০২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই: মির্জা ফখরুল যারা আগে গণভোট চায় না তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না: মুজিবুর রহমান আজ থেকে শুরু জাটকা শিকারে ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা ঘরোয়া সাজে স্নিগ্ধ জয়া আহসান, নতুন লুকে মুগ্ধ ভক্তরা নতুন ফাঁস হওয়া নথিতে ইসরায়েলের সঙ্গে অ্যামাজন ও গুগলের গোপন চুক্তি উন্মোচিত তাইওয়ানে প্রথমবারের মতো প্রো ইসরাইলি লবি AIPAC প্রতিনিধিদলের সফর প্রবল বর্ষণে নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সির রাস্তাঘাট প্লাবিত, যানবাহন ডুবে গেছে পানিতে নিরাপত্তা হুমকিতে সামরিক ঘাঁটিতে আশ্রয় নিলেন ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ‘পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত এক দখলদার দানব’ — যুক্তরাষ্ট্রকে কটাক্ষ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে সম্মত পাকিস্তান-আফগানিস্তান, তুরস্ক-কাতারের মধ্যস্থতায় সমঝোতা

রিয়েল এস্টেট দুর্নীতিতে জড়ানোর অভিযোগে ইডির জিজ্ঞাসাবাদে দক্ষিণী সুপারস্টার মহেশ বাবু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫২:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • / 60

ছবি সংগৃহীত

 

দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক মহেশ বাবুকে আর্থিক জালিয়াতি মামলায় তলব করেছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আগামী ২৭ এপ্রিল তাকে ইডির হায়দরাবাদ দপ্তরে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, হায়দরাবাদের রিয়েল এস্টেট কোম্পানি সাই সূর্য ডেভেলপারস এবং সুরানা গ্রুপের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগের তদন্তে উঠে এসেছে মহেশ বাবুর নাম। অভিযোগ, এই দুই সংস্থার প্রলোভনে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ তাদের স্বপ্নের বাড়ি কিনতে গিয়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

রিয়েল এস্টেট প্রকল্পগুলোর নামে প্রতারণা করে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছে সাই সূর্য ডেভেলপারস ও সুরানা গ্রুপ। তাদের একাধিক আবাসন প্রকল্প নিয়ে ওঠা অভিযোগে ইতিমধ্যে তদন্ত চলছে। এই আবাসন সংস্থাগুলোর হয়ে বিজ্ঞাপন করেছিলেন মহেশ বাবু, যা তাকে এখন বড় ধরনের আইনি সমস্যায় ফেলেছে।

তদন্ত সূত্রের দাবি, সাই সূর্য ডেভেলপারস তাদের পণ্য প্রচারের জন্য মহেশ বাবুকে প্রায় ৫.৯ কোটি রুপি দিয়েছিল। এর মধ্যে ব্যাংকের মাধ্যমে ৩.৪ কোটি রুপি পরিশোধ করা হয় এবং বাকি ২.৫ কোটি রুপি নগদে দেওয়া হয়। এই নগদ অর্থকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে সন্দেহ। তদন্তকারীরা ধারণা করছেন, এই অর্থ রিয়েল এস্টেট জালিয়াতির কালো টাকা থেকে দেওয়া হয়েছে।

গত ১৬ এপ্রিল ইডি হায়দরাবাদ ও সেকেন্দ্রাবাদের চারটি স্থানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নথি, নগদ অর্থ ও আর্থিক লেনদেনের দলিল উদ্ধার করেছে। অভিযানে প্রায় ১০০ কোটি রুপি নগদ উদ্ধার হয়, যার মধ্যে সুরানা গ্রুপ থেকে ৭৪.৫ লক্ষ রুপি জব্দ করা হয়েছে।

মহেশ বাবুর বিরুদ্ধে এখনো কোনো সরাসরি অভিযোগ না উঠলেও, তার নাম এই দুর্নীতিতে জড়ানোয় ইডি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে। ইডির তদন্তে নতুন কোনো তথ্য উঠে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই ঘটনার পর মহেশ বাবুর আইনজীবী দল বিষয়টি নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এ বিষয়ে এখনো তার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য আসেনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

রিয়েল এস্টেট দুর্নীতিতে জড়ানোর অভিযোগে ইডির জিজ্ঞাসাবাদে দক্ষিণী সুপারস্টার মহেশ বাবু

আপডেট সময় ০২:৫২:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

 

দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক মহেশ বাবুকে আর্থিক জালিয়াতি মামলায় তলব করেছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আগামী ২৭ এপ্রিল তাকে ইডির হায়দরাবাদ দপ্তরে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, হায়দরাবাদের রিয়েল এস্টেট কোম্পানি সাই সূর্য ডেভেলপারস এবং সুরানা গ্রুপের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগের তদন্তে উঠে এসেছে মহেশ বাবুর নাম। অভিযোগ, এই দুই সংস্থার প্রলোভনে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ তাদের স্বপ্নের বাড়ি কিনতে গিয়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

রিয়েল এস্টেট প্রকল্পগুলোর নামে প্রতারণা করে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছে সাই সূর্য ডেভেলপারস ও সুরানা গ্রুপ। তাদের একাধিক আবাসন প্রকল্প নিয়ে ওঠা অভিযোগে ইতিমধ্যে তদন্ত চলছে। এই আবাসন সংস্থাগুলোর হয়ে বিজ্ঞাপন করেছিলেন মহেশ বাবু, যা তাকে এখন বড় ধরনের আইনি সমস্যায় ফেলেছে।

তদন্ত সূত্রের দাবি, সাই সূর্য ডেভেলপারস তাদের পণ্য প্রচারের জন্য মহেশ বাবুকে প্রায় ৫.৯ কোটি রুপি দিয়েছিল। এর মধ্যে ব্যাংকের মাধ্যমে ৩.৪ কোটি রুপি পরিশোধ করা হয় এবং বাকি ২.৫ কোটি রুপি নগদে দেওয়া হয়। এই নগদ অর্থকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে সন্দেহ। তদন্তকারীরা ধারণা করছেন, এই অর্থ রিয়েল এস্টেট জালিয়াতির কালো টাকা থেকে দেওয়া হয়েছে।

গত ১৬ এপ্রিল ইডি হায়দরাবাদ ও সেকেন্দ্রাবাদের চারটি স্থানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নথি, নগদ অর্থ ও আর্থিক লেনদেনের দলিল উদ্ধার করেছে। অভিযানে প্রায় ১০০ কোটি রুপি নগদ উদ্ধার হয়, যার মধ্যে সুরানা গ্রুপ থেকে ৭৪.৫ লক্ষ রুপি জব্দ করা হয়েছে।

মহেশ বাবুর বিরুদ্ধে এখনো কোনো সরাসরি অভিযোগ না উঠলেও, তার নাম এই দুর্নীতিতে জড়ানোয় ইডি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে। ইডির তদন্তে নতুন কোনো তথ্য উঠে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই ঘটনার পর মহেশ বাবুর আইনজীবী দল বিষয়টি নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এ বিষয়ে এখনো তার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য আসেনি।