ঢাকা ০২:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সবুজবাগে বিদেশী পিস্তল ও গুলিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি তুরস্কে স্কি রিসোর্টে অগ্নিকাণ্ড: মালিকসহ ৯ জন গ্রেপ্তার ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ চিটাগং কিংসকে উড়িয়ে দিয়ে ঢাকা ক্যাপিটালসের টানা তৃতীয় জয়   গাজায় ব্যর্থতার দায়ে পদত্যাগের প্রস্তুতিতে শিন বেত প্রধান রনেন বার যেসব পণ্যে ভ্যাট কমালো এনবিআর গাজায় ব্যর্থতার দায়ে এবার পদত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত-এর প্রধান রনেন বার। পুতিনের ভূমিকা নিয়ে ট্রাম্পের উদ্বেগ, নতুন নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত: বৈদেশিক সহায়তায় ৯০ দিনের সাময়িক স্থগিতাদেশ ইতালি থেকে আসা সেই বিমানে তল্লাশির পর যা জানা গেল

শার্শার কুলের বাজারে ব্যস্ততার ভিড়, লাভবান হচ্ছেন চাষীরা 

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া বেলতলা বাজারে এখন কুলের রমরমা বেচাকেনা। শীতকাল থেকে শুরু করে বসন্তের ফাল্গুন মাস পর্যন্ত এই বাজারে চলে কুলের জমজমাট ব্যবসা। মৌসুমী ফল হিসেবে কুল এখন এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি।

প্রতিদিন এ বাজার থেকে ৫-১০টি ট্রাকভর্তি কুল দেশের রাজধানীসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে পাঠানো হয়। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কুল বিশেষত থাই আপেল, বলকুল, গাজীপুরী টক এবং বল সুন্দরী জাতের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। পাইকারি বাজারে থাই আপেল কুলের দাম প্রতি কেজি ৬০ থেকে ১৫০ টাকা, বলকুল ৭০ থেকে ১২০ টাকা, গাজীপুরী টক ৪০ থেকে ৭০ টাকা, এবং বল সুন্দরী ৭০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

শার্শা ও কলারোয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে কুল চাষ এখন ধান বা অন্যান্য ফসলের জায়গা দখল করছে। এ বছর শার্শা উপজেলায় ১৩৫ হেক্টর জমিতে কুল চাষ হয়েছে। চাষিরা বলছেন, ফলন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি থাকায় তারা লাভবান হচ্ছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার কুলের ফলন ও দাম দুই-ই বেড়েছে। এতে চাষি ও আড়তদার উভয়ই খুশি। এ অঞ্চলে কুল চাষের এই উজ্জ্বল সম্ভাবনা চাষিদের আর্থিক স্বচ্ছলতার নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৫২:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
৫০৯ বার পড়া হয়েছে

শার্শার কুলের বাজারে ব্যস্ততার ভিড়, লাভবান হচ্ছেন চাষীরা 

আপডেট সময় ০৬:৫২:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

 

যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া বেলতলা বাজারে এখন কুলের রমরমা বেচাকেনা। শীতকাল থেকে শুরু করে বসন্তের ফাল্গুন মাস পর্যন্ত এই বাজারে চলে কুলের জমজমাট ব্যবসা। মৌসুমী ফল হিসেবে কুল এখন এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি।

প্রতিদিন এ বাজার থেকে ৫-১০টি ট্রাকভর্তি কুল দেশের রাজধানীসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে পাঠানো হয়। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কুল বিশেষত থাই আপেল, বলকুল, গাজীপুরী টক এবং বল সুন্দরী জাতের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। পাইকারি বাজারে থাই আপেল কুলের দাম প্রতি কেজি ৬০ থেকে ১৫০ টাকা, বলকুল ৭০ থেকে ১২০ টাকা, গাজীপুরী টক ৪০ থেকে ৭০ টাকা, এবং বল সুন্দরী ৭০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

শার্শা ও কলারোয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে কুল চাষ এখন ধান বা অন্যান্য ফসলের জায়গা দখল করছে। এ বছর শার্শা উপজেলায় ১৩৫ হেক্টর জমিতে কুল চাষ হয়েছে। চাষিরা বলছেন, ফলন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি থাকায় তারা লাভবান হচ্ছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার কুলের ফলন ও দাম দুই-ই বেড়েছে। এতে চাষি ও আড়তদার উভয়ই খুশি। এ অঞ্চলে কুল চাষের এই উজ্জ্বল সম্ভাবনা চাষিদের আর্থিক স্বচ্ছলতার নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে।