শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণ

- আপডেট সময় ১১:১৪:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
- / ১৪ বার পড়া হয়েছে
শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন এবং উপাচার্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পদত্যাগের প্রেক্ষিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণ করা হয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)। রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়াসহ আরও ১০ জন শীর্ষ কর্মকর্তা। রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজে পদত্যাগপত্রের তথ্য এবং সই করা কাগজপত্রের ছবি প্রকাশ করা হয়।
পদত্যাগ করা কর্মকর্তারা হলেন- মো. রেজওয়ান খান, এসওএসই অনুষদের ডিন ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসান সারওয়ার, মোহাম্মদ ওমর ফারুক, খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. কে মাসুকুর রহমান, ড. তাহমিনা ফয়েজ, ড. সুমন আহমেদ, ড. জান্নাতুন নুর মুক্তা, ড. এস এম রফিকুল ইসলাম এবং ডিরেক্টর (কো-অর্ডিনেশন) অধ্যাপক এ এস এম সালাহউদ্দিন।
শনিবার সকাল থেকে ৩ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে ইউআইইউ-এর শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে শুরু হয় তাদের এই আন্দোলন। পরে শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে আমরণ অনশনের ঘোষণাও দেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো ছিল—
প্রথমত, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ, ইউআইইউ রিফর্ম ১.০ এবং জুলাই বিপ্লবে বাধা প্রদান, এক ছাত্রীর পিতার মৃত্যুতে ডেড সার্টিফিকেট চাওয়া, আইসিইউ থেকে ফিরে আসা শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণে বাধা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে একক সিন্ডিকেট গঠনের অভিযোগে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল হুদার পদত্যাগ।
দ্বিতীয়ত, মিড টার্ম পরীক্ষার সময় ১৫ মিনিট কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেটি আগের নিয়মে ফিরিয়ে আনার দাবি।
তৃতীয়ত, ইউআইইউ রিফর্ম ১.০-তে যেসব দাবি পূরণ করা হয়েছিল, সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান। বিশেষ করে ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষার ফি মিড টার্মে কোর্সপ্রতি ২ হাজার টাকা এবং ফাইনাল পরীক্ষায় ৩ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি ছিল শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।