ঢাকা ০৭:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শাহজালালে ২ যাত্রীর কাছ থেকে ৩১ মোবাইল জব্দ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানই আগ্রহ দেখায়নি খেলা সম্প্রচার করতে। যে কারণে সিরিজটি বিটিভিতে দেখানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্তে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্প চার বিয়ে করে বিপাকে বৃদ্ধ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে থানায় দেখা গুলশানে বন্ধ ব্যাটারি রিকশা, প্রতিবাদে চালকদের মিছিল বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য: জামায়াত আমীর সিরিয়ায় সেনা হ্রাস করছে যুক্তরাষ্ট্র, আইএস দমনে কৌশলগত পরিবর্তন বাংলাদেশ–তুরস্ক ঐতিহাসিক বৈঠক: বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে দেখতে চায় তুরস্ক লবণাক্ত জমিতে বিনা চাষে সূর্যমুখীতে সফলতা, কৃষকদের মুখে হাসি বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের দুই দফা দাবি, ৫ মে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

ড. ইউনূসের চীন যাত্রায় আসতে পারে বড় ঘোষণা, সফরে চুক্তি নয়, হবে এমওইউ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩৯:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • / ৫১২ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন চীন সফর ঘিরে কূটনৈতিক মহলে বাড়ছে উত্তেজনা। চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই সফরে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা আসতে পারে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

গতকাল রাজধানীর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের (মূল খবরে জসীম উদ্দিন বলা হয়েছে, সম্ভবত ভুলবশত) সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই মন্তব্য করেন চীনের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার সফর নিয়ে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। এটি একটি মাইলফলক সফর হবে। অপেক্ষা করুন, চমক আসছে।”

২৬ মার্চ শুরু হচ্ছে চার দিনের এই রাষ্ট্রীয় সফর। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই হবে ড. ইউনূসের প্রথম চীন সফর, যার দিকে নজর রাখছে আন্তর্জাতিক মহল, বিশেষ করে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে, বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি জানান, এই সফরে কোনো চুক্তি নয়, বরং কয়েকটি সমঝোতা স্মারক (MoU) সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, “চীনের গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভে (GDI) যুক্ত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে, তবে সফরেই চূড়ান্ত চুক্তি হবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।”

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে এখনো দিল্লির পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সফর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে। বিশেষ করে বর্তমান ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

চীন সফর নিয়ে জনমনে যেমন কৌতূহল, তেমনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বাড়ছে আগ্রহ চমক আসবে কিনা, তার অপেক্ষায় এখন সবাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ড. ইউনূসের চীন যাত্রায় আসতে পারে বড় ঘোষণা, সফরে চুক্তি নয়, হবে এমওইউ

আপডেট সময় ১২:৩৯:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

 

 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন চীন সফর ঘিরে কূটনৈতিক মহলে বাড়ছে উত্তেজনা। চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই সফরে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা আসতে পারে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

গতকাল রাজধানীর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের (মূল খবরে জসীম উদ্দিন বলা হয়েছে, সম্ভবত ভুলবশত) সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই মন্তব্য করেন চীনের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার সফর নিয়ে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। এটি একটি মাইলফলক সফর হবে। অপেক্ষা করুন, চমক আসছে।”

২৬ মার্চ শুরু হচ্ছে চার দিনের এই রাষ্ট্রীয় সফর। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই হবে ড. ইউনূসের প্রথম চীন সফর, যার দিকে নজর রাখছে আন্তর্জাতিক মহল, বিশেষ করে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে, বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি জানান, এই সফরে কোনো চুক্তি নয়, বরং কয়েকটি সমঝোতা স্মারক (MoU) সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, “চীনের গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভে (GDI) যুক্ত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে, তবে সফরেই চূড়ান্ত চুক্তি হবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।”

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে এখনো দিল্লির পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সফর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে। বিশেষ করে বর্তমান ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

চীন সফর নিয়ে জনমনে যেমন কৌতূহল, তেমনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বাড়ছে আগ্রহ চমক আসবে কিনা, তার অপেক্ষায় এখন সবাই।