০৮:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প

উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য পোড়ালে কঠোর ব্যবস্থা : হুঁশিয়ারি পরিবেশ উপদেষ্টার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৪২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 94

ছবি সংগৃহীত

 

ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে নির্মাণসামগ্রী ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, মাতুয়াইল, আমিনবাজারসহ উন্মুক্ত স্থানে কেউ বর্জ্য পোড়ালে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি কিংবা বেসরকারি যেই হোক, দায়ীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
উপদেষ্টা বলেন, “নির্মাণকাজে ব্যবহৃত বালু ও অন্যান্য সামগ্রী অবশ্যই ঢেকে রাখতে হবে এবং পরিবহনের সময়ও তা ঢেকে রাখতে হবে। না হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর, রাজউক, সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ম্যাজিস্ট্রেটরা যৌথভাবে এসব বিষয়ে নজরদারি চালাবে।

রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সেবাদানকারী সংস্থাগুলো যাতে একসঙ্গে ও পরিকল্পিতভাবে কাজ করে, তা নিশ্চিত করতে হবে। আলাদা আলাদাভাবে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করলে দুর্ভোগ বাড়ে ও দূষণ বাড়ে।”

সভায় উপদেষ্টা আরও জানান, রাজধানীতে ‘নো ব্রিক ফিল্ড জোন’ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। রাস্তা ও আশপাশে নিয়মিত পানি ছিটাতে হবে এবং নিয়ম না মানলে অঞ্চলভিত্তিক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

বায়ুদূষণ রোধে শহরকে আরও সবুজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “ডিভাইডারে ঘাস লাগাতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দূষণ কমাতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া এই কাজ সম্ভব নয়।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম, বিআরটি চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. কামরুজ্জামান প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য পোড়ালে কঠোর ব্যবস্থা : হুঁশিয়ারি পরিবেশ উপদেষ্টার

আপডেট সময় ০৮:৪২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

 

ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে নির্মাণসামগ্রী ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, মাতুয়াইল, আমিনবাজারসহ উন্মুক্ত স্থানে কেউ বর্জ্য পোড়ালে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি কিংবা বেসরকারি যেই হোক, দায়ীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
উপদেষ্টা বলেন, “নির্মাণকাজে ব্যবহৃত বালু ও অন্যান্য সামগ্রী অবশ্যই ঢেকে রাখতে হবে এবং পরিবহনের সময়ও তা ঢেকে রাখতে হবে। না হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর, রাজউক, সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ম্যাজিস্ট্রেটরা যৌথভাবে এসব বিষয়ে নজরদারি চালাবে।

রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সেবাদানকারী সংস্থাগুলো যাতে একসঙ্গে ও পরিকল্পিতভাবে কাজ করে, তা নিশ্চিত করতে হবে। আলাদা আলাদাভাবে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করলে দুর্ভোগ বাড়ে ও দূষণ বাড়ে।”

সভায় উপদেষ্টা আরও জানান, রাজধানীতে ‘নো ব্রিক ফিল্ড জোন’ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। রাস্তা ও আশপাশে নিয়মিত পানি ছিটাতে হবে এবং নিয়ম না মানলে অঞ্চলভিত্তিক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

বায়ুদূষণ রোধে শহরকে আরও সবুজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “ডিভাইডারে ঘাস লাগাতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দূষণ কমাতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া এই কাজ সম্ভব নয়।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম, বিআরটি চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. কামরুজ্জামান প্রমুখ।