ঢাকা ০২:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নতুন রেকর্ড, ডিজিটাল অর্থনীতিতে বাংলাদেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:০০:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • / 53

ছবি: সংগৃহীত

 

দেশের ডিজিটাল লেনদেনে নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে মোবাইল ব্যাংকিং খাত। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এ খাতে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।

এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সর্বোচ্চ লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৬৪ লাখ কোটি টাকা। কিন্তু জানুয়ারিতে গড় দৈনিক লেনদেনের পরিমাণও আগের মাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৭২২ কোটি টাকায়।

গত সাত মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে লেনদেনের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের জুনে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৫৫ লাখ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বরে যা কিছুটা কমলেও নভেম্বরে ফের তা বেড়ে ১ দশমিক ৫৬ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছিল।

বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে বিকাশ, নগদ ও রকেটসহ মোট ১৩টি প্রতিষ্ঠান। বেতন-ভাতা পরিশোধ, প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স), ইউটিলিটি বিল প্রদান থেকে শুরু করে অনলাইন কেনাকাটা সব ক্ষেত্রেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে।

উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে গ্রাহকসংখ্যাও। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহক ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৭৬ কোটি। কিন্তু বর্তমানে তা প্রায় চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৯৩ কোটিতে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রযুক্তি ও আর্থিক সেবায় সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়ার কারণেই মোবাইল ব্যাংকিং সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। নগদ টাকার ব্যবহার কমিয়ে এটি দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির ভিতকে মজবুত করছে। এই প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ পুরোপুরি নগদবিহীন অর্থনীতির পথে এগিয়ে যাবে বলেও ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সংশ্লিষ্টদের মতে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এমন ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি বাড়িয়ে দেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নতুন রেকর্ড, ডিজিটাল অর্থনীতিতে বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০৩:০০:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

 

দেশের ডিজিটাল লেনদেনে নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে মোবাইল ব্যাংকিং খাত। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এ খাতে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।

এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সর্বোচ্চ লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৬৪ লাখ কোটি টাকা। কিন্তু জানুয়ারিতে গড় দৈনিক লেনদেনের পরিমাণও আগের মাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৭২২ কোটি টাকায়।

গত সাত মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে লেনদেনের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের জুনে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৫৫ লাখ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বরে যা কিছুটা কমলেও নভেম্বরে ফের তা বেড়ে ১ দশমিক ৫৬ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছিল।

বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে বিকাশ, নগদ ও রকেটসহ মোট ১৩টি প্রতিষ্ঠান। বেতন-ভাতা পরিশোধ, প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স), ইউটিলিটি বিল প্রদান থেকে শুরু করে অনলাইন কেনাকাটা সব ক্ষেত্রেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে।

উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে গ্রাহকসংখ্যাও। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহক ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৭৬ কোটি। কিন্তু বর্তমানে তা প্রায় চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৯৩ কোটিতে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রযুক্তি ও আর্থিক সেবায় সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়ার কারণেই মোবাইল ব্যাংকিং সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। নগদ টাকার ব্যবহার কমিয়ে এটি দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির ভিতকে মজবুত করছে। এই প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ পুরোপুরি নগদবিহীন অর্থনীতির পথে এগিয়ে যাবে বলেও ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সংশ্লিষ্টদের মতে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এমন ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি বাড়িয়ে দেবে।