ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ফরিদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হোতা কুটি মিয়া অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৪১ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থে: আমীর খসরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দাবি বিএনপির, আপসের প্রশ্ন নেই: দুদু ইরানে আইএইএ মহাপরিচালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে নতুন করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই বিসিবির সভা আগামীকাল, এজেন্ডায় থাকছে কী? আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন শীর্ষক: রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি: জুনের ২৮ দিনেই এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নতুন রেকর্ড, ডিজিটাল অর্থনীতিতে বাংলাদেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:০০:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • / 48

ছবি: সংগৃহীত

 

দেশের ডিজিটাল লেনদেনে নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে মোবাইল ব্যাংকিং খাত। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এ খাতে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।

এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সর্বোচ্চ লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৬৪ লাখ কোটি টাকা। কিন্তু জানুয়ারিতে গড় দৈনিক লেনদেনের পরিমাণও আগের মাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৭২২ কোটি টাকায়।

গত সাত মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে লেনদেনের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের জুনে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৫৫ লাখ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বরে যা কিছুটা কমলেও নভেম্বরে ফের তা বেড়ে ১ দশমিক ৫৬ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছিল।

বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে বিকাশ, নগদ ও রকেটসহ মোট ১৩টি প্রতিষ্ঠান। বেতন-ভাতা পরিশোধ, প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স), ইউটিলিটি বিল প্রদান থেকে শুরু করে অনলাইন কেনাকাটা সব ক্ষেত্রেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে।

উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে গ্রাহকসংখ্যাও। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহক ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৭৬ কোটি। কিন্তু বর্তমানে তা প্রায় চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৯৩ কোটিতে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রযুক্তি ও আর্থিক সেবায় সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়ার কারণেই মোবাইল ব্যাংকিং সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। নগদ টাকার ব্যবহার কমিয়ে এটি দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির ভিতকে মজবুত করছে। এই প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ পুরোপুরি নগদবিহীন অর্থনীতির পথে এগিয়ে যাবে বলেও ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সংশ্লিষ্টদের মতে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এমন ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি বাড়িয়ে দেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নতুন রেকর্ড, ডিজিটাল অর্থনীতিতে বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০৩:০০:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

 

দেশের ডিজিটাল লেনদেনে নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে মোবাইল ব্যাংকিং খাত। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এ খাতে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।

এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সর্বোচ্চ লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৬৪ লাখ কোটি টাকা। কিন্তু জানুয়ারিতে গড় দৈনিক লেনদেনের পরিমাণও আগের মাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৭২২ কোটি টাকায়।

গত সাত মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে লেনদেনের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের জুনে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৫৫ লাখ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বরে যা কিছুটা কমলেও নভেম্বরে ফের তা বেড়ে ১ দশমিক ৫৬ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছিল।

বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে বিকাশ, নগদ ও রকেটসহ মোট ১৩টি প্রতিষ্ঠান। বেতন-ভাতা পরিশোধ, প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স), ইউটিলিটি বিল প্রদান থেকে শুরু করে অনলাইন কেনাকাটা সব ক্ষেত্রেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে।

উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে গ্রাহকসংখ্যাও। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহক ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৭৬ কোটি। কিন্তু বর্তমানে তা প্রায় চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৯৩ কোটিতে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রযুক্তি ও আর্থিক সেবায় সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়ার কারণেই মোবাইল ব্যাংকিং সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। নগদ টাকার ব্যবহার কমিয়ে এটি দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির ভিতকে মজবুত করছে। এই প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ পুরোপুরি নগদবিহীন অর্থনীতির পথে এগিয়ে যাবে বলেও ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সংশ্লিষ্টদের মতে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এমন ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি বাড়িয়ে দেবে।