ঢাকা ০৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ ৯ নেতাকর্মী বিস্ফোরক মামলায় খালাস যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও ৩৬ দেশ, কঠোর অবস্থানে ট্রাম্প প্রশাসন ঈদযাত্রায় ১৫ দিনে সড়কে প্রাণ হারালেন ৩৯০ জন, আহত সহস্রাধিক লবণাক্ত জমিতে আনারস চাষে অভূতপূর্ব সাফল্য কৃষক সুলতানের ইউনূস-তারেক বৈঠকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে: আমীর খসরু করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, প্রস্তুত রয়েছে সরকার: ডা. সায়েদুর রহমান সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনের সামনে ফের অবস্থান সমর্থকদের বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের বৈঠক জোরপূর্বক গুম নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে আইন উপদেষ্টা

রোহিঙ্গাদের রেশন সংকট: জাতিসংঘের বরাদ্দ অর্ধেকে নামছে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:১৮:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • / 37

ছবি সংগৃহীত

 

কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ করা খাদ্য রেশন অর্ধেকেরও বেশি কমানোর পরিকল্পনা করেছে জাতিসংঘ। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সরকারকে বিষয়টি জানিয়েছে।

বুধবার (৬ মার্চ) শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমানকে পাঠানো এক চিঠিতে ডব্লিউএফপি জানায়, আগামী এপ্রিল মাস থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য নির্ধারিত খাদ্য বরাদ্দ অর্ধেকেরও বেশি কমতে পারে। সংস্থাটি জানায়, অর্থ সংকটের কারণে তারা পূর্ববর্তী বরাদ্দ বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার মৌখিকভাবে রেশন কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল ডব্লিউএফপি। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১ এপ্রিল থেকে রোহিঙ্গাদের মাথাপিছু মাসিক রেশন ১২.৫০ ডলার থেকে কমিয়ে ৬ ডলারে নামিয়ে আনা হবে। এ প্রসঙ্গে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, “ডব্লিউএফপি আমাদের জানিয়েছে যে, তারা রোহিঙ্গাদের জন্য মাথাপিছু প্রতি মাসে ১২.৫০ ডলার বরাদ্দ রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে, কিন্তু প্রয়োজনীয় দাতা না পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেশন কমানোর ফলে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে খাদ্য সংকট আরও প্রকট হতে পারে। ইতোমধ্যেই অনেক রোহিঙ্গা স্বল্প আহারের কারণে অপুষ্টিতে ভুগছে। নতুন এই সংকট তাদের মানবিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে। অন্যদিকে, মানবাধিকার সংগঠনগুলোও এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছে। তাদের মতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত দ্রুত এ সংকট মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা ও বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান যুদ্ধের কারণে দাতাদের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো। তবে রোহিঙ্গাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক মহলের আরও সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

বর্তমানে কক্সবাজার ও ভাসানচরের ক্যাম্পগুলোতে প্রায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রিত রয়েছে। নতুন রেশন সংকটের কারণে তাদের জীবনযাত্রা আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

রোহিঙ্গাদের রেশন সংকট: জাতিসংঘের বরাদ্দ অর্ধেকে নামছে

আপডেট সময় ০৫:১৮:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

 

কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ করা খাদ্য রেশন অর্ধেকেরও বেশি কমানোর পরিকল্পনা করেছে জাতিসংঘ। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সরকারকে বিষয়টি জানিয়েছে।

বুধবার (৬ মার্চ) শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমানকে পাঠানো এক চিঠিতে ডব্লিউএফপি জানায়, আগামী এপ্রিল মাস থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য নির্ধারিত খাদ্য বরাদ্দ অর্ধেকেরও বেশি কমতে পারে। সংস্থাটি জানায়, অর্থ সংকটের কারণে তারা পূর্ববর্তী বরাদ্দ বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার মৌখিকভাবে রেশন কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল ডব্লিউএফপি। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১ এপ্রিল থেকে রোহিঙ্গাদের মাথাপিছু মাসিক রেশন ১২.৫০ ডলার থেকে কমিয়ে ৬ ডলারে নামিয়ে আনা হবে। এ প্রসঙ্গে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, “ডব্লিউএফপি আমাদের জানিয়েছে যে, তারা রোহিঙ্গাদের জন্য মাথাপিছু প্রতি মাসে ১২.৫০ ডলার বরাদ্দ রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে, কিন্তু প্রয়োজনীয় দাতা না পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেশন কমানোর ফলে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে খাদ্য সংকট আরও প্রকট হতে পারে। ইতোমধ্যেই অনেক রোহিঙ্গা স্বল্প আহারের কারণে অপুষ্টিতে ভুগছে। নতুন এই সংকট তাদের মানবিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে। অন্যদিকে, মানবাধিকার সংগঠনগুলোও এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছে। তাদের মতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত দ্রুত এ সংকট মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা ও বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান যুদ্ধের কারণে দাতাদের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো। তবে রোহিঙ্গাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক মহলের আরও সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

বর্তমানে কক্সবাজার ও ভাসানচরের ক্যাম্পগুলোতে প্রায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রিত রয়েছে। নতুন রেশন সংকটের কারণে তাদের জীবনযাত্রা আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।