০৩:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

মধুপুরে বনবাসীদের ১২৯টি মামলা প্রত্যাহারের ঘোষণা পরিবেশ উপদেষ্টার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:০২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / 140

ছবি সংগৃহীত

 

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ বনবাসীদের বিরুদ্ধে করা ১২৯টি মামলা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। পাশাপাশি তিনি মধুপুরের শালবনে পুনরায় শালগাছ রোপণের পরিকল্পনাও প্রকাশ করেন।

রবিবার (২৫ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল বন বিভাগের আওতাধীন মধুপুরের টেলকি এলাকায় শালগাছের চারা রোপণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “মধুপুর শালবনে আবারও শালগাছ ফেরত আনা হবে। এজন্য আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ব্যাপকভাবে শালগাছ রোপণ করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “এই বন রক্ষায় এখানকার বনবাসীদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদেরও এসব কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।”

তিনি জানান, বনের যেসব অংশ বেদখল হয়ে পড়েছে, সেগুলো পুনরুদ্ধারে সীমানা চিহ্নিত করে পিলার স্থাপন করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বনভূমি পুনঃপ্রতিষ্ঠার পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।

রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, “বাণিজ্যিকভাবে ইউক্যালিপটাস ও আকাশিয়া গাছ রোপণের যে প্রবণতা ছিল, তা ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়া হবে।” শালবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় এসব গাছের পরিবর্তে স্বাভাবিক শাল প্রজাতির গাছ রোপণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

এই সময় মধুপুর বনাঞ্চলের রাজবাড়ী এলাকায় সীমানা নির্ধারণ ও পিলার স্থাপন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা। পাশাপাশি ‘স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে মধুপুর শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান এবং প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী।

সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় বনবাসী ও পরিবেশকর্মীরা। তারা আশা প্রকাশ করেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে শালবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি বনজীবীদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তিরও অবসান ঘটবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মধুপুরে বনবাসীদের ১২৯টি মামলা প্রত্যাহারের ঘোষণা পরিবেশ উপদেষ্টার

আপডেট সময় ০৮:০২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

 

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ বনবাসীদের বিরুদ্ধে করা ১২৯টি মামলা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। পাশাপাশি তিনি মধুপুরের শালবনে পুনরায় শালগাছ রোপণের পরিকল্পনাও প্রকাশ করেন।

রবিবার (২৫ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল বন বিভাগের আওতাধীন মধুপুরের টেলকি এলাকায় শালগাছের চারা রোপণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “মধুপুর শালবনে আবারও শালগাছ ফেরত আনা হবে। এজন্য আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ব্যাপকভাবে শালগাছ রোপণ করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “এই বন রক্ষায় এখানকার বনবাসীদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদেরও এসব কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।”

তিনি জানান, বনের যেসব অংশ বেদখল হয়ে পড়েছে, সেগুলো পুনরুদ্ধারে সীমানা চিহ্নিত করে পিলার স্থাপন করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বনভূমি পুনঃপ্রতিষ্ঠার পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।

রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, “বাণিজ্যিকভাবে ইউক্যালিপটাস ও আকাশিয়া গাছ রোপণের যে প্রবণতা ছিল, তা ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়া হবে।” শালবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় এসব গাছের পরিবর্তে স্বাভাবিক শাল প্রজাতির গাছ রোপণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

এই সময় মধুপুর বনাঞ্চলের রাজবাড়ী এলাকায় সীমানা নির্ধারণ ও পিলার স্থাপন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা। পাশাপাশি ‘স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে মধুপুর শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান এবং প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী।

সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় বনবাসী ও পরিবেশকর্মীরা। তারা আশা প্রকাশ করেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে শালবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি বনজীবীদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তিরও অবসান ঘটবে।