ঢাকা ০২:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কেমিক্যাল বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩ শ্রমিক, ভর্তি বার্ন ইনস্টিটিউটে ভারতের কোচ হওয়ার ইচ্ছা জানালেন জাভি হার্নান্দেজ ভক্তদের জন্য উপহার, আসছে মাইকেল জ্যাকসনের বায়োপিক “মিরপুরের উইকেট নিয়ে লিটনের ভিন্ন সুর” আগামী আগস্ট থেকে সিরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ করবে আজারবাইজান, তুরস্ক হবে ট্রানজিট পথ তুরস্কের ইউরোফাইটার চুক্তিতে অস্বস্তিতে ইসরায়েল: “গেমচেঞ্জার না হলেও মাথাব্যথা” ওমান সাগরে উত্তেজনা: ইরানি হেলিকপ্টারের হুঁশিয়ারিতে পথ বদলালো মার্কিন যুদ্ধজাহাজ বাগেরহাটে লোকালয়ে ঢুকে পড়া বিশাল অজগর উদ্ধার গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির ঘোষণা দিলেন ম্যাক্রোঁ থানার ভেতরে ছুরিকাঘাত, গাইবান্ধার এএসআই গুরুতর আহত”

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নতুন নির্দেশনা প্রকাশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৪৪:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
  • / 13

ছবি সংগৃহীত

 

 

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতেই অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। কোনো ধরনের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে না।

নতুন নীতিমালার আওতায় অনলাইনে ভর্তি আবেদন শুরু হবে ৩০ জুলাই এবং চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। ২৪ জুলাই প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, যে শিক্ষাবর্ষে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং তার আগের দুই বছরে যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন, তারা আবেদন করার যোগ্য হবেন। বিদেশি বোর্ডে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে মান নির্ধারণ ও অনুমোদন পেলে ভর্তির সুযোগ পাবেন।

বিভাগ নির্বাচন সংক্রান্ত নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক কিংবা ব্যবসায় শিক্ষা—যেকোনো বিভাগে আবেদন করতে পারবেন। তবে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাবেন না। মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল/দাখিল) পাস করা শিক্ষার্থীরা সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের যেকোনো বিভাগে আবেদন করতে পারবেন।

সরকারি ও বেসরকারি কলেজে মোট আসনের ৯৩ শতাংশ রাখা হয়েছে সকল শিক্ষার্থীর জন্য উন্মুক্ত। বাকি ৭ শতাংশ কোটা হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে—এর মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য, ১ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানদের জন্য এবং ১ শতাংশ অধীনস্থ দপ্তর বা সংস্থার কর্মকর্তার সন্তানদের জন্য। তবে সংরক্ষিত কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়া গেলে উন্মুক্ত আসনের মতো মেধার ভিত্তিতেই ভর্তি করা হবে।

সমান জিপিএপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মোট প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় মেধাক্রম নির্ধারিত হবে। প্রয়োজনে নির্দিষ্ট বিষয়ের নম্বর অনুযায়ী অগ্রাধিকার দেওয়া হবে—যেমন বিজ্ঞান বিভাগের জন্য গণিত, জীববিজ্ঞান ও ইংরেজি এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার জন্য ইংরেজি, গণিত ও বাংলা।

একই কলেজে এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তি হতে পারবেন। ভর্তি কার্যক্রম কলেজগুলোর ওয়েবসাইট ও নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করতে হবে। ফি নির্ধারণ করবে আন্তঃ শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি এবং অনুমোদিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া যাবে না।

ভর্তির পর কলেজ পরিবর্তনের সুযোগ থাকলেও অন্য বিভাগ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ফিরে আসা যাবে না। ছাড়পত্র ইস্যুর ক্ষেত্রেও বোর্ডের অনুমতি বাধ্যতামূলক।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, অনুমোদনহীন কলেজ বা ক্যাম্পাসে ভর্তি কার্যক্রম চালালে স্বীকৃতি ও এমপিও বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নতুন নির্দেশনা প্রকাশ

আপডেট সময় ০৭:৪৪:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

 

 

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতেই অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। কোনো ধরনের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে না।

নতুন নীতিমালার আওতায় অনলাইনে ভর্তি আবেদন শুরু হবে ৩০ জুলাই এবং চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। ২৪ জুলাই প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, যে শিক্ষাবর্ষে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং তার আগের দুই বছরে যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন, তারা আবেদন করার যোগ্য হবেন। বিদেশি বোর্ডে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে মান নির্ধারণ ও অনুমোদন পেলে ভর্তির সুযোগ পাবেন।

বিভাগ নির্বাচন সংক্রান্ত নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক কিংবা ব্যবসায় শিক্ষা—যেকোনো বিভাগে আবেদন করতে পারবেন। তবে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাবেন না। মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল/দাখিল) পাস করা শিক্ষার্থীরা সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের যেকোনো বিভাগে আবেদন করতে পারবেন।

সরকারি ও বেসরকারি কলেজে মোট আসনের ৯৩ শতাংশ রাখা হয়েছে সকল শিক্ষার্থীর জন্য উন্মুক্ত। বাকি ৭ শতাংশ কোটা হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে—এর মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য, ১ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানদের জন্য এবং ১ শতাংশ অধীনস্থ দপ্তর বা সংস্থার কর্মকর্তার সন্তানদের জন্য। তবে সংরক্ষিত কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়া গেলে উন্মুক্ত আসনের মতো মেধার ভিত্তিতেই ভর্তি করা হবে।

সমান জিপিএপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মোট প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় মেধাক্রম নির্ধারিত হবে। প্রয়োজনে নির্দিষ্ট বিষয়ের নম্বর অনুযায়ী অগ্রাধিকার দেওয়া হবে—যেমন বিজ্ঞান বিভাগের জন্য গণিত, জীববিজ্ঞান ও ইংরেজি এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার জন্য ইংরেজি, গণিত ও বাংলা।

একই কলেজে এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তি হতে পারবেন। ভর্তি কার্যক্রম কলেজগুলোর ওয়েবসাইট ও নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করতে হবে। ফি নির্ধারণ করবে আন্তঃ শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি এবং অনুমোদিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া যাবে না।

ভর্তির পর কলেজ পরিবর্তনের সুযোগ থাকলেও অন্য বিভাগ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ফিরে আসা যাবে না। ছাড়পত্র ইস্যুর ক্ষেত্রেও বোর্ডের অনুমতি বাধ্যতামূলক।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, অনুমোদনহীন কলেজ বা ক্যাম্পাসে ভর্তি কার্যক্রম চালালে স্বীকৃতি ও এমপিও বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হবে।