষণ ও বন রক্ষার স্বার্থে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনে আপত্তি জানিয়েছে স্থানীয় বন বিভাগ।

পরে বিকেলে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান মধুটিলা ইকোপার্কে যান। সেখানে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্বে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ এবং মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মো. নুরুল কবীর এবং বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. রেজা খান।